আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৪

ইসলামোরফোসিস - ১০

লিখেছেন কৌশিক

চোদ্দশ বছর আগে রাষ্ট্রের কাঠামো এখনকার মত না থাকলেও আল্লাহ সোবহানুতায়ালা তখন এক জাতি উদ্ভব করেছিলেন। বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের একই ভাষায় কথা বলার জন্য আন্তর্জাতিক বেহেশতী ভাষা চালু করে প্রথম গ্লোবালাইজেশনের সূচনা করেছিলেন বলে আমার অন্তর কাবা শরীফের গিলাফের সাথে লটকে থাকে। এক উম্মাহ এক রাষ্ট্র - কোনো ভিসা নাই, কোনো বর্ডার নাই! সোবহানুতায়ালা কত মহান - তিনি মানুষের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিভক্তিকে দূর করে সব মানুষকে সোজা করে দিলেন। আমাদের মাওলানা হরমুজ জিহাদী বলেন, পৃথিবীর সমস্ত মানুষের কেবলা হচ্ছে মক্কার দিকে, এক ইমাম পৃথিবীর খেলাফতি করবে! 

আমি পৃথিবীর সমস্ত মানুষের গালে দাড়ি দেখতে চাই। সবাই লম্বা লম্বা পাঞ্জাবী পরে ঘুরে বেড়াবে। আরবীতে কথা বলবে। আরবী হরফে নিজেদের ভাষা লিখবে। ক্রমশ পরবর্তী প্রজন্ম আরবীতে আরো বেশী এক্সপার্ট হবে। তবে তার আগে চাই দেশে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠা। আল্লাহ ইসলামকে সর্বশ্রেষ্ঠ ও শক্তিশালী করার জন্য আরবে তেলের খাজানা দিয়েছেন। তেরশ বছর মুসলমানদের মেহনত আর কষ্টের ফলে আল্লাহ তাদেরকে জাগতিক পুরষ্কার দিয়েছেন। এই তেল এখন বিশ্বের চালিকাশক্তি। একদিন যদি আরবরা তেল বন্ধ করে দেয়, পৃথিবীর সব মানুষ যার যার জায়গায় কেবল ঘুরপাক খাবে। সোবহানাল্লাহ, আল্লাহ মুসলমানদের হাতে আসল শক্তি দিয়েছেন। 

বিশ্বব্যাপী ইসলামের ছায়াতলে মানুষ এক দ্বীনি জিন্দেগী কায়েম করবে। কোথাও কোনো অশান্তি থাকবে না। আকাশ-বাতাস আল্লাহর কালামে মুখরিত হবে। মুসলমান যে শ্রেষ্ঠ, এর জন্য তাকে পৃথিবীর বুকে ইসলামকে কায়েম করতে হবে। কিন্তু যেহেতু এখন মানুষ জন অনেক বেশি প্রযুক্তিনির্ভর, আর বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় নতুন নতুন অনেক নিয়ম আবিষ্কার করেছে সেজন্য আমাদেরও কৌশলী হতে হবে। আপাতত তাদেরকে তাদের পছন্দমত জিনিসের বিরুদ্ধাচারণ করতে বলা হবে না। যেমন বাজনাসহ গান শোনা নিষেধ করলে তারা হয়তো ইসলাম পছন্দ নাও করতে পারে, এজন্য বাজনাসহ ইসলামিক গান বাজাতে হবে। ছেলেপেলের হস্তমৈথুন নিষেধ করা হলে এরা ব্রথেলে যেতে পারে এজন্য এটাকে অনৈসলামিকও বলা যাবে না। নারী নেতৃত্বের ছায়াতলে থাকা যাবে না বলা হলে ভিন্ন ধর্মের নারী তো দূরের কথা, মুসলমান নারীরা কাফের হয়ে যেতে পারে - এজন্য তাদেরকেও নিয়ে আসতে হবে নেতৃত্বে। 

আমাদের জীবনব্যবস্থায় এমন একটা রূপ নিয়ে আসতে হবে, যা পাশ্চাত্যের মত আধুনিক ও উন্মুক্ত হয় - কিন্তু আবার পাশ্চাত্যের বিরোধিতাও করা যায়। তারপরে একবার ইসলাম কায়েম হয়ে গেলে তখন সবকিছু সংশোধন করে নিলেই হবে। আল্লাহর আইন রাষ্ট্রে কায়েম হলে তখন আর কেউ বিরুদ্ধাচারণ করতে পারবে না। তালেবানদের মত আহমিয়াতের সাথে শরীয়তের পাবন্দ হওয়া যাবে। ইরানের মত পাথর মেরে ব্যাভিচারিনীকে শাস্তি দেয়া যাবে। সৌদিদের মত তরবারীর ধারালো কোপে শিরশ্ছেদ করা যাবে। 

আমি ইসলামিক আন্দোলনের সুবিধার জন্য আমার দাডড়ি কামিয়ে ফেললাম। নামাজ পড়া বাদ দিলাম। কারণ বেশীরভাগ মুসলমানই এসব করে না, কাজেই আমাকে বিশেষভাবে আলাদা করার কোনো সুযোগ থাকবে না। আমি অন্যদের মত বিভিন্ন ব্লগে ইসলামের বিরোধিতাকারীদের গালাগালি শুরু করি। আজকে আল্লাহর নবীরে একজন গালি দিছে বলে তার মা-বাপের চোদ্দগুষ্টি উদ্ধার করেছি। যেমন কুকুর তেমন মুগুর। ইসলাম শুধু সহনশীলতার নয়, উগ্রতাও দরকার। আল্লাহর নবীর ভালোবাসায় কাফেরদের টুকরো টুকরো কেটে না ফেলতে পারলে নবীর প্রতি ভালোবাসা কীভাবে প্রদর্শন করা হয়? কোথাকার কোন ডেনমার্ক-সুইডেনে নবীজিকে নিয়ে কার্টুন করবে, এটা কি হয়! এইদেশের সব ডেনিস-সুইডিসদের পিটিয়ে হাগিয়ে দেব। 

আমি লাখো লাখো মুসলমান ভাইরা যেমন ধর্মের কোনো নিয়ম পালন করে না, তেমনভাবে আমি ধর্ম পালন করে তাদের কাছাকাছি পৌছতে চাই। আমি তারপরেও দেশে ইসলামিক শাসনের পক্ষে, এটা লোকজন জানলে আর ইসলামিক শাসনকে ভয় পাবে না। তারা মনে করবে - কোনো জবরদস্তী যদি না-ই থাকে, তবে তো এমন শাসনই ভাল। 

আল্লাহর নবী বলেছিলেন, তোমরা যখন দাওয়াত দিবা তখন হেকমতের সাথে দিবা! আল্লাহ ইসলামিক রাজনীতিকে হেকমতের সাথে পরিচালিত করার তৌফিক দান করুন! আমাদের দেশে একবার ইসলামিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে দেখবেন চালের দাম কত কমে গেছে। আমাদের নবীজির দেশের উম্মতেরা আমাদের তেল দেবে মাগনা - সেই তেল বেচে দেশের মানুষের জন্য চাল কেনা হবে, দুই রাকাত নামাজ পড়বে - আর আল্লাহ দরবার থেকে দুই কেজি চাল অবতীর্ণ হবে। 

আল্লাহ আমাদের ইসলামী রাজনীতির জন্য কৌশলী হবার ও পাশ্চাত্যের মত-মুক্ত আচরণ করার তৌফিক দান করুন। নিশ্চয়ই আল্লাহ জানেন কার মনের মধ্যে কী আছে!

* দশখন্ডে সমাপ্ত এই ইসলামোরফোসিসের ওপরে তালিম ও আমল করার জন্য বাংলাদেশে ইসলামিক আন্দোলনের কর্মীদের ইহা অবশ্যপাঠ্য। আল্লাহ আমাদের ছহি ইসলামি আন্দোলন পরিচালনা করা তৌফিক দান করুন।  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন