আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ১ মার্চ, ২০১৪

মহাজাগতিক ধূলিকণা - ০৫

লিখেছেন কজমিক ডাস্ট 

১২.
দুনিয়ার সবচেয়ে কম উন্নত রাষ্ট্রের তালিকায় বাংলাদেশের নাম দেখলাম। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন: বাংলাদেশ একদিন একটি উন্নত রাষ্ট্র হবে। অনেকে আশাও ব্যক্ত করে বলেন যে, ২০২৫ সালের ভেতর হেন হবে তেন হবে। যারা একটু বাস্তববাদী তারা বলেন ২০৫০ সাল। কিন্তু আমরা কি কখনও ভেবে দেখেছি যে, বাংলাদেশ কেন উন্নত রাষ্ট্র হতে পারছে না? সবাই বলবে, অশিক্ষা এর জন্যে দায়ী। দেশের বিশাল একটা অংশ অশিক্ষিত। উন্নত রাষ্ট্রগুলির প্রায় প্রতিটি নাগরিক জানে, ইকনমি খারাপ হলে কি করতে হয়। তাদের একটা বাচ্চাও জানে, কীভাবে নিজের শহর পরিষ্কার রাখতে হয়। কিন্তু এই অশিক্ষার সাথে আরেকটা জিনিষ হচ্ছে কুশিক্ষা। দেশে প্রতি বছর মাদ্রাসা থেকে যারা বের হচ্ছে, তাদের না আছে বর্তমান যুগে চলার মত কোনও জ্ঞান আর না আছে কোনও প্রকার মুক্তচিন্তা করার ক্ষমতা। এরা দেশকে তো এগিয়ে নিয়ে যাবেই না, বরং উল্টো পেছনের দিকে ঠেলে দেবে। দেশের প্রতিটি শিক্ষিত মানুষকে যদি ১ পয়েন্ট দেওয়া হয় আর অশিক্ষিত মানুষকে ০ পয়েন্ট দেওয়া হয়, তাহলে প্রতিটি মাদ্রাসায় পড়া ছেলে মেয়েকে -১ দেওয়া উচিত। ০ পয়েন্ট হয়তো কোনও কাজে লাগে না, আবার কোনও ক্ষতিও করে না। কিন্তু -১ পয়েন্ট, ১ পয়েন্টকে খেয়ে ফেলে।

১৩.
মহাউন্মাদ...মহাউন্মাদ.........মহাউন্মাদ!! ধুর ছাই! যতবারই নবীর নাম লিখতে চাই, খালি এই বানান আসে! একটা নতুন Auto spelling correction সফটঅয়্যার ডাউনলোড করার পর থেকেই এটা হচ্ছে। ভুল কিছু লিখলেই সেটা শুধরে দেয়।

১৪.
মানুষেরা যখন নিজেদের থেকে দুর্বল কোনও ব্যক্তি অথবা শিশু বা প্রাণীর ওপরে হাত তোলে, তখন আমাদের কাছে সেটা অমানবিক লাগে। আমরা বলি "সাহস থাকলে নিজের সাইজের কারও সাথে লাগো।" এমনটা কি আমরা ঈশ্বরকেও বলতে পারি না? প্রায়ই শুনি, আল্লাহ্‌ গজব দিয়েছে। আচ্ছা এই গজব বস্তুটা কী? মানুষ তো আল্লাহ্‌র কোনও ক্ষতি করতে পারে না। সে হয়তো কিছু কথা বলে আর তাতেই আল্লাহ্‌র মেজাজ চড়ে যায়, আর সে নিজের থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন গুণ দুর্বল মানুষের ওপরে তার প্রতিশোধ নেয়! এটা কি ন্যায্য হল? প্রথমত, ঈশ্বরের অপমান সহ্য করার ক্ষমতা তার বান্দাদের থেকেও কম। তার বান্দারা হয়তো ভাঙচুর করে, মেরে-কেটে ফেলে, কিন্তু সেটা শুধু একবার। অন্যদিকে আল্লাহ্‌ হয় গজব দেবে, আর নয়তো মৃত্যুর পরে দোজখে কাবাব বানাবে, একবার নয় - অনন্তকাল। আমি বলি, দুর্বলের ওপরে সবলের অত্যাচার আর কত? ফাইট সর্বদা সেম সাইজের মধ্যে হওয়া উচিত। আল্লাহ্‌র উচিত নেক্সট টাইম কাউকে শাস্তি দেওয়ার আগে তাকে নিজের অর্ধেক শক্তি দিয়ে দেওয়া। তাহলে একটা ব্যাল্যান্স আসবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন