শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৪

পাঁচ ফোড়ন - ০৩

লিখেছেন সাদিয়া সুমি

১১.
৬৩২ খ্রিষ্টাব্দ হইতে বাক্যবাগীশ ঈশ্বর হঠাৎ করিয়া বাকরুদ্ধ হইয়া গেলেন ।
তিনি কি স্ট্রোক করিয়া পক্ষাঘাতগ্রস্ত হইয়া পড়িলেন? নাকি কন্ঠনালী ক্যান্সারে আক্রান্ত হইয়াছেন ?
তাঁহার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সবিশেষ জানিতে আগ্রহ প্রকাশ করিতেছি ।

১২.
কোরবানী এবং জাকাত সমাজে ধনী-দরিদ্র বৈষম্যকে অধিকতর প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়।

১৩.
সাত আসমানের ওপর তার আরস। সেই আরসে আছে বিশাল একটি সিংহাসন। আর সেই সিংহাসনে উপবিষ্ট এক প্রকৃত বাদশাহ, দোজাহানের মালিক। বস্তুতপক্ষে আল্লাহকে কল্পনা করা হয়েছে একজন মানুষের মত করে। কারণ কুকুর-বেড়াল তো আর সিংহাসনে বসে না, মানুষই বসে। যদি তিনি মানুষের মতই দেখতে হন, মুখ দিয়ে আরবীতে কথা বলতে পারেন, তবে সেই আল্লাহ আর একজন মানুষের মধ্যে প্রার্থক্য কী? তাকে মানুষতূল্য করা কি শিরক নয়? এই শিরকের অপরাধে কোরআন লেখক আল্লাহকে কি দোজখে পাঠান উচিত নয়?

১৪.
আল্লাপাক মানুষ তৈরি করেছেন তার এবাদত করার জন্য! আর ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস তৈরি করেছেন কী জন্য?

১৫.
পৃথিবীর সবচেয়ে অলস, অসভ্য, অশিক্ষিত এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠী হচ্ছে মুসলমান!
হারানো দিনের ঐতিহ্য নিয়ে এরা বেশ আনন্দেই আছে!
বোধ করি, সামনে এগুনোর কোনো অভিপ্রায়ও এদের নেই!
এই বিজ্ঞানের যুগেও তারা আশা করে, আল্লা তাদের রক্ষার্থে আবাবিল বহর পাঠাবেন এবং তিনিই তাদের খাদ্যের ব্যবস্থা করবেন!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন