আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০১৪

'আফগানারীস্তান' - ২

(নিশ্চয়ই ইছলাম নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান ও সুমহান মর্যাদা। এর উপর্যুপরি প্রমাণ দিয়েছে প্রখ্যাত ইছলামী দল তালেবান। আফগানিস্তানের জেনানাদের সম্মানে তারা প্রবর্তন করেছে কিছু আইন।

সেই আইনগুলোর এই তালিকা অনুবাদ করে পাঠিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন।)


এছাড়াও আছে:

- শুধু নারীদের নয়, পুরুষদেরও গান শোনা নিষেধ।

- সবার জন্য চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও ভিডিও দেখা নিষেধ।

- একুশে মার্চ তারিখে ঐতিহ্যবাহী আফগান নববর্ষ "নওরোজ" পালন নিষেধ, কেননা নববর্ষ পালন অনৈসলামিক। 

- পহেলা মে শ্রমিক দিবস পালন নিষেধ, কেননা তা কমিউনিস্ট হলিডে।

- অনৈসলামিক নামের লোকেদের ইসলামি নাম ধারণ করতে বাধ্য করা। 

- জোরপূর্বক যুবকদের নির্দিষ্ট মাপে চুল কাটতে বাধ্য করা। 

- পুরুষদের ইসলামী জামাকাপড় এবং একটি টুপি পরা বাধ্যতামূলক।

- শেইভ করা নিষেধ, বাধ্যতামূলকভাবে এক মুঠ পরিমাণ দাড়ি রাখতে হবে। 

- প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক। 

- অনৈসলামিক বিবেচনায় পাখিদের সাথে খেলা এবং কবুতর ওড়ানো নিষেধ। যে এই নিয়ম ভঙ্গ করবে, তাকে কারারুদ্ধ করা হবে এবং সেইসব পাখিকে হত্যা করা হবে। একই সাথে ঘুড়ি ওড়ানোও নিষেধ। 

- খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেয়ার সময় হাততালি দেয়ার বদলে আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিতে হবে। 

- ঘুড়ি ওড়ানোসহ বিভিন্ন খেলা অনৈসলামিক জন্য সেগুলো নিষেধ। 

- আপত্তিকর বইপত্র বহনের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

- ইসলাম থেকে অন্য কোনো ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। 

- সকল পুরুষ ছাত্রের পাগড়ি পরিধান বাধ্যতামূলক। তালিবানদের মতে, "পাগড়ি নেই তো শিক্ষাও নেই।"

- অমুসলিম ছাত্রদের নির্দিষ্ট রঙয়ের কাপড় অথবা হলুদ রঙয়ের ব্যাজ পরিধান করতে হবে, যাতে তাদের মুসলিম ছাত্রদের থেকে আলাদা করা যায়। 

- আফগান ও বিদেশি - যে কারও জন্যই ইন্টারনেট ব্যবহার নিষেধ। 

১৯৯২ সালে রাব্বানী-মাসুদ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এসব নারী-অধিকারবিরোধী আইনের বেশির ভাগই প্রথমবারের মতো আরোপ করা হয়েছিলো, কিন্তু কেউ এগুলোর প্রতিবাদ করেনি। আশ্চর্যের ব্যাপার, আজও অনেকেই মনে করে, এগুলোই সর্বশ্রেষ্ঠ নারী-অধিকার আইন ছিলো। 

১৯৯৪ সালে জাতিসংঘের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী আফগানিস্তানের নারী-অধিকারের অবস্থা এরকম: 

"বোরকার বিরোধিতাকারীরা নাস্তিক এবং বোরকাবিহীন মহিলারা বেশ্যা।"

বোরকা পরিধানের শর্তাবলীঃ 

১. বোরকা পুরো শরীর আবৃত করা আবশ্যক। 

২. নারীর কাপড় পাতলা হবে না। 

৩. নারীর পোশাক উজ্জ্বল এবং আকর্ষণীয় হবে না। 

৪. নারীর কাপড় এমন হতে হবে, যাতে তার শরীরের কোনো অঙ্গের আকৃতি প্রকাশ্য না হয়। 

৫. নারীরা সুগন্ধী ব্যবহার করতে পারবে না। সুগন্ধী ব্যবহারকারী কোনো নারী পুরুষ সমাগমস্থল দিয়ে হেঁটে গেলে তাকে অপরাধী বলে বিবেচনা করা হবে। 

৬. নারীরা পুরুষদের মতো কাপড় পরতে পারবে না। 

৭. মুসলিম ও অমুসলিম মহিলাদের জামা-কাপড়ের ধরন পৃথক হতে হবে। 

৮. নারীদের পায়ের অলঙ্কার শব্দ উৎপাদন করতে পারবে না। 

৯. নারীরা শব্দ উৎপাদক পোশাক পরিধান করতে পারবে না। 

১০. নারীরা রাস্তায় হাঁটাহাটি করতে পারবে না। 

১১. নারীরা তাদের স্বামীর অনুমতি ছাড়া ঘরের বাইরে যেতে পারবে না। 

১২. নারীরা অপরিচিত পুরুষদের সাথে কথা বলতে পারবে না। 

১৩. একান্তই কথা বলার প্রয়োজন হলে না হেসে নিচু গলায় কথা বলতে হবে। 

১৪. নারীরা অপরিচিত লোকেদের দিকে তাকাতে পারবে না। 

১৫. তারা অপরিচিত কারও সাথে মিশতে পারবে না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন