আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ২ এপ্রিল, ২০১৪

কুরানে বিগ্যান (পর্ব-৩১): বদর যুদ্ধ - ২: লুণ্ঠন, সন্ত্রাস ও খুন বনাম সহিষ্ণুতা: ত্রাস, হত্যা ও হামলার আদেশ – চার

লিখেছেন গোলাপ


আদি ও বিশিষ্ট মুসলিম ইতিহাসবিদদের বর্ণনার আলোকে বদর যুদ্ধের প্রকৃত কারণ ও প্রেক্ষাপটের বিস্তারিত বর্ণনা আগের পর্বে আলোচিত হয়েছে। বাণিজ্য ফেরত কুরাইশ কাফেলার উপর  মুহাম্মদ ও তাঁর সহচরদের অতর্কিত চোরা-গোপ্তা হামলায় কুরাইশদের সর্বস্ব লুণ্ঠন (ডাকাতি), পরিবার-পরিজনদের বন্দী ও আমর বিল আল-হাদরামীর খুনের ঘটনার (পর্ব -২৯) অনুরূপ ঘটনার পুনুরাবৃত্তি রোধে কুরাইশদের সর্বপ্রথম সশস্ত্র প্রতিরক্ষা চেষ্টায় ছিল বদর যুদ্ধের প্রেক্ষাপট। সিরিয়া থেকে প্রত্যাবর্তনকারী বাণিজ্য-ফেরত আবু-সুফিয়ান ও তাঁর সহচরদের জীবনরক্ষা ও তাঁদের তত্ত্বাবধানে মক্কাবাসী প্রায় সমস্ত কুরাইশ গোত্রের যে অর্থ ও বাণিজ্যসামগ্রী মুহাম্মদ ও তাঁর সহচররা জোরপূর্বক লুণ্ঠনের (ডাকাতি) চেষ্টায় ছিলেন, তা প্রতিরোধের উদ্দেশ্যেই কুরাইশরা এই প্রতিরক্ষা (Diffensive) অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। আদি মুসলিম ঐতিহাসিকদের লিখিত ইতিহাসের বর্ণনায় যে সত্যটি অত্যন্ত স্পষ্ট, তা হলো, বদর যুদ্ধের প্রকৃত কারণ - স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও তাঁর সহচরদের আগ্রাসী, আক্রমণাত্মক, নৃশংস কর্মকাণ্ড – যেখানে,

“মুহাম্মদ তাঁর সহচররাই ছিল আক্রমণকারী আগ্রাসী, কুরাইশরা ছিলেন আক্রান্ত!”

মুহাম্মদ ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ), আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), মুহাম্মদ ইবনে সা'দ (৭৮৪-৮৪৫ খৃষ্টাব্দ) প্রমুখ ইসলামে নিবেদিতপ্রাণ আদি বিশিষ্ট মুসলিম লেখকরা বদর যুদ্ধ প্রসঙ্গে আরও অনেক ঘটনার বর্ণনা অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষায় সবিস্তারে লিপিবদ্ধ করেছেন। তাঁদের সেই বর্ণনারই আরও কিছু অংশ: [1]

আবু সুফিয়ান সংঘর্ষ এড়াতে চেয়েছিলেন

‘আবু সুফিয়ান তাঁর বাণিজ্য-কাফেলার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে কুরাইশদের কাছে এই মর্মে এক বার্তা পাঠান,
"তোমরা এসেছ শুধুমাত্র তোমাদের বাণিজ্য-কাফেলা রক্ষা করতে, তোমাদের লোকজনদের নিরাপত্তা রক্ষা এবং সম্পদ রক্ষা করতে। আল্লাহ তার হেফাজত করেছেন। এখন তোমরা ফিরে যাও।"

কিন্তু আবু জেহেল বিন হিশাম বলেন:


"আল্লাহর কসম, আমরা বদরে পৌঁছার পূর্বে ফিরে যাবো না।" বদর স্থানটিতে তখন প্রতি বছর আরবদের এক মেলা হতো, যেখানে তারা বাজার বসাতো। "আমরা সেখানে তিন দিন অতিবাহিত করবো। কয়েকটি উট বলি দিয়ে ভোজ, আনন্দ উৎসব ও মদ্যপান করবো; মেয়েরা সেখানে আমাদের জন্য ক্রীড়াকৌতুক করবে। আরবরা শুনবে যে আমরা সেখানে সমবেত হয়েছিলাম এবং ভবিষ্যতে তারা আমাদের সম্মান করবে । সুতরাং চলো!" [2]

আল-আখনাছ বিন শারিক বিন আমর বিন ওহাব আল-থাকাফি

‘আল-আখনাছ বিন শারিক বিন আমর বিন ওহাব আল থাকাফি ছিলেন আল-যুহফায় অবস্থিত বনি জোহরা গোত্রের মিত্র। তিনি বনি জোহরা গোত্রের উদ্দেশ্যে বলেন:

“আল্লাহ তোমাদের ও তোমাদের বাণিজ্যসম্পদ রক্ষা করেছেন এবং তোমাদের সহচর মাখরামা বিন নওফলকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। যেহেতু তোমরা শুধুই এসেছ তাকে [মাখরামা বিন নওফল] ও তার সম্পদ রক্ষা করতে, আমাকে দুর্বলচিত্ত কাপুরুষ আখ্যা দিয়ে হলেও তোমরা ফিরে যাও! এই লোকটির অভিলাষ মতো বিনা লাভে যুদ্ধে জড়ানোর কোন মানে হয় না,” এই লোকটি বলতে তিনি আবু জেহেলকে বুঝিয়েছেন।

তাই তাঁরা প্রত্যাবর্তন করেন এবং বনি জুহরা গোত্রের একজন লোকও বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেননি। যেহেতু তিনি ছিলেন কর্তৃত্বের অধিকারী এক ব্যক্তিত্ব, তাঁরা তাঁর আদেশ পালন করেন’। [3]   

উমায়ের বিন ওহাব আল যুমাহি

'কিছু প্রবীণ আনসারদের উদ্ধৃতি সাপেক্ষে আমার পিতা ইশাক বিন ইয়াসার এবং অন্যান্য জ্ঞানী ব্যক্তিবর্গ আমাকে [মুহাম্মদ ইবনে ইশাক] বলেছেন যে, শত্রুরা তাঁদের ক্যাম্পে অবস্থান নেয়ার পর তাঁরা উমায়ের বিন ওহাব বিন আল-যুমাহি কে সেখানে অবস্থিত মুহাম্মদ অনুসারীদের আনুমানিক সংখ্যা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে পাঠান। তিনি অশ্বপৃষ্ঠে আরোহণ করে ক্যাম্পের চতুর্দিকে ঘুরে আসেন এবং ফিরে এসে বলেন, “৩০০ জনের মত হবে, এর চেয়ে অল্প কিছু কম অথবা বেশিও হতে পারে। কিন্তু এখন তোমরা অপেক্ষা করো, দেখি তাদের কেউ ঘাপটি মেরে অতর্কিত হামলার অপেক্ষায় আছে কি না, কিংবা আর কেউ তাদের সাহায্যে আছে কি না।” 


তারপর তিনি দূরের উপত্যকা পর্যন্ত যান, কিন্তু কিছুই দেখতে পান না। সেখান থেকে ফিরে এসে তিনি বলেন:

“আমি আর কিছুই দেখতে পাইনি। কিন্তু হে কুরাইশ, আমি লাশবহনকারী উট দেখেছি – সেগুলি ছিল মদিনার উট, যার পিঠে ছিল কিছু লাশ। এই লোকগুলির [মুহাম্মদ অনুসারী] তরবারি ছাড়া না আছে কোনো প্রতিরক্ষা, না আছে কোনো আশ্রয়স্থল। আল্লাহর কসম, আমি মনে করি না, তারা তোমাদের কোনো লোককে হত্যা করার আগে তাদের কোনো লোককে হত্যা করা তোমাদের উচিত হবে। তারা তোমাদের যে সংখ্যক লোককে খুন করবে, তোমরাও যদি তাদের সেই সংখ্যক লোককেই খুন করো, তবে বেঁচে থাকার আর কী সার্থকতা রইলো? ভেবে দেখো, তোমরা কী করবে।”[4]

ওতবা বিন রাবিয়া

‘হাকিম বিন হিজাম তাঁর [উমায়ের বিন ওহাব আল যুমাহির] সেই কথাগুলো শোনার পর লোকজনের ভেতর দিয়ে পায়ে হেঁটে ওতবা বিন রাবিয়ার কাছে যান এবং তাঁকে বলেন:

“হে আবু ওয়ালিদ, আপনি কুরাইশদের নেতা ও অধিপতি যার আজ্ঞা তারা পালন করে। আপনি কি ভবিষ্যতে তাদের প্রশংসা নিয়ে স্মরণীয় হতে চান?” ওতবা বিন রাবিয়া বলেন, “হাকিম, তা কীভাবে সম্ভব?”

তিনি [হাকিম] উত্তরে বলেন, “আপনার পরিচালনায় তাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যান এবং আপনার মিত্র আমর বিন আল-হাদরামীর খুনের ঘটনাকে ভুলে যান।”

ওতবা বলেন, “আমি তাই করবো এবং তুমি তার সাক্ষী (যদি আমি ওয়াদা ভঙ্গ করি): সে ছিল আমার আশ্রয়ে, তাই আমার কর্তব্য হলো তার খুনের রক্ত-মূল্য এবং ছিনতাই হওয়া সম্পদের ক্ষতিপূরণ (তার আত্মীয়দের কাছে) পরিশোধ করা। তুমি ইবনে আল হানজালিয়ার [আবু জেহেল বিন হিশাম] কাছে যাও; কারণ আমার আশঙ্কা সেইই ঝামেলা করতে পারে, অন্য কেউ নয়।[5]

তারপর ওতবা উঠে দাঁড়ান এবং বলেন, ‘হে কুরাইশগণ! আল্লাহর দোহাই, মুহাম্মদ ও তার সহচরদের সাথে যুদ্ধ করা অর্থহীন। যদি তোমরা তাদেরকে আক্রমণ করো, তোমরা সর্বদাই বিতৃষ্ণ চোখে প্রত্যেকেই প্রত্যেক সহচরদের দিকে তাকিয়ে দেখবে যে, তোমারই এক সহচর খুন করেছে তোমারই কোনো চাচাতো ভাইকে, কিংবা মামাতো ভাইকে বা আত্মীয়-স্বজনকে। সুতরাং ফিরে চলো এবং মুহাম্মদকে বাকি আরবদের হাতে ছেড়ে দাও। যদি তারা তাকে হত্যা করে, তবে তোমরা তো তা-ই চাও; যদি তা না হয়, তবে সে বুঝবে যে, তাকে তোমরা হত্যা করার চেষ্টা করোনি যা (আসলে) ছিল তোমাদের পছন্দ।’"

হাকিম বিন হিজাম

হাকিম বলেন, ‘আমি আবু জেহেলের কাছে যাই এবং দেখি যে সে তার বর্ম [কঁচুক] ব্যাগ থেকে বের করে তৈলাক্ত করছে। আমি তাকে বলি, “হে আবু আল-হাকাম, আমাকে ওতবা তোমার কাছে তাঁর বার্তা পৌঁছানোর জন্য পাঠিয়েছেন”; এবং আমি তাকে ওতবা যা যা বলেছেন তা অবহিত করাই।

সে [আবু জেহেল] চেঁচিয়ে বলে, “হে আল্লাহ, মুহাম্মদ ও তার সহচরদের দেখে ওর আত্মা সিক্ত (ভয়ে) । না, আল্লাহর কসম, আমরা মুহাম্মদের সাথে এর ফয়সালা না করে ফিরবো না, যা আল্লাহর ইচ্ছা। ‘ওতবা’ তার নিজের কথাকে বিশ্বাস করে না, সে দেখেছে যে, মুহাম্মদ ও তার সহচরদের দল (সংখ্যায়) দিনে একটি উট ভোজের পরিমাণ [প্রায় ৩১৩ জন; আর কুরাইশরা ছিল সংখ্যায় অনেক বেশী, দিনে নয়-দশটি উট ভোজের পরিমাণ - প্রায় ৯৫০ জন।], যে দলে আছে তার নিজেরই ছেলে; তাই সে ভীত এই ভেবে যে, পাছে তোমরা তার ছেলেকে হত্যা করো।” [6]

তারপর সে [আবু জেহেল] আমির বিন আল হাদরামীর কাছে যায়, বলে: “তোমার এই মিত্র এই মুহূর্তে রক্তের প্রতিশোধ না নিয়েই তার লোকজনদের নিয়ে তোমার চোখের সামনে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করতে চায়। অতএব উঠে দাঁড়াও, এবং তোমার ভাইয়ের [আমর বিন আল হাদরামী] খুনের অঙ্গিকার তাদের স্মরণ করিয়ে দাও।” আমির নিজেকে উন্মুক্ত করে উঠে দাঁড়ায়, তারপর চিৎকার করে বলে, “হায় রে আমর! হায় আমর!”

তারপর যুদ্ধের আগুন জ্বলে ওঠে, জনগণ অনমনীয় ভাবে অশুভ কাজে লিপ্ত হয় এবং ‘ওতবার’ উপদেশ তাদের কোনো কাজে আসে না। যখন ওতবা জানতে পারেন যে, আবু জেহেল তাঁকে বিদ্রূপ করেছে, তিনি বলেন, “নোংরা, সে দেখতে পাবে যে কার আত্মা সিক্ত [ভয়ে]; তার না আমার।"' অতঃপর, ওতবা তার শিরস্ত্রাণ মাথায় পরার জন্য খোঁজেন; কিন্তু তাঁর মাথাটি এত বড় ছিল যে, সেই মাপের কোনো শিরস্ত্রাণ তিনি সৈন্যদলে খুঁজে পান না, তিনি এক টুকরা কাপড় তাঁর মাথায় পেঁচিয়ে নেন।’ [7] [8]

[ইসলামী ইতিহাসের ঊষালগ্ন থেকে আজ অবধি প্রতিটি ইসলাম বিশ্বাসী প্রকৃত ইতিহাস জেনে বা না জেনে ইতিহাসের এ সকল অমানবিক অধ্যায়গুলো যাবতীয় চতুরতার মাধ্যমে বৈধতা দিয়ে এসেছেন। বিষয়গুলো অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিধায় বাংলা অনুবাদের সাথে মূল ইংরেজি অনুবাদের অংশটিও সংযুক্ত করছি। - অনুবাদ, নাম টাইটেল ও [**] যোগ - লেখক।]

Abu Sufyan tried to prevent war

‘When Abu Sufyan saw that he had assured his caravan’s safety, he sent to Quraysh saying, “You only came out to protect your Caravan, your men, and your property. God has kept them safe, so go back.”

But Abu Jahl b Hisham said, “By God! We will not go back until we have reached Badr.” Badr was the site of one of the Arab fairs where they used to hold a matket every year. “We will spend three days there, slaughter camels and feast and drink wine and the girl shall play for us. The Arabs will hear that we have come and gathered together, and will respect us in future. So Come on!’” [2]

Al-Akhnas bin Shariq bin Amr bin Wahb al-Thaqafi

‘Al-Akhnas bin Shariq bin Amr bin Wahb al-Thaqafi, an ally of Banu Zuhra who were in al-Juhfa, addressed the later, saying,“God has saved you and your property and delivered your companion Makhrama bin Naufal; and as you only came out to protect him and his property, lay any charge of cowardice on me and go back. There is no point in going to war without profit as this man would have us”, meaning Abu Jahl.

So they returned and not a single Zuhrite was present at Badr. They obeyed him as he was a man of authority.’ [3]

Umayr b Wahb al-Jumahi

‘My father, Ishaq b Yasar, and other learned men told me [Muhammad bin Ishaq] on the authority of some elders of the Ansar that when the enemy (Quraysh) had settled in their camp they sent Umayr b Wahb al-Jumahi to estimate the number of Muhammad’s followers. He rode on horseback round the camp and on his return said, “Three hundred men, a little more or less; but wait till I see whether they have any ambush or support.”

He made his way far into the valley but saw nothing. On his retirn he said,
“I found nothing, but O’ people of Quraysh I have seen camels carrying death – the camels of Yathrib laden with certain death. These men have no defence or refuge but their swords. By God! I do not think a man of them will be slain till he slay one of you, and if they kill of you a number equal to their own, what is the good of living after that? Consider, then, what you will do.’” [4]

Utba b Rabi’ah

‘When Hakim b Hizam heard those words [of Umayr b Wahb al-Jumahi], he went on foot amongst the folk until he came to Utba b Rabi’ah and said,
“O’ Abu’l-Walid, you are chief and lord of Quraysh and he whom they obey.  Do you wish to be remembered with praise among them to the end of time?” Utba said, “How may that be, O’ Hakim?”

He answered, “Lead them back and take up the cause of your ally, ‘Amr b Al-Hadrami’”.
“I will do it”, said Utba, “and you are witness against me (if I break my word): he was under my protection, so it behoves me to pay his bloodwit and what was seized of his wealth (to his kinsmen). Now go you to Ibne al-Hanzaliya [Abu Jahl bin Hisham], for I do not fear that any one will make trouble except him.” [5]

Then Utba rose to speak and said, “O’ people of Quraysh!  By God, you will gain naught by giving battle to Muhammad and his companions. If you fall upon him, each one of you will always be looking with loathing on the face of another who has slain the son of his paternal or maternal uncle or some man of his kin. Therefore turn back and leave Muhammad to the rest of the Arabs.  If they kill him, that is what you want; and if it be otherwise, he will find that you have not tried to do to him what (in fact) you would have liked to do.”’

Hakim bin Hizam

Hakim said: ‘I went to Abu Jahl and found him oiling a coat of mail which he had taken out of his bag.  I said to him, “O’ Abu’l Hakam, Utba has sent me to you with such and such message” and I told him what Utba had said. 

By God!” he cried, “his lungs became swollen (with fear) when he saw Muhammad and his companions.  No, by God, we will not turn back until God decide between us and Muhammad. Utba does not believe his own words, but he saw that Muhammad and his companions are (in number as) the eaters of one slaughtered camel, and his son is among them. So he is afraid lest you slay him.” [6]

Then he sent to Amir b al-Hadrami, saying, “This ally of yours is for turning back with the folk at this time when you see your blood-revenge before your eyes. Arise, therefore, and remind them of your covenant and the murder of your brother.” Amir Arose and uncovered; then he cried, “Alas for Amr! Alas for Amr!” 

And war was kindled and all was marred and the folk held stubbornly on their evil course and Utba’s advice was wasted on them. When Utba heard how Abu Jahl had taunted him, he said,“He with the befoulded garment will found out whose lungs are swollen, mine or his.” Then Utba looked for a hamlet to put on his head; but seeing hat his head was so big that he could not find in the Army a helmet that would contain it, he wound a piece of cloth he had round his head.’ [7] [8]
                                          
>>> আদি মুসলিম ঐতিহাসিকদের বর্ণনায় যে সত্যটি অত্যন্ত স্পষ্ট, তা হলো, “মুহাম্মদ ও তাঁর সহচরদের উপর্যুপরি নৃশংস অমানবিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আক্রান্ত ও জান-মালের ক্ষতি সত্ত্বেও [খুন, বন্দী ও সম্পদ লুণ্ঠন] কুরাইশরা মুহাম্মদ ও তাঁর সহচরদের বিরুদ্ধে কোনোরূপ “আক্রমণাত্মক ও প্রতিহিংসা পরায়ণ” পদক্ষেপ নিতে বদর অভিযানে আগত প্রায় সকল কুরাইশ গোত্রই ছিল অনাগ্রহী।" কেন তাঁরা রাজী ছিলেন না, সে বিষয়টিও অত্যন্ত স্পষ্ট! সংক্ষেপে:

১) তাঁরা এসেছিলেন মুহাম্মদ ও তাঁর সহচরদের আগ্রাসী আক্রমণের হাত থেকে তাঁদের প্রিয়জনের প্রাণ, বন্দী-দশা ও এই মরু-দস্যুদের হাত থেকে তাঁদের পরিবার-পরিজনদের জীবনধারণের উপজীব্য (livelihood) অর্থ ও বাণিজ্যসম্পদ রক্ষার্থে। 

২) তাঁরা ছিলেন সংখ্যায় ও শক্তিতে মুহাম্মদ ও তাঁর সহচরদের তুলনায় অনেক বেশি। এমন একটি অসম যুদ্ধে তাঁরা নিজেদের জড়াতে চাননি। কারণ, তাঁরা বিশ্বাস করেন এমন একটা অসম যুদ্ধে জড়িয়ে মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের পরাস্ত করায় আদৌ কোনো বীরত্ব আছে।

৩) মুহাম্মদের সহচররা ছিলেন তাঁদেরই বিপথগামী পথভ্রষ্ট ধর্মত্যাগী একান্ত নিকট-আত্মীয়, পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব অথবা পাড়া-প্রতিবেশী। সুতরাং, মুহম্মদ ও তাঁর সহচরদের সাথে যুদ্ধ করার অর্থই হলো নিজেরই পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশীদের মধ্যে খুনাখুনি করা; যা তাঁরা করতে চাননি

অন্যদিকে, সহকারীদের প্রতি স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আদেশ ছিল কুরাইশদের ওপরে-বর্ণিত মনোভাব ও মানসিকতার সম্পূর্ণ বিপরীত! বাণিজ্য ফেরত কুরাইশ কাফেলার উপর অতর্কিত আক্রমণ, লুণ্ঠন, খুন, বন্দী ও মুক্তিপণ দাবীকারী মুহাম্মদ বিন আবদ আল্লাহ তাঁর সহচরদেরকে তাদেরই পরিবার-পরিজন, প্রতিবেশী ও বন্ধু-বান্ধবদেরকে যে কী পরিমাণ নিষ্ঠুরতায় খুন ও পরাস্ত করার অবশ্য পালনীয় [ঐশী হুকুম] জারি করেছিলেন, তা ইতিহাস হয়ে আছে কুরানের পাতায়। কী সেই বার্তা?
বার্তা টি হলো,

" তাদের গর্দানের উপর আঘাত হান এবং কাট জোড়ায় জোড়ায়।"

মুহাম্মদের ভাষায়:

৮:১২-১৪: ‘যখন নির্দেশ দান করেন ফেরেশতাদিগকে তোমাদের পরওয়ারদেগার যে, আমি সাথে রয়েছি তোমাদের, সুতরাং তোমরা মুসলমানদের চিত্তসমূহকে ধীরস্থির করে রাখ। আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়। যেহেতু তারা অবাধ্য হয়েছে আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের, সেজন্য এই নির্দেশ।বস্তুতঃ যে লোক আল্লাহ ও রসূলের অবাধ্য হয়, নিঃসন্দেহে আল্লাহর শাস্তি অত্যন্ত কঠোর। আপাততঃ বর্তমান এ শাস্তি তোমরা আস্বাদন করে নাও এবং জেনে রাখ যে, কাফেরদের জন্য রয়েছে দোযখের আযাব’।[9]

>>> কিন্তু, মুহাম্মদের এই অবশ্যকরণীয় [কুরানের বানী] আদেশটি (৮:১২-১৪)সবার জন্য প্রযোজ্য ছিল না! যদিও বদর অভিযানে অংশগ্রহণকারী সকল কুরাইশই ছিলেন নিঃসন্দেহে আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের অবাধ্য [তাঁরা মুহাম্মদে বিশ্বাসী বা অনুসারী নয়]", বনি হাশিম গোত্রের লোকজন, তাঁর চাচা আল-আব্বাস এবং আবু আল বকতারি নামের এক লোক এই নির্দেশের আওতায় ছিলেন না। কারণ? কারণ, মুহাম্মদের দাবী - তাঁর নিজ গোত্র বনি হাশিমের লোক বাধ্য হয়ে বদর অভিযানে সামিল হয়েছেন, যদিও তাদের ইচ্ছা নয় যে তারা মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। তাই মুহাম্মদ আদেশ করেছিলেন যেন তাঁর সহকারীরা তাঁর গোত্রের কোনো লোককে হত্যা না করে।

একান্ত অনিচ্ছায় বনি হাশিম গোত্রের লোকেরা যুদ্ধ করতে এসেছেন - মুহাম্মদের এই দাবি সত্য হলেও সেই অজুহাতে "তাদেরকে হত্যা না করার আদেশ" নিঃসন্দেহে পক্ষপাতদুষ্ট। কারণ আদি উৎসের উপরি উল্লিখিত বর্ণনার ভিত্তিতে যে বিষয়টি অত্যন্ত স্পষ্ট, তা হলো আবু সুফিয়ানের বুদ্ধিমত্তা ও তত্ত্বাবধানে কুরাইশদের বাণিজ্য  কাফেলা ও বাণিজ্যসম্পদ নিরাপদে মক্কা পৌঁছার খবর পেয়ে আবু জেহেল ছাড়া প্রায় সকল কুরাইশ গোত্র ও নেতৃবর্গ মুহাম্মদ ও তাঁর সহকারীদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হতে চাননি। আর তার কারণটিও অত্যন্ত স্পষ্ট;  আর তা হলো - বদর অভিযানে আগত মুহাম্মদের সকল আদি মক্কাবাসী অনুসারী (মুহাজির) কুরাইশদের কোনো না কোনো পরিবার সদস্য, অথবা নিকট-আত্মীয়, অথবা প্রতিবেশী বা বন্ধু-স্বজন। সুতরাং "অনিচ্ছা সত্ত্বেও যুদ্ধে অংশগ্রহণ" কারণটি যদি বনি হাশিম গোত্রের লোকদের দণ্ড-মুক্তির (Impunity) কারণ হয়, তবে বদর অভিযানে আগত প্রায় সকল কুরাইশ গোত্রের জন্যই তা প্রযোজ্য। একমাত্র বনি হাশিম গোত্র ও আল বাকতারির জন্য নয়। তাই মুহাম্মদের এমত পক্ষপাতদুষ্ট আদেশে মুহাম্মদের এক অনুসারী আবু হুদেইফা বিন ওতবা [উপরি বর্ণিত ওতবা বিন রাবিয়ার ছেলে] কঠোর প্রতিবাদ করেন । আবু হুদেইফা বিন ওতবা প্রশ্ন করেন, "আমাদেরকে খুন করতে হবে আমাদের পিতাকে, পুত্রকে, ভাইকে এবং পরিবার-পরিজনদেরকে কিন্তু আব্বাসকে দিতে হবে ছেড়ে?" এ কেমন বিচার!বদর যুদ্ধে আবু হুদেইফার এই ন্যায় সংগত প্রতিবাদের খেসারত তাকে দিতে হয়েছিল বাকি সমস্ত জীবন! 

ঘটনাটি ছিল নিম্নরূপ:

‘(ইবনে হুমায়েদ <সালামহ <) মুহাম্মদ বিন ইশাক < আল আব্বাস বিন আবদ আল্লাহ বিন মা'বাদ < তার পরিবারের এক সদস্য <ইবনে আব্বাস হইতে বর্ণিত:

সেদিন আল্লাহর নবী তাঁর অনুসারীদের বলেন, "আমি জানি বনি হাশিম গোত্রের কিছু লোক এবং কিছু অন্যান্য জনগণ বাধ্য হয়ে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এই অভিযানে সামিল হয়েছে, তাদের ইচ্ছা নয় যে তারা আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। তাই যদি তোমরা কেউ বনি হাশিম গোত্রের কাউকে অথবা আবু আল বকতারি বিন হিশাম বিন আল হারিথ বিন আসাদ অথবা আল আব্বাস বিন আবদ আল মুত্তালিব (নবীর চাচা) কে দেখতে পাও তবে তাকে তোমরা খুন করবে না। কারণ তারা তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাধ্য হয়ে এসেছে।"

আবু হুদেইফা বিন ওতবা বিন রাবিয়া বলেন, "আমাদেরকে খুন করতে হবে আমাদের পিতা কে, আমাদের পুত্র সন্তানদের কে, আমাদের ভাই কে এবং আমাদের পরিবার পরিজনদের কে কিন্তু আব্বাস কে দিতে হবে ছেড়ে? আল্লাহর কসম, যদি আমি তার সাক্ষাত পাই তবে আমার তলোয়ারের ক্ষুধা মেটাবো [তার চোয়ালে তলোয়ারের ঘা বসাবো]।" [10]

তার এই কথগুলো নবীর কানে পৌঁছায় এবং তিনি উমর আল খাত্তাবকে বলেন, "আবু হাফস”, - এবং উমর বলেছেন যে, নবী তাকে তখনই সর্বপ্রথম এই সম্মানজনক নামে সম্বোধনে করেছিলেন-, “আবু হুদেইফা কি বলেছে, তা কি তুমি শুনেছ? সে বলেছে, 'আমি নবীর চাচার মুখে আমার তরবারির আঘাত করবো!’" উমর উত্তরে বলেন, "আমি তার গর্দান নেব! আল্লাহর কসম, সে একজন ভণ্ড মুসলমান!"

আবু হুদেইফা প্রায়ই বলতেন, "সেদিনের সেই উক্তির পর আমি কখনোই নিজেকে নিরাপদ বোধ করতাম না। আমি সর্বদায় ভীতিগ্রস্ত থাকতাম, আশা করতাম যেন শহীদ হওয়ার মাধ্যমে এর প্রায়শ্চিত্ত হয়।" তিনি ইয়ামামার যুদ্ধে শহীদ হন।'

আল্লাহর নবী আবু আল বকতারিকে খুন করতে নিষেধ করেছিলেন এই জন্য যে, যখন তিনি মক্কায় ছিলেন তখন সে আল্লাহর নবীর ক্ষতিসাধন করা থেকে লোকদের বিরত রাখতেন। আবু আল বকতারি ছিলেন ঐ সকল লোকদের একজন, যারা বনি হাশিম ও বনি মুত্তালিব গোত্রের উপর কুরাইশদের আরোপিত [সামাজিক] "বয়কট" রহিত করার প্রচেষ্টায় সক্রিয় ছিলেন।’ [11][12]

[‘According to Ibne Humayd <Salamah <Muhammad b Ishaq < Al Abbas b Abd Allah b Ma’bad < a member of his family <Ibn Abbas:

The Messenger of God said to his companions that day, “I know that some of the Banu Hashim and others have been forced to march against us against their will, having no desire to fight us.  So if any of you meet one of Banu Hashim or Abu al-Bakhtari b Hisham bin al-Harith b Asad or al-Abbas b Abd al-Muttalib the apostle’s uncle do not kill him, for he has been forced to come out against his will.” 

Abu Hudhayfah b Utbah b Rabiah said, “Are we to kill our fathers, our sons, our brothers, and our families, and leave al-Abbas? By God if I meet him I will flesh my sword in him (I will strike his jaw with my sword)!” [10]

This saying reached the apostle’s ears and he said to Umar b Al-Khattab, “Abu Hafs”, - and Umar said that this was the first time the apostle called him by this honorific-, “have you heard what Abu Hudhayfah says? He says, ‘I will strike the face of of the apostle’s uncle to be marked with the sword!’ 
Umar replied, “Let me off with his head! By God, he is a Hypocrite!”

Abu Hudhayfah used to say, “I never felt safe after my words that day. I was always afraid unless martyrdom atoned for them”. He was killed as a martyre on the day of Yamamah.’ ] [11][12]

>>> পৃথিবীর প্রায় সকল ইসলাম বিশ্বাসী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সমকালীন ও তার পূর্ববর্তী সময়ের মক্কার কুরাইশরা ছিলেন অমানবিক, নৃশংস ও নীতিহীন। মুহাম্মদ ও তাঁর সহচরদের যাবতীয় আগ্রাসী সন্ত্রাসী কর্ম-কাণ্ডের বৈধতা দিতে কুরাইশদের চিত্রিত করা হয় "আইয়্যামে জাহিলিয়াত", অর্থাৎ অন্ধকারের যুগ/বাসিন্দা রূপে। আর মুহাম্মদ ও তাঁর সহচরদের চিত্রিত করা হয় আলোকিত, শান্তির প্রবর্তক এবং ধারক ও বাহক রূপে। পৃথিবীর প্রায় সকল ইসলাম বিশ্বাসী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সর্বকালের সকল মানুষের একমাত্র অনুকরণীয় যে মানুষ তাঁর নাম "হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)"! তাঁরা বিশ্বাস করেন যে, তাঁকে সৃষ্টি না করলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কোনোকিছুই সৃষ্টি হতো না, এবং তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন ইসলাম পূর্ববর্তী সেই "আইয়্যামে জাহিলিয়াত যুগের" অবসান ঘটিয়ে সমস্ত পৃথিবী আলোকময় করার বার্তা নিয়ে!

ইতিহাস হলো বিজয়ী জনগোষ্ঠীর বর্ণিত ও লিখিত দলিল। যে বর্ণনা ও লিখনে পরাজিত জনগোষ্ঠীর যাবতীয় ইতিবাচক গুণাবলীকে গোপন এবং/অথবা বিকৃত ও  যাবতীয় নেতিবাচক দিকগুলোকে সত্য-অর্ধসত্য-মিথ্যা ও ডাহা মিথ্যা জাতীয় যাবতীয় কসরতের মাধ্যমে পরাজিত জনগোষ্ঠীকে জগতের সামনে হেয় ও নিচু সাব্যস্ত করার প্রয়াস সর্বদায় সচল। বিশেষ করে যদি সেই বিজয়ী জাতি বা জনগোষ্ঠীটি হয় আগ্রাসী, সন্ত্রাসী ও স্বৈরতন্ত্রী; যারা কঠোর হস্তে দমন করেন সকল বিরুদ্ধ মত-আদর্শ, শিক্ষা-সংস্কৃতি, কৃষ্টি-সভ্যতা ও বিরুদ্ধ-কণ্ঠদের। সে ক্ষেত্রে সেই আগ্রাসী ও স্বৈরতন্ত্রী বিজয়ীর অপকর্মের বৈধতার প্রয়োজনেই পরাজিত জনগোষ্ঠীকে যে কোনো মূল্যে হেয় প্রতিপাদ্য করা অত্যন্ত আবশ্যক। বিফলে তাদের কৃত অপকর্মের যে কোনো বৈধতায় থাকে না!

সেই বিজয়ী জাতি ও জনগোষ্ঠীদেরই রচিত আদি বিশিষ্ট ইসলামে নিবেদিত প্রাণ লেখকদেরই লেখা ইতিহাসের পর্যালোচনায় আমরা জানছি যে, ইসলাম বিশ্বাসীদের দাবীকৃত সেই তথাকথিত আইয়্যামে জাহিলিয়াত যুগের কুরাইশ জনপদ মুহাম্মদ ও তাঁর সহকারীদের উপর্যুপরি নৃশংস অমানবিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আক্রান্ত ও চরম ক্ষতিগ্রস্ত (খুন, বন্দী ও সম্পদ লুণ্ঠন) হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা মুহাম্মদ ও তাঁর সহচরদের বিরুদ্ধে কোনোরূপ সহিংস আক্রমণাত্মক প্রতিহিংসা পরায়ণ পদক্ষেপ নিতে রাজি ছিলেন না। তাঁদের এই ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা আজকের একবিংশ শতাব্দীর সভ্য সমাজেও এক বিরল উদাহরণ। আমরা জানতে পারছি যে, তাঁরা "অসম যুদ্ধে" জড়িয়ে বিজয়ী হয়ে বীরত্ব প্রদর্শনকে হেয় জ্ঞান করতেন। আমরা আরও জানতে পারছি যে, সেই তথাকথিত আইয়্যামে জাহিলিয়াত যুগের কুরাইশ জনগোষ্ঠী মুহাম্মদের প্ররোচনায় বিপথগামী পথভ্রষ্ট ধর্মত্যাগী একান্ত নিকট-আত্মীয়, পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব ও পাড়া-প্রতিবেশীদের প্রতি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী। ইসলামে নিবেদিতপ্রাণ আদি ও বিশিষ্ট মুসলিম ইতিহাসবিদদেরই রচিত ইতিহাসেই গত ১৪০০ বছরের প্রায় সকল ইসলাম বিশ্বাসীদের দাবি ও বিশ্বাসের সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র অত্যন্ত স্পষ্ট। পরের পর্বগুলোতে তা হবে আরও স্পষ্টতর।

মুহাম্মদ ও মুহাম্মদ অনুসারীরা তাদের অনৈতিক, অমানবিক, নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ডের বৈধতা দিতে মক্কায় অবস্থানকালে তাদের উপর কুরাইশদের "যথেচ্ছভাবে"নিষ্ঠুর অত্যাচার, অপমান, অপদস্থ করা এবং এতদ উপায়ে তাদেরকে জোরপূর্বক মক্কা থেকে তাড়িয়ে দেবার যে উপাখ্যান শতাব্দীর পর শতাব্দী বিশ্ববাসীদের শুনিয়ে এসেছেন, তার কোনো আদি ভিত্তি নেই। এই উপাখ্যান ইসলামের হাজারো মিথ্যাচারের একটি এবং সত্য তার সম্পূর্ণ বিপরীত।

(চলবে)

[কুরানের উদ্ধৃতিগুলো সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ (হেরেম শরীফের খাদেম) কর্তৃক বিতরণকৃত বাংলা তরজমা থেকে নেয়া; অনুবাদে ত্রুটি-বিচ্যুতির দায় অনুবাদকারীর। কুরানের ছয়জন বিশিষ্ট অনুবাদকারীর পাশাপাশি অনুবাদ এখানে

পাদটীকা ও তথ্যসূত্র:

[1] ক) “সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ), সম্পাদনা: ইবনে হিশাম (মৃত্যু ৮৩৩ খৃষ্টাব্দ), ইংরেজি অনুবাদ:  A. GUILLAUME, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, করাচী, ১৯৫৫, ISBN 0-19-636033-1, পৃষ্ঠা ২৯৬-৩০১

খ) “তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”- লেখক: আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ভলুউম ৭, ইংরেজী অনুবাদ: W. Montogomery Watt and M.V. McDonald, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৭, ISBN 0-88706-344-6 [ISBN 0-88706-345-4 (pbk)],
পৃষ্ঠা (Leiden) ১২৮৮-১৩১৬

গ) কিতাব আল-তাবাকাত আল-কাবিরলেখক: মুহাম্মদ ইবনে সা'  (৭৮৪-৮৪৫ খৃষ্টাব্দ)', অনুবাদ এস মইনুল হক, প্রকাশক কিতাব ভবন, নয়া দিল্লি, সাল ২০০৯ (3rd Reprint), ISBN 81-7151-127-9(set), ভলুউম , পার্ট- , পৃষ্ঠা  ৯-৩০

[2]আবু জেহেল ছিলেন বনি মাখযুম গোত্রের অন্তর্ভুক্ত, মুহাম্মদেরই প্রায় সমবয়সী এবং তাঁর এক তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। তিনি বদর অভিযানে কুরাইশ দলের নেতৃত্বে ছিলেন, যারা বের হয়েছিল তাদের কাফেলা রক্ষা করতে। তিনি বদর যুদ্ধে নিহিত হন।

[3] Ibid মুহাম্মদ ইবনে ইশাক-পৃষ্ঠা ২৯৬;
আল-তাবারী - পৃষ্ঠা (Leiden) ১৩০৭-১৩০৮;
মুহাম্মদ ইবনে সা' - পৃষ্ঠা ১৫-২৬

[4] Ibid মুহাম্মদ ইবনে ইশাক পৃষ্ঠা ২৯৭-২৯৮;
আল তাবারী পৃষ্ঠা (Leiden) ১৩১২-১৩১৩

[5] Ibid মুহাম্মদ ইবনে ইশাক পৃষ্ঠা ২৯৮;
আল-হানজালিয়া ছিলেন আবু-জেহেলের মা। তার নাম ছিল আসমা বিনতে মুখাররিবা।

[6] Ibid আল তাবারী – পৃষ্ঠা (Leiden) ১২৮৮

[7]আমির বিন আল হাদরামী ছিল আমর বিন আল হাদরামীর ভাই। মুহাম্মদের সহকারীরা আমর বিন আল হাদরামী কে খুন করেছিল নাখলায় (বিস্তারিত-২৯ পর্বে)।

[8] Ibid মুহাম্মদ ইবনে ইশাক পৃষ্ঠা ২৯৭-২৯৮;
আল তাবারী পৃষ্ঠা (Leiden) ১৩১৩-১৩১৬।

[9] বদর যুদ্ধ শেষ হবার পর এ বিশয়ে হযরত মুহাম্মদ (সা:) সম্পূর্ণ সুরা আনফাল (চ্যাপ্টার ৮) অবতারণ করেন।

[10]আবু হুদেইফা বিন ওতবা বিন রাবিয়া ছিল আবদ সামস গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। তাঁর পিতা সহ আরও কিছু আত্মীয়-পরিজন বদর যুদ্ধে খুন হয়।

[11] এই ভয়ঙ্কর যুদ্ধটি সংঘটিত হয়েছিল ডিসেম্বর, ৬৩৩ সালে (খলিফা আবু বকরের শাসন আমলে), যেখানে ভণ্ড নবী মুসাইলামাকে পরাজিত করা হয়।

[12] Ibid মুহাম্মদ ইবনে ইশাক -পৃষ্ঠা ৩০১;

আল তাবারী-পৃষ্ঠা (Leiden) ১৩২৩-১৩২৪

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন