আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০১৪

মহাজাগতিক ধূলিকণা - ০৭

লিখেছেন কজমিক ডাস্ট

১৮. 
আজকাল দেখি একদল মুমিন খুব বেশি এই ধরনের প্রশ্ন করছে: ধর্ম না থাকলে তারা কীভাবে জানত যে, খুন করা, ধর্ষণ করা খারাপ কাজ? কীভাবে জানত তাদের নিজেদের মায়ের সাথে সহবাস করা ঠিক না। আমি প্রথমে তাদের কথা শুনে ভাবতাম, "কস কী মুমিন! এগুলো যে খারাপ কাজ, সেটাও ধর্ম থেকে বলে দিতে হয়?" এরপরে নবীজির দু'টি হাদিস পড়লাম, যাতে দেখি তিনি মুমিনদেরকে নসিহত করেছেন, কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয়। একটিতে তিনি বলেছেন, কারও এক পায়ে জুতা পরা উচিত না। পরলে দুই পায়েই পরা উচিত, নয়তো খালি পায়ে চলাফেরা করা উচিত। আরেকটিতে উনি বলেছেন, বসার জন্যে সবচেয়ে উত্তম জায়গা হল যেখানে বসার জন্যে সবচেয়ে বেশি জায়গা আছে। এগুলো পড়ে আমি বুঝলাম, মুমিনরা সামান্য সামান্য এইসব গাইডলাইন ছাড়া এই দুনিয়াতে চলতে পারত না। ব্রেইন ডেড জম্বি এসব মানুষেরা হয়তো ধর্মের আদেশ ছাড়া নিঃশ্বাসও নেবে না, কারণ কে তাদেরকে বলবে যে, নিঃশ্বাস নেওয়াটা জরুরি?

যাই হোক একদল রেফারেন্স চাওয়া মুমিনদের জন্যে উক্ত দুই হাদিস শেয়ার করলাম।

Narrated Abu Huraira: Allah's Apostle said, "None of you should walk, wearing one shoe only; he should either put on both shoes or put on no shoes whatsoever."
(Sahih Bukhari 7:72:746)

Narrated AbuSa'id al-Khudri: I heard the Apostle of Allah (peace be upon him) as saying: The best places to sit are those which provide most room.
(Abu Dawud 41:4802)

১৯.
চিন্তা করুন দৃশ্যটা। প্রচণ্ড যুদ্ধ হচ্ছে দু'পক্ষের মধ্যে। যুদ্ধের এক পর্যায়ে একটি দল হেরে গিয়ে জান বাঁচিয়ে পালাতে শুরু করেছে। পালিয়ে যাওয়া সৈন্যদের মনের মধ্যে হয়তো চিন্তা চলছে, তারা কি বেঁচে ফিরতে পারবে? ফিরে গিয়ে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের সাথে আবার দেখা করতে পারবে? তাদের কারও ছোট ছোট ছেলেমেয়ে আছে হয়তো অথবা বৃদ্ধা মা আছে, যারা তার ফেরার অপেক্ষায় আছে। সে যদি কোনওভাবে জান বাঁচিয়ে পালিয়ে যেতে পারে, তবে তার দলের জন্যেও ভাল, কারণ বেঁচে ফিরে সে হয়তো আরেকদিন যুদ্ধে ফিরে আসতে পারবে। কিন্তু না হঠাৎ করে তার মনে পড়ে গেল তার ধর্ম ইসলামের এই নির্দেশটি: যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করা ইসলামের দৃষ্টিতে সবচেয়ে বড় গুনাহগুলির একটি! সুতরাং এ গুনাহ করলে তো আর রক্ষা নেই! নিজের জীবন বাঁচানোর জন্যে পলায়নকারীকে দোজখের আগুনে পুড়তে হবে অনন্তকাল। এর থেকে ফিরে গিয়ে যুদ্ধ করে মরাই ভাল অন্তত যন্ত্রণা শুধু একবারই আসবে।

তো এই হল ইসলাম। শান্তির ধর্মের লেবাসে থাকা এমন এক অশান্তি, যা এটাও চায় না যে কেউ যুদ্ধ করতে করতে যুদ্ধ থেকে থেমে গিয়ে পালিয়ে যাক। যুদ্ধ চলবে ননস্টপ। জয় অথবা মৃত্যু না আসা পর্যন্ত লড়ে যাক মানুষ। আচ্ছা, মুমিনদেরকে একটা প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে। আপনাদের আল্লাহ্‌ এত 'আকবার', কিন্তু তার যুদ্ধ করতে সামান্য মানবের কেন এত দরকার পড়ে? সে যদি এতই ক্ষমতাশালী হবে, তবে সে তার নিজের যুদ্ধ নিজে লড়ে না কেন? কেন মানুষকে লেলিয়ে দিয়ে তার কাজ সারে? মানুষের সাহায্য ছাড়া না সে নিজের ধর্ম প্রচার করতে পারে, না তার ধর্মকে টিকিয়ে রাখতে পারে। তারপরেও সে নাকি মহা ক্ষমতাশালী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন