মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৪

বৌদ্ধশাস্ত্রে পুরুষতন্ত্র: নারীরা হল উন্মুক্ত মলের মতো দুর্গন্ধযুক্ত - ১১

লিখেছেন নিলয় নীল 

পর্ব ১ > পর্ব ২ > পর্ব ৩ > পর্ব ৪ > পর্ব ৫ > পর্ব ৬ > পর্ব ৭ > পর্ব ৮ > পর্ব ৯ > পর্ব ১০

ওপরের বিভিন্ন জায়গায় বৌদ্ধশাস্ত্র পাঠ করার সময় বোধিসত্ত্ব কথাটা চলে এসেছে। বোধিসত্ত্ব কথাটা বিশ্লেষণ করার প্রয়োজন মনে করছি। বোধিসত্ত্ব শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে, বুদ্ধত্ব (শাশ্বত জ্ঞান) প্রাপ্তিই যাঁর ভবিতব্য অর্থাৎ যিনি বোধিলাভ করার জন্যই জগতে আবির্ভূত হয়েছেন। বৌদ্ধধর্মের বিভিন্ন শাখায় বোধিসত্ত্বের বহুবিধ ব্যাখ্যা থাকলেও মহাযান বৌদ্ধধর্ম মতে বোধিসত্ত্ব হলেন তিনিই, যিনি জগতের কল্যাণের জন্য স্বয়ং নির্বাণলাভ থেকে বিরত থাকেন এবং বিশ্বের সকল জীবের মুক্তিলাভের উপায় করেন।

বোধিসত্ত্বের চিত্র - ০১ (ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত)

ত্রিপিটকে পালি ভাষায় বোধিসত্ত্ব শব্দটির প্রথম ব্যবহার করেছিলেন শাক্যমুনি বুদ্ধ। বোধিসত্ত্ব শব্দটি দ্বারা তিনি তাঁর পূর্বজন্মের অবস্থা থেকে বোধিলাভ করার পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত জীবনকে বুঝিয়েছিলেন। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে তাঁর পূর্বজন্মের কাহিনী ব্যক্ত করতে গিয়ে গৌতম বুদ্ধ বোধিসত্ত্ব শব্দটির প্রয়োগ করেছেন। অর্থাৎ এখান থেকে অনুধাবন করা যায় যে, বোধিসত্ত্ব হলেন তিনিই, যাঁর জীবনের একমাত্র ব্রতই হল বোধিলাভ।

বোধিসত্ত্বের চিত্র - ০২ (ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত)

বুদ্ধের বোধিসত্ত্বাবস্থার এই সকল কাহিনী বর্ণিত হয়েছে জাতকে। মহাযান বৌদ্ধধর্মানুসারে একজন বোধিসত্ত্ব হলেন তিনিই, যিনি বুদ্ধত্বলাভের প্রায় প্রতিটি স্তরই উত্তীর্ণ হয়েছেন। তিনি স্বয়ং পরম জ্ঞান লাভ করেছেন এবং সেই শাশ্বত বোধের আলোকে প্রতিটি জীবকে আলোকিত করছেন ও তাদের রক্ষার্থ জীবন উৎসর্গ করেছেন।

বোধিসত্ত্বের চিত্র – ০৩ (ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত)

আবার আসি নারী প্রসঙ্গে - কোনো বিশেষ নারী নয়, নির্বিশেষে সকল নারীই ব্যভিচারিণী, নাহ্, এটা আমার কথা নয়, বলেছেন স্বয়ং বোধিসত্ত্ব যার সম্পর্কে এতো সময় বর্ণনা করলাম। সকল নারীই যে ব্যভিচারিণী এই বিষয়ে আলোচনা করবো ১৪৫ নম্বর জাতক, যার নাম রাধ জাতক। এই জাতকের অতীতবস্তুতে ব্যভিচারিণী ব্রাহ্মণীকে ব্রাহ্মণ বাধা দিতে গেলে বোধিসত্ত্ব বলেন, “ভাই তুমি নিতান্তই অবোধ, কিছুই বুঝো না, তাই এইরূপ বলিতেছো। রমণীদের সঙ্গে সঙ্গে বহন করিয়া লইয়া বেড়াইলেও রক্ষা করিতে পারা যায় না।” এরপর বোধিসত্ত্ব নিম্নোক্ত গাথাটি বলেন:
তুমি নাহি জান আরও কতো জন
না হইতে অর্ধ রাত্রী দিবে দর্শন!
নিতান্ত অবোধ তুমি, তাহারই কারণ
বলিলে করিতে মোরে অসাধ্য সাধন।
কামিনীর কুপ্রবৃত্তি, পতিভক্তি বিনা
দমিতে যে পারে কেহ, আমি তো দেখিনা।
কিন্তু সেই পতিভক্তি, হায় হায় হায়
নারীর হৃদয়ে কিছু নাহি দেখা যায়। 
(চলবে)





























কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন