৩২১.
একমাত্র নাস্তিকরাই পারে সত্যিকারের ধর্মনিরপেক্ষ হতে। কারণ একমাত্র ধর্মহীন নাস্তিকদের কাছেই সকল ধর্ম সমান শ্রদ্ধেয় এবং সমান ভূয়া।
৩২২.
ঈমান শব্দের আভিধানিক অর্থ দৃঢ় বিশ্বাস। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক। ঈমানের সাতটি অঙ্গ হচ্ছে:
- আল্লাহ এক, তিনি ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নাই এবং হযরত মুহাম্মদ (সা:) তাঁর বান্দা ও রাসূল,
- ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস,
- সমস্ত ঐশী গ্রন্থের উপর বিশ্বাস,
- সকল নবী ও রাসূলের প্রতি বিশ্বাস,
- পরকালে বিশ্বাস,
- ভাগ্যে বিশ্বাস,
- মৃত্যুর পর পুনরুত্থানে বিশ্বাস
ঈমান মুসলমানের কাছে প্রাণের চেয়েও প্রিয়। অজ্ঞতা-অনুমান আর কল্পনা-কুসংস্কারের কোনো অবকাশ ঈমানে নেই।
৩২৩.
আমাদের দেশের অনেক উচ্চশিক্ষিত মানুষ আছেন, যাঁরা মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা বন্ধের বিপক্ষে। এরাই প্রগতিশীলতার পথে আসল শত্রু। মাদ্রাসার একটি কোমল মনের শিক্ষার্থীর হাতে পর্যায়ক্রমে দেশের প্রচলিত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থার পাঠ্যপুস্তক তুলে দিলে সে তা ফিরিয়ে দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি না।
৩২৪.
প্রতিটি উপজেলায় মসজিদের পাশাপাশি নাস্তিকদের জন্য উন্নতমানের যুক্তি ও বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্র চাই। মাইক লাগবে না।
৩২৫.
ধর্ম এখন সার্কাস। মানুষকে ধর্মীয় বা আধ্যাত্বিক শক্তি দেখিয়ে বোকা বানিয়ে ব্যবসা করা অনেক পুরোনো রীতি। ভারতবর্ষে এই রীতি এখনো ব্যাপক এবং ভয়াবহভাবে প্রচলিত আছে। শুন্যে ভেসে বা এ জাতীয় অনেক জাদুমন্ত্র দেখিয়ে জীবন ধারণ করছে অসংখ্য সাধু সন্ন্যাসী। ধর্মান্ধ মানুষকে একটা সামান্য বৈজ্ঞানিক পন্থা অবলম্বন করে বোকা বানিয়ে ব্যবসা করা কতই না সহজ ! মজার ব্যাপার হচ্ছে, ভারতবর্ষের আধুনিক সাধু সন্ন্যাসীরা তাদের এই আধ্যাত্মিক শক্তির ব্যবসা এখন খুলে বসেছে ইউরোপে। তবে ইউরোপের মানুষকে বোকা বানানো যাচ্ছে না। তাই সাধুরা এই কৌশলকে ইউরোপের বাজার ঘাটে সার্কাস হিসেবেই প্রদর্শন করছে। ইউরোপের ছেলেপুলেরাও অনেক আগে থেকেই জানে - পোশাকের ভেতর দিয়ে ঘোরানো প্যাচানো শক্ত লোহার ফ্রেম বানিয়ে, তার ওপর বসে কীভাবে শূন্যে ভাসতে হয়। ইউরোপের মানুষ ভারতের এই সাধু-সন্ন্যাসীদের আধ্যাত্মিক সার্কাস দেখে ভালোই মজা পায়। মানবিক কারনে পয়সা দিয়ে সাহায্যও করে বিদেশী এই পথ-শিল্পীদের। একদিন পৃথিবীর ধর্মের সব আধ্যাত্মিকতাই ধর্মব্যবসা থেকে সার্কাসে পরিণত হবে।
৩২৬.
যে ধর্ম মানুষকে শিল্প ও বিজ্ঞানে উৎসাহিত করে না, যে ধর্মের বিলুপ্তি সময়ের ব্যাপার মাত্র।
৩২৭.
শফি হুজুর কোরানের কথাগুলোই চট্টগ্রামের ভাষায় উচ্চারণ করাতে নারী সমাজ অপমানিত হয়। অথচ এই কথাগুলোই কোরানে লেখা আছে, নারী সমাজের খবরও নাই; নারীরা আরামসে সেই ধর্ম পালন করে যাচ্ছে দেড় হাজার বছর ধরে।
৩২৮.
ইসলামী রাষ্ট্রগুলোকে নরকে পরিনত করার কাজ মুসলমানরা অনেক আগেই সম্পন্ন করেছে। এবার তারা হাতে নিয়েছে উন্নত কাফেরদের দেশগুলোকে নরকে পরিণত করার প্রজেক্ট। মোটা মাথার মুসলমানরা ইউরোপ-আমেরিকায় এসে শুধু দাড়ি রাখা, হিজাব করা, হালাল খাবারের দোকান আর সৌদি আরবের টাকায় বড় বড় মসজিদ বানানোর অধিকারের আন্দোলন করেই ক্ষান্ত হয় না, তারা এসব দেশে শরিয়া আইনও প্রতিষ্ঠা করতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। আমেরিকান আর ইউরোপিয়ানরা খুব শীঘ্রই তাদের দেশ থেকে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির কারনে মুসলমান ইমিগ্র্যান্টদের পিটিয়ে তাড়াবে - এটা সহজেই অনুমান করা যায়। মুসলমানদের ওপর বিরক্ত হয়ে ইউরোপিয়ানরা এখানকার মসজিদ গুলোতে আগুন দিচ্ছে মাঝেমধ্যেই। কিছুদিন আগে কোলন-এর একটি মসজিদে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে এক জার্মান তরুণ।
৩২৯.
যে দেশে সবাই অজ্ঞ, সে দেশে সবাই ইসলামি বিশেষজ্ঞ।
৩৩০.
লেখাপড়া না করা সুন্নত। ইসলামে কোথাও শিক্ষার প্রতি উৎসাহ দেয়া হয়নি। যে কারনে বিশ্বের সব মুসলিম রাষ্ট্রই জ্ঞানে বিজ্ঞানে আর শিক্ষায় অনেক পিছিয়ে। কোরানে কোথাও মুসলমানদেরকে মানবিক আর সভ্য হতে বলা হয়নি। বার বার মুসলমান হতে বলা হয়েছে, মুসলমান না হয়ে মৃত্যবরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে, অন্য ধর্মকে আঘাত করতে বলা হয়েছে, তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিতে বলা হয়েছে, ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ ফরজ করা হয়েছে। বোকা-সোকা মানুষগুলার আর কী দোষ? ধর্মেই যেখানে ভুত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন