শনিবার, ৩১ মে, ২০১৪

পাঁচ ফোড়ন - ১৪

লিখেছেন সাদিয়া সুমি

৬৬.
কাউকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় নিউইয়র্ক যাবে নাকি বেহেশতে যাবে, সে বলবে নিউইয়র্ক। তার কারণ, বেহেশতে যেতে হলে প্রথমত মরতে হবে, যেটা সে চায় না। দ্বিতীয়ত বেহেশত বিষয়টির উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণাদি একেবারেই নেই। তাই মানুষ বেহেশত চায় না, এই সুন্দর পৃথিবীতে অনন্তকাল বেঁচে থাকতে চায়। বেঁচে থাকার মত আনন্দের কোনোকিছু এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে আর দ্বিতীয়টি নেই।

৬৭.
মুসলিমরা দাবি করে থাকে যে, তালিবান, বোকো হারাম, জামাত-শিবির সহিহ ইসলামিক না এবং তারা ইসলামধর্মকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে।

অথচ এই "ধর্মবিকৃতিকারী"দের বিরুদ্ধে মুসলিম সমাজের কোনো উচ্চবাচ্য নেই। তাদের উচ্চবাচ্য ও অভিশাপগুলো সবই তারা নিক্ষেপ করে তাদের ধর্মের ভুল ও অসঙ্গতি ধরিয়ে দেওয়া লেখক,অ্যাকটিভিস্ট, চিত্রশিল্পী এবং তার্কিকদের প্রতি, যারা নাকি তাদের ধর্মের ও ঈমানের ক্ষতি করছে।

৬৮.
মরুভূমিতে মহাসাগর খোঁজার মতই উদ্ভট হচ্ছে কোরানের মধ্যে বিজ্ঞান খোঁজা।

৬৯.
ধরা যাক, আল্লা আছেন। কিয়ামতের পর পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংসপ্রাপ্ত পৃথিবীর তো কোনো অবস্থান বা অস্তিত্বই নেই। সেখান থেকে কোটি কোটি বছর আগের মরে যাওয়া মানুষগুলোকে (যাদের কোনো অস্তিত্বই বর্তমান নেই) কবর ও চিতা থেকে উঠিয়ে পুনর্জীবিত করলেন। বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করালেন বেচারাদের। হাশরের ময়দানে (যেহেতু পৃথিবী ধ্বংসপ্রাপ্ত, কাজেই হাশরের অবস্থান আসমানের কোন একখানে হতে পারে) আল্লা বিচার করছেন। এদিকে সূয্যিমামা মাথার আধহাত ওপরে নেমে এসেছেন। তাপমাত্রা ২ লক্ষ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রায় সকল বস্তুই শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে যায়। ফলে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলো ও বিচারকের আসনে বসে থাকা আল্লা স্বয়ং নিজে শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে বিদ্যুত চৌম্বকীয় তরঙ্গ হয়ে উধাও হয়ে গেলেন। আমি ভীষণভাবে চিন্তিত, তখন কার বিচার কে করবে? হাশরের ময়দানটাও তো শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে উধাও হয়ে যাবে। তখন আমাদের প্রাণপ্রিয় আল্লার কি হবে? তখন কি আল্লার মৃত্যু হবে?

৭০.
মোহাম্মদ তার অনুসারীদের দরূদ পড়তে বলেছেন যেখানে সুপারিশ করা হয়েছে আল্লাহ যেন মোহাম্মদকে বেহেশতবাসী করেন। এতে বোঝা যায় তিনি বেহেশতে যেতে পারবেন কি পারবেন না, এ ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন না। তাই তার অনুসারীদের আল্লাহর কাছে দরূদ পড়ার মাধ্যমে সুপারিশ করতে বলেছেন, আল্লাহ যেন মোহাম্মদকে বেহেশত দান করেন।

হাজরে আসওয়াদ বা কালো পাথর: ইসলামী প্রতিমা পূজা

লিখেছেন শ্রোডিঞ্জারের বিড়াল

হজ্বের সময় মক্কায় কাবার কাছে থাকা কালো একটা পাথরকে চুম্মা-চাটি দিয়া ব্যাপক সম্মান দেখানো হয়। 

ওই পাথরে চুম্মা চাটি দিতে গিয়া ডলাডলিতে রেগুলার মানুষ মরে।

এই পাথরে চুম্মা চাটি দেয়া এবং মারাত্বক সম্মান দেখানোটা হজ্বের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে প্রচলিত।

অথচ এই পাথরের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেই সবাই চুপ মাইরা যায়, কেউ কথা কইবার পারে না।


হাজরে আসওয়াদ বা কালো পাথর - এই নামটির সাথে প্রায় সকল মুসলমান পরিচিত। বিশেষ করে যারা হজ্ব বা ওমরাহ করেছেন, তারা তো বটেই। হাজারা অর্থ পাথর এবং আসওয়াদ অর্থ কালো। এই ডিম্বাকৃতি পাথরটি কাবা ঘরের এক কোনায় প্রোথিত আছে। হজ্ব ও ওমরার সময় এই পাথরটিতে চুমু খাওয়ার জন্য মুসলমানদের মাঝে হুড়োহুড়ি লেগে যায়। যারা ভিড়ের কারনে এই পাথরে চুমু খেতে পারেন না, তারা নিজেকে দুর্ভাগ্যবান মনে করেন।

এর কারণ হলো, মুসলমানরা বিশ্বাস করে, এই পাথরে চুমু খেলে অতীতে তার করা সকল গোনাহ এই পাথর চুষে নেয় এবং সে শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে যায়। অনাদি কাল থেকে মানুষের গোনাহ চুষে চুষে এই পাথর কালো হয়ে গেছে।

মূর্তিপূজার সাথে এই পাথর পূজার কি কোনো পার্থক্য আছে? আমরা মুসলমানরা হিন্দুদের মুর্তিপূজাকে এই ভেবে কটাক্ষ করি যে, তারা কীভাবে একটি প্রাণহীন মূর্তিকে পূজা করে? হিন্দুদের মাথায় ঘিলু বলে কোনো পদার্থ আছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে একটুও দ্বিধা করি না। অথচ আমরা সেই একই কাজ করছি একটি প্রাণহীন পাথরকে চুমু খাওয়ার মধ্য দিয়ে। অথচ দেখুন, কত নির্বিকার আমরা এই ব্যপারে। একটা পাথরের কি কোনো ক্ষমতা থাকতে পারে?

ইতিহাস ঘাঁটলে আমরা দেখি যে, মক্কার কাফেররা প্রাক-ইসলাম যুগে এই পাথরের পূজা করতো। সকলের জানা গল্পটাই আবার বলি। মুহম্মদের নবুয়ত প্রাপ্তির আগে কাবা পুনর্নির্মাণের সময় বিভিন্ন গোত্রপ্রধানদের মধ্যে ঝগড়া লেগে গেল, তাদের পরম পূজনীয় পাথরটিকে কে কাবা ঘরের কোনায় স্থাপন করবে এই নিয়ে। তখন মুহম্মদ এর সমাধান দিয়েছিলেন পাথরটিকে একটি চাদরের ওপরে রেখে, তার চার কোনা চার গোত্রপ্রধানকে ধরে বহন করার রাস্তা বাতলে দিয়ে। ঐ কাফেরদের রীতি মেনে আমরা এখনো পাথর পূজা করে চলেছি।

পাথর সব গোনাহ চুষে নিয়ে পাপ মুক্ত করলে পরকালে বিচারের দরকারই বা কী বা আল্লাহ ক্ষমাই বা করবেন কাকে? সর্বোপরি -

এই মহাক্ষমতাধর পাথরের কথা কোরানের কোথাও উল্লেখ পর্যন্ত নেই।

এই পাথর কিন্তু নবীজি স্থাপন করেননি।

নবীজির জন্মের অনেক আগে থেকেই এই পাথর আছে।

এই পাথরটি ছিল কাবার ভেতরে থাকা ৩৬০ বা এর অধিক মূর্তির মতই মূর্তিপুজারীদের একটা প্রতিমা।

এই পাথরটা হুবাল (মতান্তরে ঘাইমান) নামের এক দেবতার প্রতিমা ছিলো।

এই পাথরের সামনে মূর্তিপুজারীরা Sacrifice বা বলি (কোরবানী) দিত এবং তাদের রক্ত সেই পাথরে ফেলত। এই খান থেকে উৎপত্তি হয় "পশুর রক্তের ফোটা পড়ার আগেই সওয়াব পাবার" রিচুয়ালটির।

সেই হুবাল (মতান্তরে ঘাইমান) নামক দেবতার প্রতিমা পাথরটিকে বর্তমান মুসলিম প্রথায় হজ্বের সময় চুম্মা-চাটি দিয়া ব্যাপক সম্মান দেখানো হয়। আবার মুসলিমরাই হিন্দু ছাগলদের দূর্গার সামনে ম্যা ম্যা করা নিয়া হাসাহাসি করে।

চিন্তা-প্রতিচিন্তা

লিখেছেন বুদ্ধ মোহাম্মদ যীশু কৃষ্ণ

১. 
অনেক ভাইবা দেখলাম, আসলে সিলেটে যে মাইয়া দুইটা চোরদের দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হইছে, সেই ধর্ষণের দোষ ঐ মাইয়া দুইডারই। এতে সেই চোরা ধর্ষকদের কুনো দোষ নাই।

হাজার হইলেও এইডা ইসলামী রাষ্ট্র! এই দেশে মাইয়ারা ঘরের মইধ্যে বোরখা-হিজাব না পিইন্দা ঘুমাইবে, এইডা হইতে পারে না।

আর তাছাড়া সিলেট তো পীর আউলিয়াগো প্রাইভেট স্থান। সেইখানে সবার ইমানুনুভূতি সদা জাগ্রত থাকে।

সেখানে মাইয়ারা ঘরের মইধ্যে হিজাব না পিইন্দা ঘুমাইলে তো চোর-সাধু-পীর-মুরিদ-আউলিয়াগো ঈমানদণ্ড খাড়াইবে এইডাই তো স্বাভাবিক! এতে আর তাগো কি দোষ? তারা তো ঘরের ভিত্রের মাইয়াগো হিজাব পড়ানির জেহাদ করছে মাত্র!

তাই সেই মাইয়া দুইডারে হিজাব-বোরখা না পিন্দাইয়া ঘুমানির জন্য এবং ধর্ষিতা হবার জন্য থুক্কু ব্যাভিচার করার অপরাধে পাতথোর মাইরা মৃত্যুদণ্ড দেয়া হোক।

এবং ধর্ষণকারীদের "বীর হিজাব জেহাদী" উপাধি দিয়া ইসলাম রক্ষাকারী সম্মানে ভূষিত করা হউক।

২. 
মনে করুন, আমাদের শান্তির ধর্মের শান্তিকামী ভাইদের শান্তি বিতরণের জন্য দেশে আর কোনো অশান্তিপ্রিয় সংখ্যালঘু নাই। তখন আমরা, শান্তিকামী ভাইয়েরা, কাদের মাঝে শান্তি বিতরন করবো?

আমরা তো আবার শান্তি বিতরণ না করতে পারলে অশান্তিতে ভুগি।

তখন বাধ্য হয়েই আমাদের নিজেদের মধ্যে শান্তি বিলাতে হবে। এই যেমন, কম শান্তিতে থাকা শিয়াদের মসজিদে যেয়ে তাদের উপর সুন্নিদের শান্তি বিতরণ।

শিয়ারা আবার তাদের বাড়তি শান্তি বিতরণ করবে আহমেদিয়াদের ওপরে।

এই শান্তি বিতরণ কর্মসূচি আমাদের চালিয়েই যাওয়া লাগবে তাতে অন্যধর্মের অশান্তিপ্রিয় কেউ থাকুক আর নাইবা থাকুক, শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে ঘরে ঘরে। যেমন করে থাকেন আমাদের পাকি এবং আফগান ভাইয়েরা।

তাই আসুন, আমরা আরো বেশি বেশি করিয়া শান্তির ধর্মের শান্তি চর্চা করিয়া দোজাহানের অশেষ শান্তি হাসিল করিয়া দেশকে টানিয়া লই শান্তিপ্রিয় সিরিয়া আফগান-পাকিস্থানের পথে, যেইখানে শান্তি ব্যতীত কোনো অশান্তি নাই।

শুক্রবার, ৩০ মে, ২০১৪

ইসলামী ইতরামি

১. 
মুছলিম বুড়া ভাম কোনও কিশোরের ওষ্ঠচুম্বন করলে (উদাহরণ: ছবি ১ছবি ২) ইছলাম তাতে সমস্যা দেখে না। তবে পুরুষের গালে নারী চুম্বন করলে সেটা শরিয়াবিরোধী। অতএব নারীকে জনসমক্ষে বেত্রাঘাত করতে হবে।

২.
নারীদের নিয়েই ইছলামে যতো সমস্যা। ইন্দোনেশিয়ার এক অঞ্চলে আইন করা হয়েছে: বিপজ্জনক হলেও মোটর সাইকেলে মেয়েদের বসতে হবে দু'পা এক পাশে দিয়ে। দু'পাশে পা দিয়ে বসলে মমিনীয় ঈমানদণ্ড নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে নিশ্চয়ই!

৩.
আমেরিকান বা ইয়োরোপীয় যাত্রীবহুল উড়ন্ত বিমানে হঠাৎ কোনও মুছলিম উঠে দাঁড়িয়ে 'আল্লাহু আকবর' বলে চিৎকার করে উঠলে বাকি যাত্রীরা কীভাবে আঁতকে উঠবে, সেটা কল্পনা করতে পারেন? ঠিক তেমনই ঘটেছে আমেরিকার এক বিমানে। দু'মিনিটের ভিডিও-রিপোর্ট। এক সুইস বিমানেও ঘটেছে অনুরূপ ঘটনা

৪. 
উগ্র 'মানবাধিকারতন্ত্র' ইছলামকে নাকি পরীক্ষার মুখোমুখি ফেলে দিয়েছে, বলেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন অকপট সত্যটি, মানবাধিকার ইছলামপরিপন্থী। তাই মানবাধিকারের মতো মৌলিক ব্যাপারকে টিটকারি মেরে 'তন্ত্র' হিসেবে প্রচারের চেষ্টা তার।

৫.
ইছলামী জঙ্গিদের দল বোকো হারাম-এর কীর্তিকাণ্ডে আর যা-ই হোক মডারেট বা কট্টর মুছলিমদের কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। হয়তো প্রচ্ছন্ন বা নীরব সমর্থন আছে, কে জানে! এক দল 'ইহা ছহীহ ইছলাম নহে' বলে দায়িত্ব সেরে ফেলেছে, আরেক দল হয়েছে উটপাখি। অর্থাৎ প্রতিবাদ নেই কোনও পক্ষ থেকেই। থাকবেই বা কেন! নবীজির কার্টুন তো প্রকাশ হয়নি কোনও পত্রিকায়! হলে শ'দুয়েক লাশ ফেলে দিয়ে (২০০৬ সালে যেমন) সক্রিয় প্রতিবাদ জানাতে পারতো মুছলিমেরা। এখন বোকো হারামের এতোসব ঘটনার পরেও আমেরিকার মুছলিম সংগঠনগুলোও 'ইহা ছহীহ ইছলাম নহে' বাণী জিকির করছে। তাদের কথা যদি সত্যিই হয়, তাহলে গলা খুলে প্রতিবাদে এতো অনীহা কেন? গঠনা কী?

৬. 
এক মুছলিম চিকিৎসা নিতে গেছে এক ক্যাথলিক হাসপাতালে। হঠাৎ করে চিকিৎসা-সেবা নেয়ার বাসনা তার উবে গেল। কারণ - হাসপাতালের দেয়ালে ক্রুশের আধিক্য। সে উপস্থিত এক নার্সকে বিনা কারণে বিচ, ফ্যাসিস্ট বলে গালিগালাজও করলো। সবই ছহীহ কাজ, কিন্তু একটা ব্যাপার বুঝলাম না, খ্রিষ্টানদের হাসপাতালে তাকে কে বলেছে যেতে? মহাকবিরাজ মহানবী বর্ণিত সর্বরোগহরী কালিজিরা কোনও কাজে দেয়নি? গুগল-অনুবাদ

৭.
নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে শান্তিকামী দুই মুছলিম দলের মহব্বত প্রবল আকার ধারণ করায় মসজিদটি বন্ধ করে দিতে হয়েছে।

৮.
এদিকে ফাকিস্তানে এক মসজিদের নাম রাখা হয়েছে এক হত্যাকারীর সম্মানে। ব্ল্যাসফেমি আইন সংস্কারের আহ্বান জানানো রাজনীতিবিদকে হত্যা করে বীর বনে যাওয়া সেই ব্যক্তি এই সম্মানে ভূষিত হয়েছে। খুনি, হত্যাকারী, ধর্ষক, শিশুকামী, যুদ্ধবাজ ও ইছলাম ছাড়া সকল ধর্মবিদ্বেষী নবীর অনুসারীদের পক্ষে এমন কাজ নিশ্চিতভাবেই শোভন এবং নবীর প্রতি সম্মানসূচকও বটে।

৯.
নবীজি নয় বছর বয়সী মেয়ের সঙ্গে ছহবত করে কোটি কোটি মুছলিমের সবচেয়ে শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি বনে যেতে পারলে তারই উম্মত, এক মসজিদের ইমাম দশ বছর বয়সী মেয়ের সঙ্গে ছহবত করে প্রেপ্তার হবে কেন? সুন্নত পালন করা কি অপরাধ? 

১০.
ইছলামবাজেরা ব্যাপক বিনোদনী সব ফতোয়া দেবে, কিন্তু সেসব নিয়ে হাসাহাসি করলে মুছলিমেরা মাইন্ড করে। মহাবিপদ! একটা ফতোয়ায় বলা হয়েছিল, মুছলিমদের জন্য মঙ্গলগ্রহে যাওয়া নিষেধ। তো এ নিয়ে দুই সুইস কমেডিয়ান মন্তব্য করেছিলেন যে, মঙ্গলগ্রহ ভ্রমণে মুছলিমদের প্রধান সমস্যা হবে: কাবা কোনদিকে অবস্থিত, সেটা বুঝে ওঠা সম্ভব হবে না। তবে মুছলিমদের জন্য সুবিধেও যে নেই তা নয়। যেমন, পাথর নিক্ষেপ করে হত্যার জন্য পাথরের অভাব সেখানে হবে না। শুনে ইছলামীরা মাইন্ড খেয়েছে। গুগল-অনুবাদ

১১.
ইছলামের নবীর আরেক খাছ উম্মত, এক মসজিদের ইমাম, তার তিন অপ্রাপ্তবয়স্ক ভ্রাতুষ্পুত্রী/ভাগ্নির ওপরে যৌননির্যাতন চালিয়েছে। সবচেয়ে কৌতূহলোদ্দীপক ব্যাপার হচ্ছে, তার নিজের সন্তানেরাও তার যৌননির্যাতনের শিকার হয়েছে - এই মর্মে তার স্ত্রী অভিযোগ দাখিল করলে এই তিনজন মুখ খোলার সাহস পায়।

১২.
ফাকিস্তানে কোরান শিক্ষার স্কুলের শিক্ষক দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে জামাতে ধর্ষণ (হয়তো ভেবেছিল, জামাত করে ধর্ষণ করলে ২৭ গুণ বেশি ছওয়াব) করে ধরা পড়ে।

১৩.
ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ইছলামের সায়াতলে আনতে ইছলামী স্টাইলে অর্থাৎ শান্তিপূর্ণ উপায়ে জোরাজুরির মাধ্যমে ধর্মান্তরকরণের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আহত হন এক নামাজী। ব্যাটায় মাইর তো খাবেই! ছওয়াব কামানোর সময় ডিশটাপ দিলে কার মেজাজ ঠিক থাকে?

১৪.
আরও এক ইমামদোবাজীর ঘটনা। মিষ্টি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে আট বছর বয়সী বালিকাকে মসজিদে নিয়ে এসে তার ওপরে চড়াও হবার সময় লোকজনের হাতে ধরা পড়ে যায় এক ফাকিস্তানী ইমাম। 

১৫.
চেক প্রজাতন্ত্রের দুই-তৃতীয়াংশ লোক ইছলামকে ভয় পায়। নাহ্, চেকরা, দেখা যাচ্ছে, একেবারেই শান্তিকামী নয়।

১৬.
মানবজীবনে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ক কোনও বাণী বা আহ্বান কোরান-হাদিসের কোথাও আছে কি? আমার জানা নেই। তবে জ্ঞানার্জনের-জন্য-সুদূর-চীন-দেশে যাবার উপদেশসূচক তথাকথিত হাদিসের কোনও অস্তিত্ব নেই কিন্তু। নিশ্চয়ই কোনও ইছলামবাজের মস্তিষ্কপ্রসূত বাণী এটা। তো ইছলাম যে শিক্ষাবিরোধী হবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। যেহেতু নবীজি লেখাপড়া করেনি, তাই লেখাপড়া না করাটা নিশ্চয়ই সুন্নত। সঙ্গত কারণেই ইছলামী জঙ্গি দলগুলো সব সময়ই শিক্ষা তথা জ্ঞানবিরোধী। ধর্মব্যবসা সবচেয়ে ভালো চলে নূরানী অন্ধকারে। ফাকিস্তানের এক ইংরেজি স্কুল বন্ধের হুমকি দিয়েছে ইছলামী ষণ্ডরা।

১৭.
নবীজি নিজে ছিলো মরুদস্যু, ডাকাত। তার লুটতরাজ ও ডাকাতির অজস্র নিদর্শন পাওয়া যায় ইছলামী তথ্যসূত্রগুলোতেই। এখন কথা হচ্ছে, কোরানের আয়াত (সুরা ৫, আয়াত ৩৮) অনুযায়ী, তার হাত কেন কেটে ফেলা হয়নি? নাকি চুরি করলে হাত কাটা, তবে ডাকাতি সুন্নত? এদিকে তুচ্ছ ভেড়া চুরির কারণে তারই জন্মভূমি চৌদি আজবে দু'জনের হাত কেটে ফেলার আদেশ দিয়েছে আদালত।

১৮.
চৌদি আদালত আসলে এমনই। নিজের পাঁচ বছর বয়সী কন্যাকে ধর্ষণের পরে হত্যা করেও এক ইছলামবাজ আইনের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে যায়, কিন্তু Free Saudi Liberals নামের ওয়েবসাইটে চৌদি ইছলামী ব্যক্তিত্বদের সমালোচনার অপরাধে আদালত এক যুবকের শাস্তি নির্ধারণ করেছে: ১০ বছরের জেল, ১০০০ বেত্রাঘাত ও ২৬৬৬০০ ডলার।

১৯.
চৌদি তথা ইছলামী বিচারবিধির আরও একটি নমুনা। সর্বমোট ৩২ বছরের জেল ও ৪৫০০ বেত্রাঘাত - পাঁচজন পুরুষের জন্য এই শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে। তাদের অপরাধ? না, খুন-ধর্ষণ-ডাকাতি-হত্যা এসব নয়। তাদের অপরাধ ছিলো, তারা উদযাপন করেছিলো ভ্যালেন্টাইন ডে। 

২০.
ইছলামী জ্ঞানবিরোধিতার আরেকটি উদাহরণ: মালয়েশিয়ায় চার্লস ডারউইনের The Origin Of Species সহ বেশ কিছু বইয়ের অনুবাদ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

২১.
ইছলামী বেহেশত বিষয়ে বিল মার বলেছিলেন: Promising pussy in the afterlife is the lowest thing I’ve ever heard in my life. তবে এই প্রতিশ্রুতি প্রলুব্ধকর বলেই মনে হয়। হুর পরীর লোভ দেখিয়ে নির্মগজ (নির্ঘিলু-ও বলা যেতে পারে) গর্দভদের ইছলামের সায়াতলে আনা খুব কঠিন নয়, বোধহয়। এমন একটি উদারহরণ। তবে এই খবরের গর্দভটিকে কেন জানি মাত্র ৪৪ হুরের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। ৭২ নয় কেন? বাকি ২৮ টি হুর কি তাহলে কন্ট্রাক্টর অর্থাৎ মধ্যস্বত্বভোগীর পাওনা?

আবু জাহেলীয় তালিম সমগ্র - ৬

লিখেছেন আবু জাহেল (Version 2)

৩৬.
ধর্ম হইলো এক ধরনের ব্যবসা, যেখানে সবাই নিজ নিজ পণ্যের সুনাম করে! আমার ধর্ম সেরা! আমার ধর্ম সঠিক ধর্ম! আরো কতো কী! 

৩৭.
যখন কোনো মুমিন বান্দা রোগে বা দুর্ঘটনায় মারা যায়, তখন তারা বলে যে, আল্লাহ তাকে দ্রুত জান্নাত পুরস্কার দেয়ার জন্যই একটা উছিলা দেখিয়ে তাকে তুলে নিয়েছেন!

আর যখন কোনো কাফের রোগে বা দুর্ঘটনায় মারা যায়, তখন তারা বলে ওঠে - আল্লাহ যুগে যুগে কাফেরদের এভাবেই শাস্তি দিয়েছেন! 

৩৮. 
আমাকে কেউ একজন জিজ্ঞেস করেছিল, আপনার বাবা একজন মাওলানা হওয়া সত্ত্বেও কেন আপনার এই অবস্থা!?! 

উত্তরে আমি বললাম:
- মুহাম্মদ নিজেই তো তার পিতার ধর্মের বিরুদ্ধে ছিলো! তাই একটু সুন্নাত পালন করলাম আর কি!

৩৯. 
কাদের মোল্লার ফাঁসির পর কিছু জামাতি পেইজে দেখেছিলাম "শহীদ কাদের মোল্লা" শব্দটি!! ভাবছি, কবে জানি দেখতে হবে "শহীদ মীর জাফর" শব্দবন্ধটিও!!

৪০.
মানুষের জীবন এখন বিজ্ঞাননির্ভর। মানুষ বিজ্ঞানকে ভালোবাসতে শুরু করেছে এবং প্রাধান্য দিচ্ছে। আর এ জন্যই কতিপয় ধর্মগরু তাদের ঐশী কিতাবগুলোকে বিজ্ঞানময় কিতাব প্রমাণে ব্যস্ত! কতিপয় মুমিনস সব সময় বলে থাকে যে, কুরআন নাকি বিজ্ঞানে বিজ্ঞানান্বিত! যদিও সত্যি কথা বলতে কি, স্কুলের নিম্নতম ক্লাসের বিজ্ঞান বইও কুরআনের চেয়ে অনেক বেশি তথ্যবহুল এবং সেই তথ্যগুলো কুরআনে উল্লেখিত তথ্যগুলোর মতো ভুয়া না।

সম্প্রতি হিন্দুরাও তাদের মূর্তিপূজার মতো আচোদা কার্যকলাপে বিজ্ঞানের সন্ধান পাচ্ছে!

কেউ আমারে গুম কইরা ফালা!!

বিজ্ঞানহারামী

কারো নিমক অর্থাৎ নুন খেয়ে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের বদলে কুৎসা উদগীরণ বা কৃতঘ্নতাসূচক কাজ করে যারা, তাদের আচরণকে নিমকহারামী বলা হয়, এ কথা সর্বজনবিদিত। 

এখন দেখা যাক 'বিজ্ঞানহারামী' আচরণ কাকে বলে:
বিজ্ঞানের সমস্ত অবদান জীবনের প্রতিটি স্তরে এবং প্রতিটি মুহূর্তে সর্বোতভাবে ভোগ ও ব্যবহার করেও বিজ্ঞানকে অস্বীকার, বিজ্ঞানের প্রতি নিন্দাজ্ঞাপন ও শত্রুতাপূর্ণ মনোভাব পোষণ করাটাই নিশ্চিতভাবে বিজ্ঞানহারামী আচরণ।
বিজ্ঞানহারামিপনা সম্ভব শুধুমাত্র আস্তিকদের (সবার কথা বলছি না) পক্ষেই। আরও উল্লেখ্য যে, বিজ্ঞানের অবদান-পরিবেষ্টিত জীবনযাপন করেও বিজ্ঞানকে অস্বীকার করা ও বিজ্ঞানবিদ্বেষ পোষণ করার মতো নির্লজ্জ আচরণের মধ্যেই এদের কার্যবিধি সীমাবদ্ধ নয়; বিজ্ঞানের সমস্ত কৃতিত্ব তারা অপাত্রে অর্থাৎ ধর্ম-ঈশ্বরকে প্রদানে বড়োই ব্যগ্র।

নিচের পোস্টারটি অনুবাদ করে দিয়েছেন কৌস্তুভ। পূর্ণাকারে দেখতে ছবির ওপরে ক্লিক করতে হবে।


ধর্মকর্মকাণ্ডকীর্তিকাহিনী - ০৭

(ধর্মকারী বরাবরই সিরিজময়। অতএব আরও একটি সিরিজের অবতারণা করা নিশ্চয়ই যায়েজ। 

'ইসলামী ইতরামি' ও 'লিংকিন পার্ক' সিরিজে ধর্মান্ধদের কাণ্ডকারখানা সংক্ষেপে বর্ণনা করে লিংক ধরিয়ে দেয়া হয়। তো একদিন নিলয় নীল প্রস্তাব দিলেন, তিনি নানান ধর্মের ধর্মগুরু ও মোমিনদের ঘটানো কিছু কিছু কীর্তি সবিস্তারে লিখতে আগ্রহী। তিনি এমনকি অতি নিয়মিত লেখা দেয়ার হুমকিও প্রদান করেছেন। তাঁর হুমকিতে ভীত ধর্মকারী মাঝেমধ্যে তার অলিখিত আইনের ('প্রথম পাতায় এক লেখকের একটির বেশি লেখা থাকবে না') ব্যত্যয় ঘটাতে সম্মত হয়েছে।

সিরিজের নামে পাঁচটি বিশেষ্যপদ ব্যবহার করা হলেও শব্দসংখ্যা আসলে ন'টি: ধর্ম, কর্ম, কাণ্ড, কীর্তি, কাহিনী, ধর্মকর্ম, কর্মকাণ্ড, কাণ্ডকীর্তি ও কীর্তিকাহিনী।

বিসমিল্যা বলে আল্যার নামে শুরু হলো যাত্রা।) 

লিখেছেন নিলয় নীল

জাপানের বহুল আলোচিত লিঙ্গ-উৎসব

প্রতি বছর এপ্রিলের প্রথম রোববার জাপানের কাওয়াসাকি অঞ্চলের লোকেরা সাড়ম্বরে পালন করে একটি ধর্ম অনুষ্ঠান যার নাম কানামারা মাৎসুরি (Kanamara Matsuri)। জাপানের কাওয়াসাকির একটি মন্দিরে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবটি প্রধানত ধর্ম বিশ্বাসের অনুষ্ঠান যার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে পুরুষাঙ্গসদৃশ উত্থিত লিঙ্গ। পৃথিবীব্যাপী এটি Penis Festival বা লিঙ্গ উৎসব নামে পরিচিত।


লিঙ্গ উৎসব অনুষ্ঠিত হয় জাপানের কাওয়াসাকির কানাইয়ামা মন্দিরে, যা ইতিমধ্যেই লিঙ্গ মন্দির হিসেবে পরিচিত হয়ে গেছে। এই মন্দিরের বয়স ৭০০ বছরেরও বেশী। মন্দিরে একসময় যৌনকর্মী মেয়েরা আসতো প্রার্থনার জন্য, যাতে এসটিডি (Sexually Transmitted Diseases) থেকে মুক্ত থাকতে পারে, এরপর উৎপাদনে (বাচ্চা), এমনকি শস্য উৎপাদনের জন্য এই মন্দিরে ভক্তরা প্রার্থনার জন্য আসে।


ধারণা করা হয়, খ্রিষ্টীয় সপ্তদশ শতকে প্রথম প্রচলন হয় এই বিচিত্র উৎসবের, যখন স্থানীয় বারবনিতারা বসন্তের শেষে বিশাল পুরুষাঙ্গের রেপ্লিকা নিয়ে মিছিল করে যেত কাওয়াসাকি কানামারা মঠে প্রার্থনা করতে, যেন তারা সারা বছর যে কোনো ধরনের যৌন সংক্রমণ বা রোগ থেকে বাঁচতে পারে। 


মূলত এটি একটি শিন্তো ধর্মীয় উৎসব, যার মাধ্যমে প্রজনন শক্তিবৃদ্ধির জন্য বন্দনা করা হয়। জানা যায়, ১৬০৩ থেকে ১৮৬৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বারবণিতারা যৌণব্যাধি বিশেষ করে সিফিলিস থেকে রক্ষা পাবার জন্য ঘটা করে এই মেলা উদযাপন করতো। অবশ্য বর্তমানে এই উৎসব ভিন্ন মর্যাদা পেয়েছে। বর্তমানে এটি পালিত হয় নিরাপদ যৌনতা, এইডস সংক্রমণ রোধ ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সচেতনতার অংশ হিসেবে।


উৎসবে হাজার হাজার লোক জড়ো হয়। সব থেকে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে লিঙ্গ র‍্যালি। মন্দিরের কাঠের লিঙ্গটি নিয়ে র‍্যালিতে বের হয় ভক্তরা। সাথে থাকে আরো বড় বড় লিঙ্গ এবং সবার হাতে হাতে পুরুষদের লিঙ্গ সদৃশ খেলনা বা বস্তু । উৎসবের সময়ে সেখানে লিঙ্গাকৃতির বিভিন্ন আইসক্রিম, ফাষ্টফুড, খেলনা বিক্রি হয়, কেউ ইচ্ছে করে সেগুলো কিনে খেতে পারে, লিঙ্গের ওপর বসতে পারে, লিঙ্গের সাথে ছবি ওঠাতে পারে, লিঙ্গের মাথায় চুমুও খেতে পারে। 


এ বছরও জাপানের কাওয়াসাকি অঞ্চলের সিন্টো ধর্মালম্বী লোকেরা বিশাল পুরুষাঙ্গের রেপ্লিকা নিয়ে নেচে গেয়ে মিছিল করে আনন্দ প্রকাশ করেছে। রাস্তায় রাস্তায় ছোট থেকে বড় সবাইকে দেখা গেছে পুরুষাঙ্গের আদলে তৈরি চকলেট আর আইসক্রিম চুষতে। অনেককেই ছবির জন্য পোজ দিতে দেখা গেছে বিশালাকৃতির পুরুষাঙ্গের পাশে। মাথায় লিঙ্গ-টুপি পরিধান করে নাচগান করেছেন অনেকেই।


গত ৬ এপ্রিল ২০১৪ মরণব্যাধি এইডস প্রতিরোধ কার্যক্রমের ফান্ড রেইজিং ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে আয়োজিত হয়েছে এই মেলা। ৬ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে এই উৎসব চলে টানা ৭ এপ্রিল রাত পর্যন্ত। বর্তমানে প্রচণ্ড জনপ্রিয়তা লাভ করেছে মেলাটি। শুধু জাপান নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও আলোচিত হচ্ছে কানামারা মাৎসুরি। ২০১৫ সালে ৫ এপ্রিল উৎসবটি আবার পালিত হবে। এই উৎসবে আয় হওয়া টাকা এইডস গবেষণার কাজে দান করা হয়, যেহেতু এককালে এখানে যৌনকর্মীরা আসতেন এসটিডি যাতে না হয় সেই প্রার্থনার জন্য।


জাপানের সবচেয়ে বিস্ময়কর দিক হলো এর বৈচিত্র্য। যেমন, খাদ্যাভ্যাসে কাঁচা থেকে পোড়া, সব ধরনের মাছই রয়েছে মেন্যুতে। তেমনি সংস্কৃতি চর্চায় প্রচণ্ড রক্ষনশীলতার পাশাপাশি রয়েছে অবারিত উন্মোচন। লিঙ্গ উৎসব এই রকম অবারিত উন্মোচনের একটি অন্যতম উদাহরণ। 

এই উৎসবের ভিডিও দেখতে পারেন এখান থেকে। 


চিত্রপঞ্চক - ৬৭






এবং একটি বোনাস ছবি: মেয়ে পোপ। ছবিটা কিন্তু ইয়ে টাইপ। অতএব ইমোটা খিয়াল কৈরা।  

নিঃসীম নূরানী অন্ধকারে - ৮৪

লিখেছেন কবীর উদ্দীন

৪১৬.
রাখাল-পুরুষ নবীজি এতোগুলি উট-দুম্বা-মেষ রেখে রূপকথার প্রাণী বোরাকে চ'ড়ে আসমানে গেলো কেন? উট-দুম্বা-মেষ এসকল বাস্তব প্রাণীরা কি মহাব্যাডের রূপকথার চরিত্র হ'তে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল?

৪১৭.
গৌতম বুদ্ধ তার স্ত্রী ও নবজাত শিশুকে ফেলে চরম কাপুরুষের মতো ঘর ছেড়ে রাতের নির্জনতায় চুপিচুপি পালিয়েছিলেন। তিনি পুরুষজাতির প্রতি আহবান করেছেন, তারা সকলে যেন রমণীসঙ্গ ত্যাগ করে। তাতেই নাকি প্রকৃত মনুষ্যত্ব, পুরুষত্ব ও সুখ নিহিত। নরনারীতে প্রেম, ভালোবাসা, দেহমনের টানে তার ঘোর আপত্তি ছিল। তাহলে বোঝা গেলো, বুদ্ধের অনুসারী পুরুষ হতে হলে তাদেরকে নপুংশক বা খোজা হতে হবে। নরনারীর দেহমনের সম্পর্ক হারাম। তার মানে বংশবৃদ্ধি বন্ধ। মানব সম্প্রদায়ের বিলুপ্তিই কি চেয়েছিলেন মহামানব বুদ্ধ?

৪১৮.
আল্যাকে এতো বিদ্রূপ করি, তবুও তার কোনো টুঁ শব্দ নেই কেন? ম'লো নাকি?

৪১৯.
হিন্দুরা শিবলিঙ্গের পূজা করে। তাই এর খুধা-তৃষ্ণার প্রতিও তারা সর্বদা সজাগ ও সদয়। খুধা-তৃষ্ণা নিবৃত্তির জন্য ওরা শিবের লিঙ্গকে দুধ খেতে দেয়। মুছলিমরা আল্যার লিঙ্গ, হাজরে আসওয়াদের পূজা করে। আল্যার লিঙ্গে চুমু খায়। কিন্তু কোনো খাদ্য-পানীয় দেয় না তাকে । বেচারি খুধা-তৃষ্ণায় সব সময় হাঁ করে থাকে। এ কেমন অমানবিকতা? আল্যার লিঙ্গের গঠন অনুযায়ী তাকে উট পাখির ডিম কিন্তু খেতে দেওয়া যায়।

৪২০.
যখন আল্যা খ্রিষ্টান ছিল তখন সে পুরুষ ছিল। মেরীর সাথে ব্যভিচার করে যিশু নামের একটা জারজপুত্রও জন্ম দিয়েছিল। মহাবদ এসে আল্যাকে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করে মুছলমান বানালো,ও তাকে খোজা করে দিলো। আল্যার পূর্ব ধর্মের সাথে সাথে তার পুরুষত্বও হরণ করলো মরুদস্যু মহাবদ নবী। তাই বেচারী আল্যাপাক পরে আর নারীসঙ্গ করতে পারেনি, এবং কোনো জারজসন্তানের জন্মও দিতে পারেনি।

বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০১৪

নাস্তিকদের কটূক্তির দাঁতভাঙা জবাব - ১৯

লিখেছেন ওয়াশিকুর বাবু

আসুন, নাস্তিকদের কটূক্তির বিরুদ্ধে দাঁতভাঙা জবাব দেই...


কটূক্তি ৩৭:
আল্লাহ ভবিষ্যৎদ্রষ্টা, তার মানে - কোন মানুষ অপরাধ করবে তা আল্লাহ আগে থেকেই জানেন। যেহেতু মানুষের আল্লাহর জানার বাইরে যাবার ক্ষমতা নেই, তাহলে মানুষ কেন পাপের শাস্তি পাবে?

দাঁত ভাঙা জবাব:
দেখুন, আল্লাহ বান্দার ভবিষ্যৎ জানেন ঠিকই, কিন্তু বান্দা পাপ করবে না পূন্য করবে, সেটা বান্দা নিজেই নির্ধারণ করে। তাই পাপের শাস্তি বান্দার প্রাপ্য।


কটূক্তি ৩৮:
যদি মানুষের স্বাধীনতা থাকে নিজের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করার, তাহলে আল্লাহ ভবিষ্যৎদ্রষ্টা হয় কীভাবে?

দাঁত ভাঙা জবাব:
বান্দা পাপ পুণ্যের পথ নির্ধারণ করে ঠিকই, তবে আল্লাহ ভাল মতই জানেন কোন পথে যাবে বান্দা। অবশ্যই আল্লাহ ভবিষ্যৎদ্রষ্টা।

[বি.দ্র. কটূক্তির বদলে দাঁত ভাঙা জবাব গুলো আমার নয়। বিভিন্ন সময়ে ভার্চুয়াল মুমিনগণ যে জবাব দিয়েছেন তা কপি করে ছড়িয়ে দিচ্ছি শুধু। আপনারাও সবাই শেয়ার করে নাস্তিকদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জবাব দিন, ঈমান পোক্ত করুন...]















বনের পাখি খাঁচার পাখি

অনেকের কাছে বন্দীজীবন ও দাসত্বই মধুর।
মনে পড়ে যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'দুই পাখি' নামের কবিতার কথা।
কিয়দংশ উদ্ধৃত করা যাক:

খাঁচার পাখি ছিল সোনার খাঁচাটিতে, বনের পাখি ছিল বনে।
একদা কী করিয়া মিলন হল দোঁহে, কী ছিল বিধাতার মনে।
বনের পাখি বলে, ‘খাঁচার পাখি ভাই, বনেতে যাই দোঁহে মিলে।’
খাঁচার পাখি বলে, ‘বনের পাখি আয়, খাঁচায় থাকি নিরিবিলে।’
বনের পাখি বলে, ‘না, আমি শিকলে ধরা নাহি দিব।’
খাঁচার পাখি বলে, ‘হায়, আমি কেমনে বনে বাহিরিব।’

বনের পাখি গাহে বাহিরে বসি বসি বনের গান ছিল যত,
খাঁচার পাখি পড়ে শিখানো বুলি তার— দোঁহার ভাষা দুইমত।
বনের পাখি বলে ‘খাঁচার পাখি ভাই, বনের গান গাও দেখি।’
খাঁচার পাখি বলে, ‘বনের পাখি ভাই, খাঁচার গান লহো শিখি।’
বনের পাখি বলে, ‘না, আমি শিখানো গান নাহি চাই।’
খাঁচার পাখি বলে, ‘হায় আমি কেমনে বনগান গাই।’
...

শৃঙ্খলিত মগজ ও স্বাধীন মগজ - ঠিক যেন খাঁচার পাখি ও বনের পাখি।


নাস্তিকদের প্রতি আল্টিমেটাম

লিখেছেন বাংলার উসমান মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ ইসলাম

কুরান একটি পুরনাংগ জীবন ব্যবাস্থা।

অরিজিনাল পবিত্র কুরানে একটি মাত্র ভুল কেউ খুঁজি বাহির কোইত্তে ফারবে না। বাহির কোইরবে কি করি, সেই অরিজিনাল কুরানই ত এখন আর নাই।

তাইলে নাস্তেকরা যে প্রতিদিন কুরান থিকা এটা ওটা ভুল বাহির করে সেটা কি?

হাহাহাহা ... আরে, ওটা ত আসল কোরান নয়।ওটা স্রেফ অনুবাদিত কোরান। আফনেরা জানেন বর্তমান অনুবাদিত কুরানটাতে কিসু বেফার বাদ ফড়েসে, যেমন,
- ধর্ষন নিয়া কিসু বলা নাই
- নাস্তিকদের নিয়া কিসু উল্লেখ নাই
- ৫ ওয়াক্ত নামাজের কতা বলা নাই

আবার, পবিত্র কুরানে এমুন কিসু বিষয় আছে যেইগুলা বর্তমান যুগে চলে না বা যুগ অনপোযুগী।যেমন,
- বিনা ওজরে দাসী ভক্ষন। কারন দাস/দাসী প্রথা ই ত এখন আর নাই।
- পালক পূত্রের ওয়াইফকে বিবাহ করার বিধান। সামাজিক অমর্যাদাকর।
- বউ পিটানি। পুলিশ রেব এর ঝামিলা।

কিন্তুক আমার শক্তিশালী দৃঢ় ঈমানী বিশ্বাস, উপরুক্ত বিষয়গুলা নিয়া ওরিজিনাল কুরান শরিফে কিসু না কিসু বলা আছে, কারন পবিত্র কোরান সর্বকালের সর্বযুগের।

তাই, বাংলার উসমান মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ ইসলাম ‘নিখিল বাংলা মুয়াজ্জিন ফরিষদ’ থেকে নাস্তেকদের আহ্বান জানাস্‌সে, বর্তমানের ক্লাসিক্যাল আরবী ভাষার কুরান থেকে আর কুনো ভুল অনুসন্ধান করিও না, কারন এটা যেহেতু অনুবাদিত কুরান সেহেতু এতে কিসু ভুল ভ্রান্তি থাকবেই।

ভুলে ভরা একটা গ্রন্থ নিয়া এত এত সময় নষ্ট করা সমীচীন নহে। বরং হে নাস্তেকরা তমরা আমাগের সাথে যুগ দেও আস্‌লি কুরান এর অস্তিত্ব অনুসন্ধানে।

তারফর, দেকবো তমার কেমোন করি বাহির করো কুরানিক ভুল। ফারবা না, লাকবা বাজি???

আমি আবারো বলসি, বর্তমান কুরানের ভিতরে ঢুকি যুক্তি তর্কের সাইতে বরং এর সত্যতা/অস্তিত্ব নিয়া প্রশ্ন উঠানিই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

হে নাস্তিকসগল, আমি আল্টিমেটাম দিতেসি যে, আগামী তিনদিনের ভিতর এ বেফারে তোমাগের মতামত জানাও।

সচিত্র শবে মেরাজ

লিখেছেন দাঁড়িপাল্লা

বিভিন্ন ইসলামিক বর্ণনা মতে এবং মুসলমানদের একটা কমন বিশ্বাস অনুযায়ী এই ব্যাপারটা সবাই জানি যে, মহাম্মদ সশরীরে বোরাকে চড়ে মেরাজে গেছিলেন। জিব্রাইলের সাথে মসজিদে হারাম থেকে প্রথমে বাইতুল মোকাদ্দাস পর্যন্ত ভ্রমণ করেন। সেখানে মসজিদের দরজার খুঁটির সাথে বোরাক বেঁধে যাত্রা বিরতি করেন এবং সকল নবীর ইমাম হয়ে নামাজ আদায় করেন।

তারপর এক এক করে সাত আসমান ভ্রমণ করেন। প্রথম আসমানে আদমের সাথে দেখা হয়। আদমের সাথে পরিচয় করাই দেয়া হয় আদি পিতা বলে।

দ্বিতীয় আসমানে দেখা হয় ইয়াহইয়া ও ঈসা নবীর সাথে। তৃতীয় আসমানে ইউসুফ নবীর সাথে, চতূর্থ আসমানে ইদ্রীস নবীর সাথে, পঞ্চম আসমানে হারুন নবীর সাথে, ষষ্ঠ আসমানে মূসা নবীর সাথে এবং সব শেষে সপ্তম আসমানে দেখা হয় ইব্রাহীম নবীর সাথে যাকে বংশের আদি পিতা হিসাবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। এরা সবাই যে নবীর নবুয়তের কথা স্বীকার করেন, সেটাও বলা হয়।

তারপর যাওয়া হয় সিদরাতূল মোনতাহা নামক গাছের নিকটে। সেখান থেকে উৎপত্তি চারটি নদীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় - যার দুটি নদী (সালসাবিল ও কাওসার) ভিতরের দিকে অর্থাৎ বেহেস্তের দিতে প্রবাহিত, এবং বাকি দুটি (মিসরের নীল ও ইরাকের ফোরাত) বাহিরের দিকে অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠের দিকে প্রবাহিত। এরপর দেখানো হয় বায়তুল মা’মুর, ফেরেস্তাদের আসমানী কা'বা। তারপর সিদরাতুল মুনতাহা হয়ে সেখান থেকে রফরফ নামক বাহনে করে ৭০ হাজার নূরের পর্দা পেরিয়ে আরশে আল্লার দরবারে হাজির হন। সেখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম পান।

এই হলো মোটামুটি মেরাজের ঘটনা। তবে এর মাঝে জিব্রাইলের সাথে বেহেস্ত ও দোজখ পরিদর্শন করেন। জাহান্নাম দর্শনের সময় প্রথমেই জাহান্নামের দারোগা মালেককে তিনি দেখলেন। মালেক কখনো হাসে না। তার চেহারায় হাসিখুশির কোনো ছাপও নেই। জাহান্নামে নবী দেখলেন, এতিমের ধন-সম্পদ অন্যায়ভাবে আত্মসাৎকারীদের অবস্থা - তাদের ঠোঁট ছিলো উঁটের ঠোটের মত। তাদের মুখে পাথরের টুকরার মত আগুনের পিণ্ড ঢোকানো হচ্ছে আর সেই আগুনের পিণ্ড তাদের গুহ্যদ্বার দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। সুদখোরদের ঠোঁটের অবস্থা এত বড় ছিল যে তারা নাড়াচাড়া করতে পারছিল না। ফেরাউনের অনুসারীদের জাহান্নামে নেয়ার সময় তারা এসব সুদখোরকে মাড়িয়ে যাচ্ছিল। জেনাকারীরা সামনে তাজা গোশত থাকা সত্ত্বেও তারা তাজা গোশত রেখে পচা গোশত খাচ্ছিল। যারা পরকীয়া করত কিংবা স্বামী বাজে অন্যের বীর্যে সন্তান ধারণ করছিল, সেই সব মহিলার বুকে বড় বড় কাঁটা বিধিয়ে শুন্যে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।

নবীর আল্লার সাথে সাক্ষাৎ এবং জাহান্নাম পরিদর্শন নিয়ে মুসলমান চিত্রশিল্পীদের আঁকা কিছু ছবিও আছে:



আরও তিনটি ছবি: এক, দুই, তিন

এবার একটু মেরাজের আগে-পরের কাহিনী শোনা যাক:

উম্মে হানির বর্ণনায় মেরাজের যে-কাহিনী জানা: ঐ রাতে মুহাম্মদ রাতের প্রার্থনা সেরে ঘুমাতে যান। খুব ভোরে মুহাম্মদ উঠে সবাইকে জাগালেন এবং প্রার্থনা সারলেন। উম্মে হানিও তাঁর সাথে প্রার্থনা সারলেন। প্রার্থনা শেষে মুহাম্মদ জানালেন, "ও উম্মে হানি, এই ঘরে আমি তোমাদের সাথে প্রার্থনা করেছি। যেমন তোমরা দেখেছ। তারপর আমি পবিত্র স্থানে গিয়েছি এবং সেখানে প্রার্থনা সেরেছি। এবং তারপর তোমাদের সাথে ভোরের প্রার্থণা সারলাম, যেমন তোমরা দেখছো।"

- অর্থাৎ মেরাজে যাওয়ার আগে নবী উম্মে হানির ঘরে ছিল। সেখানে রাতের প্রার্থনা করে ঘুমাতে গেছে। এবং ভোরবেলা সবাইরে জাগাইয়া "পবিত্র স্থানে গিয়েছি" বলে মেরাজের গল্প ফাঁদছে। তারপর সবার সাথে ভোরের প্রার্থনা সারছে। অর্থাৎ উম্মে হানির ঘরে ঢুকে মেরাজে গেছে, আবার মেরাজ থেকে ফিরে এসে উম্মে হানির ঘর থেকে বের হয়েছে।

আনাছ (রা:) মালেক ইবনে সা’সাআ’হ (রা:) হইতে বর্ণনা করিয়াছেন, "নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লামকে যেই রাত্রে আল্লাহ তাআলা পরিভ্রমণে নিয়া গিয়াছিলেন সেই রাত্রের ঘটনা বর্ণনায় ছাহাবীগণের সম্মুখে তিনি বলিয়াছেন, যখন আমি কা’বা গৃহে উন্মুক্ত অংশ হাতীমে (উপণীত হইলাম এবং তখনও আমি ভাঙ্গা ঘুমে ভারাক্রান্ত) ঊর্ধ্বমুখী শায়িত ছিলাম, হঠাৎ এক আগন্তক (জিব্রাঈল ফেরেশতা) আমার নিকট আসিলেন (এবং আমাকে নিকটবতী/ জমজম কূপের সন্নিকটে নিয়া আসিলেন)। অত:পর আমার বক্ষে ঊধর্ব র্সীমা হইতে পেটের নিম্ন সীমা পর্যন্ত চিরিয়া ফেলিলেন এবং আমার হদয় বা কল্বটাকে বাহির করিলেন। অত:পর একটি স্বর্ণপাত্র উপস্থিত করা হইল, যাহা ঈমান (পরিপক্ব সত্যিকার জ্ঞান বর্ধক) বস্তুতে পরিপূর্ণ ছিল । আমার কল্বটাকে (জমজমের পানিতে) ধৌত করিয়া তাহার ভিতরে ঐ বস্তু ভরিয়া দেওয়া হইল এবং কল্বটাকে নির্ধারিত স্থানে রাখিয়া আমার বক্ষকে ঠিকঠাক করিয়া দেওয়া হইল। অতঃপর..." অতঃপর বোরাকের কাহিনী এবং সেটা চড়ে মেরাজে যাওয়ার ঘটনা।

এবার আরো কিছু ফ্যাক্ট দেখা যাক:

উম্মে হানি কে ছিল? মহাম্মদের চাচাতো বোন। আবু তালিবের মেয়ে। মহাম্মদকে ছোটবেলায় এতিম অবস্থায় দেখভাল করেছিলেন। মহাম্মদ উম্মে হানিকে ভালোবেসেছিল। কিন্তু মহাম্মদ গরীব বলে আবু তালিব তার সাথে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি হন নাই। তাছাড়া আবু তালিব ছিলেন মুশরিক। সেই থেকেই মহাম্মদ আবু তালিবের ওপর একটা চাপা ক্ষোভ ছিল।

মহাম্মদ যখন ঐ রাতে উম্মেহানির ঘরে যায়, তখন ঘরে আর কেউ ছিল না। এবার চিন্তা করেন, আপনার বিয়ে হয়ে গেছে, অথচ প্রথম প্রেমের কথা ভুলতে পারছেন না। পরের দিকে একটা সময় সেই পুরানো প্রেমিক/প্রেমিকা আপনার আয়ত্বের মধ্যে। তখন ফিলিংসটা কেমন হবে? আর ঘটনাটা ঘটে গেলে বা কেউ দেখে ফেললে তখন সেটাই বা লোকজনের কাছে কিভাবে চাপা মেরে বা ধামাচাপা দেয়ার জন্য বলবেন?

এবার একটু কমন সেন্স, সেই সাথে একটু দুষ্টু বুদ্ধি খাটান (সুশীলরা দূরে গিয়া মরেন):
  • উম্মে হানির ঘরে প্রথম যে-প্রার্থনার কথা মহাম্মদ বলছে, সেটা প্রথম সেক্স।
  • তারপর ঘুমিয়ে পড়ার কাহিনী যেটা মহাম্মদ "ভাঙা ঘুমে ভারাক্রান্ত" হিসাবে বলছে। আসলেই তাই। এরকম পরিস্থিতে একেবারে ঘুমিয়ে পড়া অসম্ভব। পুনরায় সেক্স না ওঠা পর্যন্ত ভাঙা ভাঙা ঘুম...
  • "পবিত্র স্থানে গিয়েছি" - ঐ সময়ে প্রথম প্রেমের প্রেমিকার যোনির চাইতে পবিত্র স্থান আর কী হতে পারে!
  • ছাহাবীগণের সম্মুখে যে বর্ণনা, সেটা পরের বার সেক্সের কাহিনীটারই রূপক বর্ণনা। জিব্রাঈল ফেরেশতা আর কেউ নয়; উম্মে হানি।
  • ভাঙা ঘুমে ভারাক্রান্ত...ঊর্ধ্বমুখী শায়িত - কোন পজিশনের কথা বলা হইছে, আশা করি খুলে বলতে হবে ন। আর ভাঙা ঘুম মানে সেক্স করে ক্লান্ত হয়ে শুয়ে আছে, আর উম্মে হানি উপরে বসে একটু একটু করে আবার উত্তেজিত করার চেষ্টা করছে।
  • বক্ষে ঊধর্ব র্সীমা হইতে পেটের নিম্ন সীমা পর্যন্ত চিরিয়া - কাপড় খুলে ফেলার কাহিনী নয়?
  • হদয় বা কল্বটাকে বাহির - ঐ মুহুর্তে হৃদয় বলতে লিঙ্গ ছাড়া আর কী হইতে পারে!
  • কল্বটাকে (জমজমের পানিতে) ধৌত - উম্মে হানি লিঙ্গটাকে মুখের ভিতর নিয়ে...হায়রে জমজমের পানি!
  • ঐ বস্তু ভরিয়া দেওয়া হইল - কিসের মধ্যে কী ভরিয়া দেয়া হইল, সেইটাও যদি না বুঝতে পারেন তো আজীবন বকরী থাকাই উচিত আপনার।
  • কল্বটাকে নির্ধারিত স্থানে রাখিয়া আমার বক্ষকে ঠিকঠাক করিয়া দেওয়া হইল - কাজ শেষ!
  • অতঃপর..." অতঃপর বোরাকের কাহিনী এবং সেটা চড়ে মেরাজে যাওয়ার ঘটনা। ব্যাপারটা উলটা। উম্মেহানি ঘোড়ায় চড়ছিল। আর গল্পের ফাঁদে পড়ে বোরাকের মুখটা উম্মে হানির মত হয়ে গেল।
এবারে একটু ইসলামিক গিয়ান খাটান:

কেয়ামতে বা শেষ বিচারের দিনে বিশ্বাস ইসলামের মূল বিশ্বাসগুলির একটি। ইসলাম ধর্মে কেয়ামত বা কিয়ামত হলো সেই দিন, যে দিন এই বিশ্বব্রহ্মান্ডে আল্লাহ সৃষ্ট সকল জীবকে পুনরুত্থান করা হবে বিচারের জন্য। সকল জীবকে তার কৃতকর্মের হিসাব দেয়ার জন্যে এবং তার কৃতকর্মের ফলাফল শেষে পুরস্কার বা শাস্তির পরিমাণ নির্ধারণ শেষে জান্নাত/বেহেশত/স্বর্গ কিংবা জাহান্নাম/দোযখ/নরক এ পাঠানো হবে। [উইকি]

অর্থাত কেয়ামতের আগ পর্যন্ত সবাই কব্বরে আজাব খেতে থাকবে। কেয়ামতের দিন সবাইরে কব্বর থেকে উঠিয়ে বিচার করে তারপর জান্নাত/জাহান্নাম পাঠাবে। অর্থাৎ কেয়ামতের আগে কারো পক্ষে জান্নাত বা জাহান্নামে যাওয়া সম্ভব নয়। তাহলে মহাম্মদ যে সাত আসমানে ৭ জনরে আর দোজখে গিয়া দুর্নীতিবাজ সুদখোর পরকীয়াকারী প্রভৃতি পাপীষ্ঠাদের দেখল, তারা কেয়ামতের আগেই ওখানে গেল কীভাবে?

আগের সব কথা বাদ দিলেও এই একটা প্যাঁচেই মহাম্মদ এখানে ধরা, এবং মেরাজের কাহিনী যে সম্পূর্ণ ভূয়া, সেটা বুঝতে আর অসুবিধা থাকার কথা নয়, যদি না আপনি আজীবন বকরি হয়ে থাকেন। 

ফাল দিয়া ওঠা কথা - ১৪

লিখেছেন ওয়াশিকুর বাবু

৪০.
- উম্মে হানির ঘরে কে রে?
- আমি মেরাজে গেছি...

৪১. 
বিজ্ঞান, ইতিহাস, যুক্তি, মানবতা - সব কিছুই ধর্মগুলোর অসারতা প্রমান করে;
তাই সহী ধার্মিকরা সব কিছু থেকে মুখ ফিরিয়ে ধর্মগ্রন্থে বুঁদ হয়ে থাকে...

৪২.
ঈশ্বর চান, মানুষ শান্তিতে বসবাস করুক। তাই তিনি অনেকগুলো ধর্ম সৃষ্টি করেছেন...

কাসুন্দিমন্থন - ২১

(ধর্মকারীর নতুন পাঠকদের কথা ভেবে নির্বাচিত কিছু পুরনো পোস্ট পুনঃপ্রকাশ করা হবে এই সিরিজে)


১. মোনাজাত-মাপক যন্ত্র

দোয়া-মোনাজাত-প্রার্থনা মানেই সময়ের অনর্থক অপচয়। যা ঘটবে, তা অনিবার্য। "গুনগুনিয়ে কেন্দে কেন্দে মাথা ঝাঁকিয়ে" (বাংলার উসমান মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ ইসলাম-এর ভাষায়) ভগবানেশ্বরাল্লাহর কাছে আর্জি পেশ করে কুনো লাভ নাই। 

তো এই অপচয়িত সময়ের একটি হিসেব করার সহজ ব্যবস্থা আছে নেটে। আপনি জীবনে কতো বছর দোয়া-মোনাজাত-প্রার্থনা করেছেন বা করে চলেছেন এবং এর ফলে কতোটা সময় স্রেফ গচ্চা গেছে, তা জেনে নিন এই মোনাজাত-মাপক যন্ত্র থেকে। 

প্রথম প্রকাশ: ১৫.০২.১০

২. লুইস ব্ল্যাকের ধর্মবিশ্লেষণ

ইহুদি বংশোদ্ভুত আমেরিকান স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান, লেখক, নাট্যকার ও অভিনেতা লুইস ব্ল্যাক-এর সঙ্গে অভূতপূর্ব দশটা মিনিট কাটান। মোনাজাতের মতো বিফলে যাবে না  

ভিডিও লিংক: http://youtu.be/LGrlWOhtj3g

প্রথম প্রকাশ: ১৮.০২.১০

মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০১৪

সতীদাহ প্রথা: কোত্থেকে ও কী ক'রে

লিখেছেন 'যুক্তি' নামের ফেইসবুক পেইজের অ্যাডমিন 

হিন্দুধর্মের ইতিহাসে সতীদাহ বা সহমরণের কথা প্রথম জানা যায় অথর্ববেদে। যেখানে বলা হয়েছে : “... জীবিত নারীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মৃতের বধু হতে” (১৮/৩/৩)। “এই নারী পতিলোকে যাচ্ছে, এ প্রাচীন রীতি অনুসরণ করছে...” (১৮/৩/৩/১)। 

পরাশর সংহিতা বলছে: “মানুষের শরীরে সাড়ে তিন কোটি লোম থাকে, যে নারী মৃত্যুতেও তার স্বামীকে অনুগমন করে, সে স্বামীর সঙ্গে ৩৩ বৎসরই স্বর্গবাস করে।” (৪:২৮)। 

দক্ষ সংহিতার ৪:১৮-১৯নং শ্লোকে রয়েছে, যে সতী নারী স্বামীর মৃত্যুর পর অগ্নিতে প্রবেশ করে সে স্বর্গে পূজা পায়। আবার পরবর্তী শ্লোকে (৫:১৬০) বলা হয়েছে, “যে নারী স্বামীর চিতায় আত্মোৎসর্গ করে সে তার পিতৃকুল, স্বামীকুল উভয়কেই পবিত্র করে।” 

যেমন করে সাপুড়ে সাপকে তার গর্ত থেকে টেনে বার করে তেমনভাবে সতী তার স্বামীকে নরক থেকে আকর্ষণ করে এবং সুখে থাকে। ব্রহ্মপুরাণ বলে, “যদি স্বামীর প্রবাসে মৃত্যু হয়ে থাকে তবে স্ত্রীর কর্তব্য স্বামীর পাদুকা বুকে ধরে অগ্নিপ্রবেশ করা।” 

মহাভারতের মৌষল পর্বে, ভগবান কৃষ্ণের মৃত্যুর পর তাঁর চার স্ত্রী রুক্ষিণী, রোহিণী, ভদ্রা এবং মদিরা তাঁর চিতায় সহমৃতা হয়েছিলেন। এমন কি বসুদেবের আট পত্নীও তাঁর মৃত্যুর পরে সহমরণে গিয়েছিলেন। পঞ্চপাণ্ডবের পিতা, হস্তিনাপুরের রাজা পাণ্ডুর মৃত্যুর পর তার দ্বিতীয় স্ত্রী মাদ্রিও সহমরণে গিয়েছিলেন। 

ব্যাসস্মৃতি বলছে, চিতায় বিধবা নারী তার স্বামীর মৃতদেহে আলিঙ্গন করবেন অথবা তার মস্তকমুণ্ডণ করবেন। (২:৫৫)। 

ষষ্ঠশতকের বরাহমিহির তার বৃহৎসংহিতায় বলেন, “অহো নারীর প্রেম কি সুদৃঢ়, তারা স্বামীর দেহ ক্রোড়ে নিয়ে অগ্নিতে প্রবেশ করে।” (৭৪:২৩)। 

‘হিন্দু নারী তার স্বামীর প্রতি ভালোবাসার জন্যই সহমরণে যায়। এ হিন্দু নারীর চিরন্তন বৈশিষ্ট্য, ঐতিহ্য, মমত্ব, স্বামীর প্রতি অগাধ ভালোবাসার দুর্লভ উদাহরণ।’--ব্রাহ্মণ্যবাদীদের এরকম সাফাই বক্তব্যের দিয়েছেন সুকুমারী ভট্টাচার্য : 

“বৃহৎসংহিতার যুগ থেকেই সমাজ এই অতিকথা ঘোষণা করে আসছে যে নারী তার স্বামীর প্রতি ভালোবাসার জন্যই সহমরণে যায়। এই মিথ্যার অবসান হওয়া উচিৎ। যদি স্বামীর প্রতি প্রেমে এক নারী আত্মহত্যা করে তবে কেন আজ পর্যন্ত কোনো স্বামী তার স্ত্রীর চিতায় আত্মহত্যা করে নি? এ তো হতে পারে না যে আজ পর্যন্ত কোনো স্বামী তার স্ত্রীকে ভালোবাসে নি। যদি সতীদাহের ভিত্তি হতো প্রেম, তবে আমরা অবশ্যই কিছু কিছু ঘটনা দেখতে পেতাম যেখানে মৃত স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীও সহমরণে গেছেন। কিন্তু তা হয় নি, এ বিষয়ে কোনো শাস্ত্রীয় বিধিও নেই। সুতরাং মূল ব্যাপার হল স্বামীর স্বার্থে স্ত্রীর সম্পূর্ণ আত্মবিসর্জন; আর সতীদাহ এই আজীবন নাটকেরই পঞ্চমাংকের শেষ দৃশ্য।” (দ্রষ্টব্য : প্রাচীন ভারতে নারী ও সমাজ, পৃষ্ঠা ১৪৮)।

সতীদাহের এ রীতি কত পুরানো? এটি আর্য না প্রাগার্য সংস্কৃতি? কারণ আমরা ইন্দো-ইয়রোপীয় অন্য সভ্যতাগুলিতে আমরা সহমরণের কথা তো পাই না। অথচ ১৮১৫ সাল থেকে ১৮১৮ সাল পর্যন্ত মাত্র তিন বছরে নারীর সতীত্ব রক্ষার নামে কেবল বাংলায় (যা তখন বারাণসী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল) ২৩৬৬ জন নারীকে আগুনে পুড়িয়ে সতী বানানো হয়েছিল, যার মধ্যে কলকাতাতেই সতীদাহের সংখ্যা ১৮৪৫। আর ১৮১৫ থেকে ১৮২৮ সাল পর্যন্ত, মাত্র তের বছরে বাংলাতে ৮১৩৫ জন নারীকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ‘সতী’ বানিয়েছিলেন হিন্দু ঠাকুর-পুরোহিতগণ। 

হিন্দু নারীরা কি স্বামীর মৃত্যুর পর স্বেচ্ছায় স্বামীর চিতায় ওঠে সহমরণে যেতেন? ঐতিহাসিকগণ জানিয়েছেন কয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সদ্য বিধবা নারীকে উত্তেজক পানীয় পান করিয়ে কিংবা নেশা জাতীয় দ্রব্য শুঁকিয়ে অজ্ঞান করে, অর্ধচেতন অবস্থায় স্বামীর চিতায় তুলে দেওয়া হতো। এ প্রসঙ্গে গবেষক সুকুমারী ভট্টাচার্যের কিছু বক্তব্য প্রসঙ্গক্রমে তুলে ধরছি :

“সদ্যবিধবা নারী নববধূর মতো সাজে, তার শ্রেষ্ঠ পোষাক পরে, সিঁদুর, কাজল, ফুলমালা, চন্দন, আলতায় সুসজ্জিত হয়ে ধীরে ধীরে সে চিতায় ওঠে, তার স্বামীর পা দুটি বুকে আঁকড়ে ধরে কিংবা মৃতদেহকে দুই বাহুতে আলিঙ্গন করে, এইভাবে যতক্ষণ না আগুন জ্বলে উঠে ততক্ষণ সে বিভ্রান্তির সঙ্গে অপেক্ষা করে। যদি শেষ মুহূর্তে বিচলিত হয় এবং নীতিগত, দৃশ্যগতভাবে ছন্দপতন ঘটে তাই শুভাকাক্সক্ষীরা তাকে উত্তেজক পানীয় পান করায়। এমন কি পরে যখন আগুনের লেলিহান শিখা অসহনীয় হয়ে ওঠে, পানীয়র নেশা কেটে যায়, তখন যদি সেই বিধবা বিচলিত হয়ে পড়ে, ‘সতী’র মহিমা ক্ষুণ্ণ হবার ভয় দেখা দেয় তখন সেই শুভাকাক্সক্ষীরাই তাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে চেপে ধরে যদি সে চিতা থেকে নেমে আসতে চায়, প্রতিবেশী, পুরোহিত, সমাজকর্তা সকলেই অনুষ্ঠানের সাফল্যের জন্য অতিমাত্রায় সাহায্য করতে চায়। তারা গান করে, ঢাক বাজায় এতো উচ্চ জয়ধ্বনি দেয় যে সতী যা কিছু বলতে চায় সবই উচ্চনাদে ঢেকে যায়।” (দ্রষ্টব্য : প্রাচীন ভারতে নারী ও সমাজ, পৃষ্ঠা ১৪৭)।

একটু ভাবুন তো, একটি নিরাপরাধ মেয়েকে টেনে-হিচড়ে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলছে, পাশে মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন সক্কলে দাঁড়িয়ে ‘বল হরি বল’ কীর্তন গেয়ে নিজেদের স্বর্গে যাবার আয়োজন করছে, ভাবতেই গা গুলিয়ে উঠে! 

মানুষ কী পরিমাণ ধর্মান্ধ হলে এরকম কাজ করতে পারে? ‘ধর্ম’ নামক আফিমীয় মাদক মানুষকে কতটুকু নির্বোধ-মানবিকতাশূন্য বানিয়ে দেয়, তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে সতীদাহ।

মেরাজ-রাণী উম্মে হানী

ধর্মকারীর জন্য কয়েক বছর আগে এই কার্টুনটি এঁকেছিলেন ইঁদুর

অতি অবশ্য পূর্ণাকারে দেখুন ছবির ওপরে ক্লিক করে।


আজ উম্মে হানী হানী দিবস।
আজকের এই রাতে নবীজি তার কাজিন উম্মে হানীকে লাগাতে গিয়ে
ধরা পড়ে গিয়ে মেরাজ এর গালগপ্পো বানিয়েছিলেন।
সবাই বলেন সুবহানাল্লাহ।
- শ্রোডিঞ্জারের বিড়াল

কোরানের একটা আয়াতের অর্থ এতোগুলা কেন, আল্লাহর মাথায় কি বুদ্ধি নাই?

লিখেছেন শ্রোডিঞ্জারের বিড়াল

একটা সামান্য মানুষ-গণিতবিদ একটা স্বীকার্য বাক্য দিতে পারেন: "যে কোনো ধনাত্বক স্বাভাবিক সংখ্যার যোগফল সর্বদা ধনাত্বক হবে।"

সামান্য একটা মানুষের এই স্বীকার্য বাক্য দুনিয়ার যে কোনো ভাষায়, যে কোনো মানুষকে বলা হলে দুনিয়ার সবাই এটা পড়ে হুবুহু একই জিনিস বুঝবে।

অথচ স্বয়ং সৃষ্টিকর্তার বাণীসমূহ এতো অস্পস্ট আর এতো ত্যানা-প্যাঁচানো অদ্ভুত যে, দশটা লোক কোরানের একটা আয়াত পড়লে দশটা জিনিষ বোঝে। কোরানের একটা আয়াতের নির্দিষ্ট কোনো সঠিক Understanding থাকে না।

দশ জন লোক দশভাবে বোঝে, মডারেটরা কোরান পড়েই প্রেম-পিরিতি করে, জিহাদীরা সেই একই কোরান পড়েই বোমা মারে। সাত আসমান জিনিসটা কী, তা এখন পর্যন্ত কেউ নির্দিষ্টভাবে বলতে পারে না। অথচ সেই আদিম যুগের একজন গণিতবিদ এমন স্বীকার্য বাক্য দিতে সক্ষম, যেটা পড়ে দুনিয়ার সব প্রান্তের সব মানুষ হুবহু একই জিনিষ বুঝবে।

অর্থাৎ একজন সামান্য মানুষ-গণিতবিদের স্বীকার্য বাক্যের চেয়ে সৃষ্টিকর্তার বাণী কতটা দুর্বল কতটা ভিত্তিহীন, চিন্তা করে দেখুন। কোরান সৃষ্টিকর্তার বাক্য হলে এর প্রতিটা আয়াতই একটি গণিতবিদের স্বীকার্য-বাক্যের মতই একই নির্দিষ্ট অর্থ ও ব্যাখ্যা বহন করতো। এক আয়াতের অর্থ বা ব্যাখ্যা এক হাজারটা হতো না, সৃষ্টিকর্তা এতো অস্পষ্ট, ভেগ ও অবোধ্য বাক্য পাঠাতেন না।

আল্লাহ যুগে যুগে নবী পাঠাইলেন, মুহাম্মদে আইসা তার স্টক ফুরাইয়া গেলো? 

আল্লাহ এতো দিন মত বদলাইতে থাকলেন, মুহাম্মদে আইসা তার মত ফিক্সড হইয়া গেল?

কোরান শেষ বাণী মানলাম, আল্লাহ কি যুগে যুগে এই কোরান দিয়াই মোজেজা সমেত নবী পাঠাইতে পারতেন না? প্রত্যেক নবী একই কোরান নিয়েই আসতো, কিন্তু বিভিন্ন ভাষায়।

আর বেশি না, একটা করে মোজেজা দেখিয়ে কাফেরদের মুখে জুতা মেরে দিতো, ভিডিও ক্যামেরা, সায়েন্টিফিক অবসারভেশানে ওই মোজেজা রেকর্ড হইতো। কোরানের অনুবাদ নিয়া কনফিউশান থাকতো না কুনু।

যুগে যুগে বিভিন্ন দেশের নবীর কাছে যার যার ভাষায় কোরান নাজিল হইতো। এই জেট বিমানের যুগে নবীরা একটা নির্দিষ্ট মরু এলাকা নয়, বরং পুরা পৃথিবীর কোনায় কোনায় ইসলাম প্রচার করতে পারতেন।

আল্লাহর মাথায় কি এই সামান্য বুদ্ধিগুলাও নাই? 

কোরান সৃষ্টিকর্তার বাক্যগুচ্ছ হলে এটি স্পস্ট, সরল, সম্পূর্নরূপে অনুবাদযোগ্য, সর্বজনবোধ্য ও সার্বজনীন হতো। কোরান কি তা?

একটু ভেবে দেখুন, একজন সামান্য মানুষ-গণিতবিদের বুদ্ধিমত্তা ও ভাব প্রকাশের ক্ষমতা আল্লাহর চাইতে কতটা বেশি।

ধর্মকর্মকাণ্ডকীর্তিকাহিনী - ০৬

(ধর্মকারী বরাবরই সিরিজময়। অতএব আরও একটি সিরিজের অবতারণা করা নিশ্চয়ই যায়েজ। 

'ইসলামী ইতরামি' ও 'লিংকিন পার্ক' সিরিজে ধর্মান্ধদের কাণ্ডকারখানা সংক্ষেপে বর্ণনা করে লিংক ধরিয়ে দেয়া হয়। তো একদিন নিলয় নীল প্রস্তাব দিলেন, তিনি নানান ধর্মের ধর্মগুরু ও মোমিনদের ঘটানো কিছু কিছু কীর্তি সবিস্তারে লিখতে আগ্রহী। তিনি এমনকি অতি নিয়মিত লেখা দেয়ার হুমকিও প্রদান করেছেন। তাঁর হুমকিতে ভীত ধর্মকারী মাঝেমধ্যে তার অলিখিত আইনের ('প্রথম পাতায় এক লেখকের একটির বেশি লেখা থাকবে না') ব্যত্যয় ঘটাতে সম্মত হয়েছে।

সিরিজের নামে পাঁচটি বিশেষ্যপদ ব্যবহার করা হলেও শব্দসংখ্যা আসলে ন'টি: ধর্ম, কর্ম, কাণ্ড, কীর্তি, কাহিনী, ধর্মকর্ম, কর্মকাণ্ড, কাণ্ডকীর্তি ও কীর্তিকাহিনী।

বিসমিল্যা বলে আল্যার নামে শুরু হলো যাত্রা।) 

লিখেছেন নিলয় নীল

ধর্মযাজক তার ধর্ষণকর্ম সম্পাদন করতেন চার্চের পবিত্র কক্ষে 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য অ্যালাব্যামায় অবস্থিত লিভিং ওয়াটার ওরশিপ সেন্টার চার্চের পাস্টর ছিলেন ৪৭ বছর বয়স্ক উইলিয়াম বেস্ট। আমাদের মসজিদের ইমাম বা মন্দিরের পুরোহিতের মতো চার্চের অন্যতম সম্মানজনক পদ হলো পাস্টর। এ রকম সম্মানজনক পদে অধিষ্ঠিত পাস্টর বেস্ট ধর্ষণ ও পায়ুকামের অভিযোগে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হলেন পুলিশের হাতে! 

অবাক করা ব্যাপার হলো, এই কর্মটি তিনি করতেন পবিত্র (!) চার্চে তাঁর অফিসে বসেই। আরও অবাক হবার বিষয় এই যে, যার সাথে এই কর্মটি তিনি করতেন, সেই মানুষটি তার পরিবারেরই সদস্য। তিন বছর ধরে বেস্ট তাকে ধর্ষণ করে আসছেন, প্রথম ধর্ষণ করেছেন তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর।

ধর্মযাজক বেস্ট

এই পারিবারিক সদস্য ছাড়াও তিনি তাঁর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে তাঁর পবিত্র চার্চের পবিত্র কক্ষে বসেই ধর্ষণ করেছেন ডজনাধিক নারীকে। বেস্টের কম্পিউটারসহ অন্যান্য জিনিষপত্র জব্দ করা হয়েছে, আর ইতোমধ্যেই বেস্টের শাস্তি ও জরিমানা করা হয়েছে। শাস্তি আরও বেড়ে যাবে যদি যাদেরকে ধর্ষণ করেছে, তাদের গোপনে ভিডিও করার ব্যাপারটি প্রমাণিত হয় বা পর্নোগ্রাফি পাওয়া যায়। এতো কাহিনীর পর অবশেষে বেস্টকে পাস্টর পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। 


সোমবার, ২৬ মে, ২০১৪

১৪০০ বছর আগে নবীজি এবং তার সাহাবিরা

লিখেছেন বুদ্ধ মোহাম্মদ যীশু কৃষ্ণ

লুল সাহাবিরা:
হুজুর, খালি মাইয়া মানুষ ছহবত করতে মঞ্চায়। চাইরডা বিবিতে তো মন ভরে না, আরো কয়ডা পাইলে বালা অইতো।

নবীজি:
আমার বানাইন্যা ধর্ম ইসলামেরে সব কাফের গুলানের কাছে প্রমোট করতে থাক, তাইলে পরকালে ৭২ ডা উন্নত বক্ষওয়ালা হুরি পাবি।

সমকামী সাহাবিরা:
হুজুর, আমরা কী করমু? আমাগো তো আবার কচি পোলা ছাড়া বাল্লাগে না, কচি পুলার স্বাদ কি হুর দিয়া মিটবো? আল্ল্যারে কইয়া একটা কিচু করেন, হুজুর।

নবীজি:
সেই বেবুস্থা তোগো আচরুন দেইখ্যা আল্লায় আগেই ভেস্তের ভিত্রে কইরা রাখছে, তোরা ভেস্তে যাইয়া অসংখ্য কচি গেলম্যান পুলা পাবি। হেই পুলাগো দিয়া গা-গতর টেপানো সহ সব কিছুই করতে পারবি। কিন্তুক আমার রাস্তায় থুক্কু আল্লার রাস্তায় জিহাদ করতে হইবো কইলাম। আর সব কাফের গুলানের কাচে কইবা, আমি বিশেষ অঙ্গের ইশারায় চাঁদ দুই টুকরা কচ্চিলাম, ঠিকাছে?

মাতাল সাহাবিরা:
হুজুর, আমরা মদ খাইয়া মসজিদের ভিত্রে মাতলামি করছিলাম, তাই আপনে তো মদ হারাম কইরা দিলেন, অক্ষন মদ না খাইতে পাইরা তো মাতা গুরে, গার মইদ্যে চুল্কায়। কী করুম, হুজুর?

নবীজি:
চিন্তাইস না, পরকালে তগর পত্তেকের লেইগ্যা এক নদী কইরা মদের বেবুস্থা কইরা রাখছি, সেইহানে সারাদিন মদ খাবি, আর মদের নদিতে হুরগো সাতে লইয়া সাঁতরাইবার পার হবি। কিন্তুক কাফেরগুলারে পাম পট্রি থুক্কু ইসলামের দাওয়াত দিয়া আমার ডাকাইত দলে থুক্কু আমার শান্তির ধর্মে নিয়া আইতে অইবো কইলাম।

আমার বোরখা-ফেটিশ – ৯৭


কিন্তু মোটর সাইকেলে দু'পা ফাঁক করে বসা তো হারাম!

এবং একটি বোনাস ছবি: মাথায় হিজাব থাকলেই হলো! ছবিটা হালকা ইয়ে প্রকৃতির। তাই ইমোটা খিয়াল কৈরা!