আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০১৪

খেজুর বাগানের বাকি ইতিহাস

লিখেছেন এম এস নিলয়

দিনের বেলা সাধারণত তার কখনোই প্রকৃতির ডাক আসে না; আজকে কী হল, কে জানে। সম্ভবত আগের দিনের উটমূত্রসহযোগে খেজুরভক্ষণ পরিমাণে একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল। উফফ... বাড়ির হাগাখোলা আর কতদূর?

তিনি যত দ্রুত সম্ভব হাঁটার চেষ্টা করছেন। তাই বলে আবার দৌড়াতেও পারছেন না; পাছে হাগু পায়জামাতেই হয়ে যায় সেই ভয়ে। হাগুকে পাছায় আটকে রাখার যতগুলো কায়দা-কানুন জানা আছে, সবগুলো প্রয়োগ করলেন; নাভির ফুটোয় আঙুল চেপে রাখলেন; জিভে কামড় দিয়ে ধরে রাখলেও নাকি হাগু আটকায়; কিন্তু আজকে কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। ইঁদুরের গর্ত থেকে ইঁদুরের মাথা যেভাবে উঁকি দেয় দেয় অবস্থা।

উফফ... আর মনে হয় আটকে রাখা যাচ্ছে। যা থাকুক কপালে; পাশের ওই খেজুর বাগানেই ঢুকে যান তিনি। কার বাগান, কে জানে! দিনে কেউ এদিকে থাকার কথা নয়। একজনের বাগানে আরেকজনকে বাহ্যত্যাগ করতে দেখলে খবর আছে তার।

তাড়াহুড়ায় পাজামার ফিতা গেল গিট্টু লেগে; সেটা দেখে মুখ দিয়ে তার বেরিয়ে এলো উচ্চমার্গীয় "চ" বর্গীয় এক খিস্তি। খিস্তির শব্দে পাশের ঝোপটি কেঁপে উঠলো; ভয়ে নবী চিৎকার করে উঠলেন। ঝোপের পেছন থেকে উঁকি দিলো এক অপূর্ব সুন্দুরী অর্ধনগ্ন নারীমূর্তি। এই মেয়ের মতন সুন্দরী মেয়ে তিনি তার সারা জীবনেও দেখেননি।

ওদিকে তার মেশিন সেকেন্ডে রেডি হয়ে গেল; মেশিনের গুঁতাতেই কি না কে জানে, ঠিক তখনি পাজামার গিট্টু গেল খুলে। এমন রেডি নগ্ন দেহ তো আর এভাবেই ফেলে যাওয়া যায় না। উফফ!!! ওদিকে ঈমানদণ্ড শক্ত হয়ে হয়ে টনটন করছে।

হাগু যে কখন নিতম্ব থেকে মাথায় উঠেছে কে জানে; আগে জানা ছিল যৌন উত্তেজনায় মুত্রচাপ প্রশমিত হয়; মলের চাপও যে প্রশমিত হয় আজকেই জানা হল।

বাঁচাআআআআআআআআআআআআআআওওওওওওওওওওওও!!!

ওহ মাই কাঁঠালপাতা! আশেপাশে যে এত মানুষ ছিল কে জানতো! পিপীলিকার মতন বিভিন্ন ঝোপ থেকে তারা বের হয়ে আসছে। 

আজকে ধরতে পারলে নির্ঘাত নবীজী থেকে তাকে নোবিচি বানিয়ে দেয়া হবে। আজকে আর রেহাই নাই! অতএব মাথা নিচু করে পাজামা সামলে দে দৌড়। এক দৌড়ে জয়নবের ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দিলেন।

মলের গন্ধে ঘর ম ম। তাড়াতাড়ি পাজামা খুলে জয়নবের দু পায়ের ফাঁকে কোমর দিয়ে শুয়ে পড়লেন। বাহ! এখন কেউ তাকে খুঁজতে এলেও তার কাছে সাক্ষী আছে তিনি খেজুর বাগানে ছিলেন না; তিনি তো শস্যক্ষেত্রে শস্য ফলাচ্ছিলেন; খেজুর বাগান তিনি চেনেনই না।

- বউ।
- বলুন নবী।
- তোমার মুখের ওপরে চামড়ার টুকরোটি দেই?
- কেন, হে আল্লার রসূল?
- আল্লার হুকুম; এই মাত্র অহি পাইলাম।
- তবে তা-ই করুন; আল্লার ইচ্ছা বলে কথা।

আহ! খেজুর বাগানের সেই মেয়ের মুখ কল্পনা করে জয়নবের সঙ্গে ছহবত করে তৃপ্ত হলেন তিনি। জয়নবের শরীর কিছুটা সেই ঝোপের মেয়ের মতন। তাই জয়নবের মুখ চামড়ার ফালি দিয়ে ঢেকে সেই মেয়েকে কল্পনা করে সঙ্গম করতে একটুও বেগ পেতে হয়নি।

এখন তার বলদ সাহাবীদের কাছে যাওয়া দরকার। সবাই অপেক্ষা করছে তার জন্য। মাথামোটা গুলো তিনি যা-ই বলেন, তা-ই বিশ্বাস করে। ওদের খাটিয়ে মজা তিনি ভালোই লুটছেন আজকাল।

সব কিছু তো আর খুলে বলা যায় না; তাই সংক্ষেপে আর কিছুটা আকারে ইঙ্গিতে ঘটনাটি তিনি তার সাহাবীদের বললেন। তাকে বিপদে ফালার কারণে ঝোপের মেয়েটিকে "শয়তান" বলে গালি দিতেও ভুললেন না।

এই হল আসল ঘটনা। তবে সংক্ষেপে আর সাংকেতিকভাবে লিপিবদ্ধ হাদিসটি পড়ুন: 

জাবির হতে বর্ণিত: আল্লাহর রাসুল (দঃ) একবার একজন স্ত্রীলোক দেখতে পেলেন। সুতরাং তিনি তাড়াতাড়ি তার স্ত্রী জয়নবের নিকট গেলেন এবং তার সাথে সঙ্গমে মিলিত হলেন। জয়নব তখন একটি চামড়া ট্যান করছিলেন। সঙ্গম শেষে রাসুল সাহাবীদের নিকট ফিরে গিয়ে বললেন- সাক্ষাৎ শয়তান মেয়ের রূপ ধরে আমার কাছে আসল। সুতরাং তোমরা কেউ যদি এরূপ মেয়ের মুখোমুখী হও, তৎক্ষনাৎ নিজের স্ত্রীর নিকট চলে যাবে। এভাবেই কেবল অন্তরের কু-বাসনার নিবৃত্তি সম্ভব।

সহি মুসলিম, বুক নং-৮, হাদিস নং-৩২৪০ 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন