আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০১৪

হরর হাদিস - ০৯

নবীজি ছিলো দয়ার আধার। মাঝেমধ্যে তাকে কঠিন হতে হতো বটে, কিন্তু তখনও মানবতাবোধ তাকে ছেড়ে যেতো না।

মানবতার দৃষ্টান্ত নম্বর এক: 
একদিন এক মহিলা নবীজির কাছে এসে বললো, আমি পাপ করেছি। আমি পরপুরুষ গমন করেছি। আমাকে পাপমুক্ত করুন। পরনারীগমন- ও বিবাহবহির্ভুত সম্পর্কস্থাপনপটু নবীজি তাকে ক্ষমা করলো না। পরদিন মহিলা এসে জানালো, আমি গর্ভধারণ করেছি। নবী তখন বললো, তাহলে তুমি সন্তানজন্মদান পর্যন্ত অপেক্ষা করো। 

মানবতার দৃষ্টান্ত নম্বর দুই:
সন্তানের জন্ম হবার পর তাকে পুরনো ছিন্ন কাপড়ে জড়িয়ে মহিলা এলো নবীজির কাছে। নবীজি তাকে বললো, এখন চলে যাও, তাকে বুকের দুধ খাওয়াতে থাকো। বুকের দুধ খাওয়ার অভ্যাস যখন তার থাকবে না, তখন আমার কাছে এসো। 

মানবতার দৃষ্টান্ত নম্বর তিন:
সন্তান মাতৃদুগ্ধের অভ্যেস ত্যাগ করলে মহিলাটি আবার দেখা করলো নবীজির সঙ্গে। সন্তানের হাতে ছিলো তখন এক টুকরো রুটি। সেটি দেখিয়ে মহিলা জানালো, শিশুটি বুকের দুধ খাবার অভ্যেস ত্যাগ করেছে। এখন সে খাদ্য খেতে পারে। নবীজি তখন শিশুটির দায়িত্ব দিলো বিশ্বস্ত এক ব্যক্তিকে। 

মানবতার দৃষ্টান্ত নম্বর চার:
এর পর নবীজি মহিলাটির শাস্তি ঘোষণা করলো। তাকে বুক পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে তার প্রতি পাথর নিক্ষেপ করে হত্যার হুকুম দিলো নবীজি। খালিদ নামের এক ব্যক্তি মহিলাটিকে লক্ষ্য করে এক খণ্ড পাথর সবেগে ছুঁড়ে মারলে রক্ত ছিটকে এসে পড়লো তার নিজের মুখে। তখন সে মহিলাকে গালিগালাজ করতে শুরু করলো। সেটা শুনে মানবতাবাদী নবী বললো, খালিদ, তার সঙ্গে ভদ্র ব্যবহার করো। 

মানবতার দৃষ্টান্ত নম্বর পাঁচ:
পাথর ছুঁড়ে মহিলাটিকে হত্যা করার পর নবীজি তার জন্য প্রার্থনা করলো আল্লাহপাকের কাছে ও তাকে সমাধিস্থ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করলো। 

ওপরোক্ত ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয়, নবীর মোর দয়ার খনি। 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন