শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৪

নিঃসীম নূরানী অন্ধকারে - ৭৬

লিখেছেন কবীর উদ্দীন

৩৭৬.
আমার কাফের হবার রহস্য:
আল্যার হুকুম ছাড়া কিচ্ছুই হওয়া সম্ভব না। আল্ল্যা বললো, 'হও'; আর আমি কাফের হয়ে গেলাম।

৩৭৭.
ইব্রাহিম আঃ তার পুত্রকে জবাই করতে নিয়ে গিয়েছিল পাহাড়ে। মুসা আঃ আল্যাকে দেখেছিল পাহাড়ে। মহাবদ সঃ নবুয়াত পেয়েছিল পাহাড়ে। এই সকল ঘটনা কেবল জনবিরল পাহাড়ে কেন ঘটত? লোকালয়ে কেন ঘটত না?

৩৭৮.
মুত্তাকীদের জন্য প্রতিশ্রুত জান্নাতের দৃষ্টান্ত হলো; তাতে রয়েছে নির্মল পানির নহর, রয়েছে স্বাদ পরিবর্তনহীন দুধের নহর, রয়েছে সুপেয় শরাবের নহর, আরো রয়েছে পরিষ্কার মধুপূর্ণ নহর। (কোরান ৪৭;১৫)

জান্নাতে এত রকম পানীয়ের নহর রয়েছে। তবে আজকালকার দিনের অনেক জনপ্রিয় পানীয়ের নহর কিন্তু নেই। কেন? যেমন; আপেল-কমলা ও অন্যান্য বিভিন্ন ফলের রসের নহর, কোক-পেপসি-ফানটা জাতীয় বিভিন্ন সফট ড্রিংকসের নহর, ডাবের পানির নহর, খেজুর গাছের রস, তাল গাছের রস, মেপল গাছের রস আখের রস ও অন্যান্য গাছের সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর রস, বিভিন্ন ফলের স্মুদির নহর আরো ইত্যাদি ইত্যাদি রকমের পানীয়ের নহর জান্নাতে নেই কেন? জায়গার অভাব? নাকি দ্রব্যসামগ্রীর অভাব? নাকি রক্ষণাবেক্ষণের অভাব? নাকি এসব পানীয় বানানোর রেসিপি জানেন না আল্যাপাক? নাকি বুদ্ধির অভাব?

৩৭৯.
নবিজি মানে - নয় (৯) বিবি নিয়ে বিজি।

৩৮০.
নাস্তিক হবার পর থেকে আমি কারুকে ছালাম দেই না। কারুর ছালামের উত্তরে ওয়ালাইকুমুচ্ছালাম না ব'লে বলি, আপনি ভালো আছেন তো? আমার এহেন অমানবিক আচরণের জন্য সেদিন একজন আমাকে বলল, আপনি যে গুরুজনদেরকেও ছালাম দেন না, এতে করে যে তারা মনে কষ্ট পান, তা কি বুঝতে পারেন? কারুর মন রাখার জন্য ছালাম দিলে বা ছালামের উত্তর দিলে ক্ষতি কী? আমি তাকে বললাম, আমি যদি কোনো মুছলমান গুরুজন বা কারুকে বলি শূকরেরর মাংস খেতে তাহলে কি তারা খাবে? লোকটি আঁৎকে উঠে উত্তর দিলো, ছি! ছি! শূকরের মাংস খেতে যাবে কেন? ওটা হারাম না? আমি হেসে বললাম, শূকর যেমন মমিনের জন্য হারাম, ছালামও তেমনি আমার জন্য হারামে মোয়াক্কাদা। আমার মন রাখার জন্য যদি একজন মুছলমান শূকর খেতে না পারে, আমি কেন তার মন রাখার জন্য ছালাম বিনিময় করতে যাবো?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন