আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ, ২০১৪

নারায়ে কোরিয়া

লিখেছেন কজমিক ডাস্ট

ইসলামের বর্বর কিছু নিয়মকে ন্যায্যতা দেয়ার জন্যে জোকার নালায়েক প্রায় কিছু অদ্ভুত যুক্তি দিয়ে থাকে। তার সবচেয়ে প্রিয় যুক্তি হল - ইসলামকে একটি রাষ্ট্রের সাথে তুলনা করা। যেমন তাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, "কেন ইসলামত্যাগীদের হত্যা করতে হবে?" তখন সে তার উত্তর দেয়, "যে কোনও দেশে রাষ্ট্রদোহীতার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।" তার মানে কি জোকার বলতে চায় যে, কেউ যদি তার দেশ ত্যাগ করে তবে সেটা ইসলাম ত্যাগের সমতুল্য! দুনিয়ার এমন কোন দেশ আছে, যেখানে দেশ ত্যাগ করাকে রাষ্ট্রদোহিতা ধরা হয়?? অবশেষে একটি দেশ পেয়ে গেলাম, যার আইন এ রকম! শুধু এই আইনটিই নয়, সেই দেশে আরও অনেক আইন আছে, যা ইসলামের সাথে হুবহু মিলে যায়! দেশটি হল উত্তর কোরিয়া!

উত্তর কোরিয়ার শাসনব্যবস্থার সাথে ইসলামের অদ্ভুত মিল রয়েছে! উত্তর কোরীয়দের জন্যে বাইরের পৃথিবীর সাথে কোনও রকম সম্পর্ক রাখা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তারা কখনও তাদের দেশ ছেড়ে যেতে পারবে না এবং বাইরের কারও সাথে কথা বলতে পারবে না রাষ্ট্রের অনুমোদন ছাড়া। অনেকটা ইসলামের নিজের মধ্যে থাকা এবং বিধর্মী কাফেরদের সঙ্গ ত্যাগ করার আদেশের মত। উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনওরকম প্রশ্ন করা যাবে না। তাদের রূপকথার মত জীবনী - যেমন কিম জং-ইলের জন্মের সময় নাকি আবহাওয়া শীত থেকে বসন্তে পরিবর্তিত হয়েছিল, দিনের বেলা আকাশে তারা দেখা গিয়েছিল, দুইটি রংধনু দেখা গিয়েছিল, এ ছাড়াও সে স্কুলে তার শিক্ষকদেরকে উল্টা পড়ানোর মতো জ্ঞান রাখত এবং সে যখন ইচ্ছা তখন আবহাওয়া বদলাতে পারত ইত্যাদি গাঁজাখুরি গল্প উত্তর কোরীয়দের অকপটে মেনে নিতে হবে। না মানলেই শাস্তি!

উত্তর কোরিয়ার আরেকটি নীতি হল মিলিটারি ফার্স্ট পলিসি, যেটা ইসলামের সাথে খুব মিলে যায়। মুহাম্মাদ তার আমলে তার সব সাহাবীকে জোর করে যুদ্ধ করাত। তার এক সাহাবী যুদ্ধে যোগ দেয়নি বলে রেগে গিয়ে তাকে বয়কট করে দিয়েছিল। ঠিক তেমনি নর্থ কোরিয়া সবাইকে জোর করে সৈন্য বানাতে চায়।

ইসলাম মুহাম্মাদের ১৪০০ বছর আগেকার জীবন-কায়দা মেনে মানুষকে পেছনে আটকে রাখতে চায়, উত্তর কোরিয়াও ঠিক তেমনি তাদের সুপ্রিম লিডার কিম জং-উনের পুরানো বস্তাপচা টেকনোলোজিতে আটকে থাকতে চায়। উদাহরণ হিসেবে বাকি দুনিয়া যখন ডিজিটাল এমপিথ্রিতে গান শোনে, কোরিয়ানরা এখনও টেপ রেকর্ডার ব্যবহার করে।

সবশেষে সবচেয়ে বড় মিলটা হল যে, মুসলিমরা বর্তমান দুনিয়ায় সবচেয়ে দুরবস্থায় থাকা জাতি হলেও নিজেদেরকে সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করে, কোরিয়ানরাও ঠিক তেমনটিই ভাবে নিজেদেরকে।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে কীভাবে নর্থ কোরিয়ানরা তাদের নেতাদের সামনে মাথা নোয়াচ্ছে। গোটা রাষ্ট্রটিইআসলে একটি ধর্মীয় পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন