কোরান একটি হলেও তার তফসিরের সংখ্যা অগণ্য। সেসব পড়লে দেখা যায়, একজনের তফসিরের সঙ্গে আরেকজনের তফসিরের মিল তো নেইই, বরং সেগুলো প্রায়শই ভিন্ন অর্থবাহী ও ক্ষেত্রবিশেষে পরস্পরবিরোধীও। অনুমান করা দুরূহ নয় যে, তফসিরকারীরা যার যেভাবে খুশি আপন মনের মাধুরী মিশায়ে বিশ্লেষণ করেছে একেকটি আয়াত। তফসিরের সময় আমি অবশ্য মন নয়, তবে প্রায় 'মন'-এর মতোই উচ্চার্য একটি প্রান্তিক অঙ্গ ব্যবহার করি। আর তাই কোরানের কোনও আয়াত পড়ে আমার ধনের ডগায় মাথায় যে-চিন্তাটি আসে, সেই চিন্তার বীজপাত ঘটাই তফসিরে। আমার তফসির আকারে ছোট হলেও দৃঢ় এবং ব্র্যাকেট-পরা অবস্থায় মূল সুরার ফাঁকে ফাঁকে ঢোকানো।
সুরা আল ফাতিহা
(মক্কায় অবতীর্ণ), আয়াত সংখা: ৭
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
০১ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু (অর্থাৎ সবাইকেই দেয়, সেক্সি)।
الْحَمْدُ للّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
০২ যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা' আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।
الرَّحْمـنِ الرَّحِيمِ
০৩ যিনি নিতান্ত মেহেরবান (বলুন, মালদার) ও দয়ালু (পূর্বেই বলা হয়েছে - সবাইকেই দেয়, সেক্সি) ।
مَـالِكِ يَوْمِ الدِّينِ
০৪ যিনি বিচার দিনের মালিক।
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ
০৫ আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত (সহবত - নানা আসনে) করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি (যখন আর সোনা খাড়াইতে চায় না)।
اهدِنَــــا الصِّرَاطَ المُستَقِيمَ
০৬ আমাদেরকে সরল পথ দেখাও (কীভাবে অধিকক্ষণ ইরেকশন ধরে রাখা যায়),
صِرَاطَ الَّذِينَ أَنعَمتَ عَلَيهِمْ غَيرِ المَغضُوبِ عَلَيهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ
০৭ সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত (অসংখ্য হূর-গেলমান) দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব (মাল) নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট (অর্থাৎ ভুল পথ দিয়ে লিঙ্গচালনা) হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন