আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৪

লুক্স লিখিত সুসমাচার - ৩৪

লিখেছেন লুক্স

৩১১.
''ধর্ম যার যার, উৎসব সবার'' - এটা মডারেটদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাওতাবাজি। কোরবানীর ঈদে মুসলমানের ঘরে দাওয়াত খেতে যাওয়া যেমন হিন্দুদের কাজ না, মূর্তিপূজার সামনে বসে প্রসাদ খাওয়াও সহি মুসলমানদের জন্য না। খ্রিষ্টানদেরকে মেরি খ্রিষ্টমাস বলে শুভেচ্ছা জানালেও অনেকের ধর্ম নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখেছি। পশুবলি, সারাদিন উপবাস, দলবেধে উলঙ্গ হয়ে নাচানাচি, একজন মানুষের পিঠে বরশি গেঁথে ঝুলিয়ে রাখা, ধারালো ছুরি দিয়ে নিজের মাথা বা পিঠ রক্ষাক্ত করা, নিজের মৃত পিতা মাতার মাংস খেয়ে ফেলার মতো ধর্মীয় উৎসব কখনোই সভ্য যুগের কোনো সভ্য মানুষের জন্য হতেই পারে না। তাই ধর্ম যে পাগলের, ধর্মীয় উৎসবও সেই পাগলের।

৩১২.
৯০% মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে ৮৭% নারী নির্যাতিত হয়। বাকী ৩%-এর হিসাব মিলতেছে না। কারা এই ৩%, যারা মুমিন মুসলমান হইয়াও আল্লাহ আর নবীর হুকুম মানতেছে না? অথবা দেশে কি এই রকম নারী মাত্র ৩%, যারা নিজে চাকরী কইরা অকর্মা স্বামীরে ঘরে বসাইয়া খাওয়ায়?

৩১৩.
আমি আমার মতো করে গাঞ্জা খাবো, আপনি আপনার মতো করে গাঞ্জা খাবেন। আমি আমার মতো করে মিথ্যা কথা বলবো, দুর্নীতি করবো, লোক ঠকাবো, ভণ্ডামী করবো, আপনিও আপনার মতো করে এসব করবেন। আমরা সবাই একই দেশে একই সমাজে থাকি। সবাই মিলেমিশে ধান্দা করলে আমাদের সবার সুখে থাকতে কোনো অসুবিধা তো দেখি না। যুগ যুগ ধরে আমাদের বাপ দাদারাও এভাবে মিলে মিশেই ব্যবসাটা করেছেন। দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষগুলারে ভাবগাম্ভীর্যের সাথে সারা জীবনই গাঞ্জা খাওয়াইছেন। ব্যপারটা আমার কাছে এ রকমই মনে হয়, যখন একজন ধার্মিক আমাকে বলেন, আমি আমার মতো করে আমার ধর্ম-কর্ম করবো, আপনি আপনার মতো করে ধর্ম-কর্ম করবেন। নাস্তিকদের এতে অসুবিধা কোথায়? নাস্তিকরা কেন আমাদের সুখের মধ্যে বাম হাত দিতে আসে। নাস্তিকরাই আমাদের ব্যবসা খারাপ করে সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করতেছে। হাতের কাছে পাইলেই নাস্তিকগরে কোপাইতে হপে, আর তা না পারা গেলে গালাগালির উপরে রাখতে হপে। গাঞ্জাবিদ্বেষী হওয়া যাবে না।

৩১৪.
বুঝলাম, ইসলাম কখনো অন্য ধর্মের মানুষদের ওপর অত্যাচার করতে বলেনি, তাদের খুন করতে বা ঘরবাড়ি পোড়াতেও বলেনি। তাহলে মুসলমানরা গত দেড় হাজার বছর ধরে সারা বিশ্বব্যাপী ইসলামের নামে এসব সন্ত্রাসী কাজ করার স্বভাব পেল কোন ধর্ম থেকে?

৩১৫.
সমলিঙ্গের বিয়েকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করার ধারা বিলোপে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সুপারিশ নাকচ করেছে বাংলাদেশ। মুসলমানদের ধারণা সমকামিতা মানেই বিকৃত মানসিকতা। আর যারা সমকামীদের পক্ষে কথা বলে, তারা অন্যকেও সমকামী হতে উৎসাহিত করে। সমকামিতা কী, সেটা বোঝা তো আর দরিদ্র মুসলিম দেশের মানুষের কাজ না। কোনো মুসলিম রাষ্ট্রে কি আজ পর্যন্ত সমকামীদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? মুসলমানরা তো সমকামী আর তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে মানুষই মনে করে না। বিশ্বে সমকামীদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে-রাষ্ট্রগুলোতে, তার সবগুলোই শিক্ষিত ও উন্নত রাষ্ট্র। সমকামিতা যে একটি প্রাকৃতিক ব্যাপার, তা বুঝতে হলে মানুষকে অবশ্যই শিক্ষিত ও বিজ্ঞানমনস্ক হতে হয়। সমকামীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছে যে ধর্ম, সে ধর্মের অনুসারীদের সমকামীদের অধিকারের পক্ষে কথা বলার জন্য তাদেরকে ধর্ম থেকে বের হয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক ও আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে।

৩১৬.
খ্রিষ্টানগো পোপ ফ্রান্সিসের ঘিলুর অবস্থা আমাগো দেশের আল্লামা শফির ঘিলুর চেয়েও খারাপ।

৩১৭.
পৃথিবীতে যতোদিন ধর্ম থাকবে, ততোদিন ধর্মের সমালোচনাও থাকবে। পৃথিবীর কোনো দেশই আজ পর্যন্ত আইন করে ধর্মের সমালোচনা বন্ধ করতে পারেনি। আইন করে ধর্মের সমালোচনা বন্ধ করার চেষ্টা করা মানেই হচ্ছে - আপনার ধর্মে সমস্যা আছে এবং আপনি ধর্মের সমালোচনা করার জন্য সমালোচকদেরকে আরো বেশি করে উসকে দিলেন। অবৈজ্ঞানিক মতবাদকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করাই বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের কাজ। মানুষকে আলোকিত করার জন্য আইন প্রনয়ণ করুন, অন্ধকারে আটকে রাখার জন্য নয়।

৩১৮.
মানুষ চাঁদে যেতে পারে - এটা এখনো অনেক মুসলমান বিশ্বাস করে না। তবে চাঁদ থেকে ফিরে এসে সুন্দরী রমণীরা ইসলাম গ্রহণ করে, এটা তারা ঠিকই বিশ্বাস করে।

৩১৯.
জন্মের সাথেই সাথেই পরিবারের পক্ষ থেকে আপনার ওপর ধর্ম চাপিয়ে দেয়া হয়েছে, কিন্তু বড় হয়ে ওঠার পর সেই ধর্ম ত্যাগ করলে আপনাকে হত্যা করা হবে। সেটাই ধর্মের বিধান। বলুন তো, কোন ধর্মে?

৩২০.
আচ্ছা, একজন মুসলমান যদি একদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে সুন্দর করে তার ভিডিও তৈরি করে তারপর প্রতিদিন নামাজের সময়ানুযায়ী নামাজের ভিডিওগুলো তার ঘরে চালায়, তাহলে কি আল্লাহ তার নামাজ কবুল করবে? আপনাদের মতো আমিও এই প্রশ্নের উত্তর জানি। তাহলে কাফেরদের আবিষ্কার করা প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিদিন টেলিভিশনে নামাজের আগে আযান প্রচার করলে সেটা কীভাবে গ্রহণযোগ্য হয়? মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর টেলিভিশন চ্যানেলে আজানের সম্প্রচার দেখলে মনে হয়, ইসলাম ধর্মে আজান কোথায় এবং কীভাবে দিতে বলা হয়েছে, মুসলমানরা সেটা জানেই না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন