(ধর্মকারী বরাবরই সিরিজময়। অতএব আরও একটি সিরিজের অবতারণা করা নিশ্চয়ই যায়েজ।
'ইসলামী ইতরামি' ও 'লিংকিন পার্ক' সিরিজে ধর্মান্ধদের কাণ্ডকারখানা সংক্ষেপে বর্ণনা করে লিংক ধরিয়ে দেয়া হয়। তো একদিন নিলয় নীল প্রস্তাব দিলেন, তিনি নানান ধর্মের ধর্মগুরু ও মোমিনদের ঘটানো কিছু কিছু কীর্তি সবিস্তারে লিখতে আগ্রহী। তিনি এমনকি অতি নিয়মিত লেখা দেয়ার হুমকিও প্রদান করেছেন। তাঁর হুমকিতে ভীত ধর্মকারী মাঝেমধ্যে তার অলিখিত আইনের ('প্রথম পাতায় এক লেখকের একটির বেশি লেখা থাকবে না') ব্যত্যয় ঘটাতে সম্মত হয়েছে।
সিরিজের নামে পাঁচটি বিশেষ্যপদ ব্যবহার করা হলেও শব্দসংখ্যা আসলে ন'টি: ধর্ম, কর্ম, কাণ্ড, কীর্তি, কাহিনী, ধর্মকর্ম, কর্মকাণ্ড, কাণ্ডকীর্তি ও কীর্তিকাহিনী।
বিসমিল্যা বলে আল্যার নামে শুরু হলো যাত্রা।)
লিখেছেন নিলয় নীল
ধর্মযাজক তার ধর্ষণকর্ম সম্পাদন করতেন চার্চের পবিত্র কক্ষে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য অ্যালাব্যামায় অবস্থিত লিভিং ওয়াটার ওরশিপ সেন্টার চার্চের পাস্টর ছিলেন ৪৭ বছর বয়স্ক উইলিয়াম বেস্ট। আমাদের মসজিদের ইমাম বা মন্দিরের পুরোহিতের মতো চার্চের অন্যতম সম্মানজনক পদ হলো পাস্টর। এ রকম সম্মানজনক পদে অধিষ্ঠিত পাস্টর বেস্ট ধর্ষণ ও পায়ুকামের অভিযোগে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হলেন পুলিশের হাতে!
অবাক করা ব্যাপার হলো, এই কর্মটি তিনি করতেন পবিত্র (!) চার্চে তাঁর অফিসে বসেই। আরও অবাক হবার বিষয় এই যে, যার সাথে এই কর্মটি তিনি করতেন, সেই মানুষটি তার পরিবারেরই সদস্য। তিন বছর ধরে বেস্ট তাকে ধর্ষণ করে আসছেন, প্রথম ধর্ষণ করেছেন তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর।
ধর্মযাজক বেস্ট
এই পারিবারিক সদস্য ছাড়াও তিনি তাঁর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে তাঁর পবিত্র চার্চের পবিত্র কক্ষে বসেই ধর্ষণ করেছেন ডজনাধিক নারীকে। বেস্টের কম্পিউটারসহ অন্যান্য জিনিষপত্র জব্দ করা হয়েছে, আর ইতোমধ্যেই বেস্টের শাস্তি ও জরিমানা করা হয়েছে। শাস্তি আরও বেড়ে যাবে যদি যাদেরকে ধর্ষণ করেছে, তাদের গোপনে ভিডিও করার ব্যাপারটি প্রমাণিত হয় বা পর্নোগ্রাফি পাওয়া যায়। এতো কাহিনীর পর অবশেষে বেস্টকে পাস্টর পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন