আয়েশা মুসলিম জাহানের "আম্মু" হইলেও খাদিজা আর হাওয়ারে মুসলমানরা "বিবি" ডাকে কেন? নাস্তিকরা প্রায়ই এই প্রশ্নটা কইরা মুমিনদের ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়াইয়া দেয়।
অথচ এর উত্তরটা খুবই সোজা - আয়েশা ভার্জিন ছিল এবং মুমিনদের বিশ্বাস, আয়েশা শুধু নবীর সাথেই বিছানায় গেছে। যদিও দুর্জনেরা আয়েশার সেই যুদ্ধের সময় হারিয়ে যাওয়ার কাহিনী তুলে অনেক আজে বাজে ইঙ্গিত দেয়! একালের নাস্তিকদের আর কী দোষ। স্ক্যাণ্ডালটা তখনকার দিনেই এত ব্যাপক ভাবে প্রচারিত হয়েছিল যে, আলী পর্যন্ত নবীরে পরামর্শ দিয়েছিল আয়েশারে তালাক দেয়ার জন্য। যুদ্ধ থেকে ফিরে এসে আয়েশা অনেকদিন অসুস্থ ছিল, বাড়ির বাইরে বের হত না। এসবের কারণ নাকি আয়েশা পরপুরুষের সহবাসে প্রেগন্যান্ট হইয়া পড়ায় গর্ভপাতের দরকার হয়েছিল, যার ফলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং সুস্থ হতে অনেকদিন সময় লাগে। তওবা তওবা! কিন্তু বুড়াকালে কচি বিবিদের উপর বুড়াদের বাড়তি একটা টান থাকে। তাই নবী তালাক না দিয়ে উলটা আয়াত-ফায়াত নাজিল করে পুরা ব্যাপারটারে শুধু ধামাচাপা দিতেই সক্ষম হইছিল না, সেই সাথে সবাইরে দিয়ে আয়েশারে আম্মু পর্যন্ত বলাইছে, যাতে আম্মুরে নিয়া আর বাজে কথা না বলে। সেই থিকা মুসলমানরা আয়েশারে আম্মু বইলা ডাকে।
অন্য বিবিদের বেলায় কিন্তু এরকম আম্মু বলার বিধান না। বান্দী মারিয়ারে মুসলমানরা মইরা গেলেও মা ডাকবে না। আর খাদিজা-হাওয়ার বেলায় তো "বিবি" একেবারে টাইটেল হইযা গেছে। বিবি খাদিজা...হাওয়া বিবি...!
খাদিজা বিশাল ব্যবসায়ী মহিলা। নবীর সাথে বিয়া হওয়ার আগেই দুইবার বার বিয়া হইছিল। তারপর ইসলাম-পূর্ব আরবের সময়টারে মুসলমানরা যেভাবে আইয়ামে জাহিলিয়াত বা অন্ধকারের যুগ বইলা বর্ণনা করে, তাতে এরকম একজন ধনী মহিলা না জানি আরো কত কী করত! আবার এটাও দেখতে হবে, খাদিজা নিজে তার কর্মচারী নবীরে পছন্দ কইরা বিয়া করছে। আর কত কর্মচারীদের সাথে কত কী করছে, তার হিসাব মুসলমানরা রাখবে না, কিন্তু আইয়ামে জাহিলিয়াতের কথা তুইলা তারা নিজেরাই কিন্তু ইঙ্গিত দিয়া দেয় যে, খাদিজা কী কী করতে পারত। যা হোক, এইরকম একটা বেশরম মহিলারে "আম্মু" ডাকার প্রশ্নই ওঠে না। নবী নিজেও সেই চেষ্টা করলে সফল হইতে পারত কি না সন্দেহ।
হাওয়া বিবির ব্যাপারটা আরো ইয়ে টাইপের। ৫-৬ হাজার বছর আগে মিশরে যে ভাই-বোন, মা-ছেলে, বাবা-মেয়ে - এদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হইত, এবং তাতে বাচ্চা-কাচ্চাও পয়দা হইত, সেইটা সর্বজন বিদিত। এবং ব্যাপারটা তখনকার দিনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিকই ছিল। নবীও এই কাহিনী জানত। তাই নবী যখন তখনকার দিনের ধারণা অনুসারে শুনেছিল যে, পৃথিবীর বয়স হাজার ৪-৫ হবে, তখন মিশরের ঐসব ব্যাপারও সৃষ্টির শুরুতে নবীর কাহিনীতে চইলা আইছে। তাই আদম-হাওয়ার প্রসঙ্গে স্বাভাবিক ভাবে সেই ৪/৫ হাজার বছর আগের কাহিনীও চলে আসবে। সেই থেকেই অটোমেটিকভাবে হাওয়ার সাথে তার ছেলেদের সম্পর্ক এবং বাচ্চাকাচ্চা পয়দার ব্যাপারটাও জড়িত। নবী পরে এই প্রথাকে রহিত কইরা দিলেও যে মহিলা তার ছেলেদের সাথে সেক্স কইরা আবার বাচ্চা পয়দা করে, তারে কোনোভাবেই "আম্মু" ডাকার মত সৎ সাহস দেখাইতে পারে নাই। তাই একাধিক পুরুষের সাথে সেক্স করার জন্য হাওয়াও মুসলিম জাহানের "বিবি" হইয়া গেল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন