আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০১৪

বৌদ্ধশাস্ত্রে পুরুষতন্ত্র: নারীরা হল উন্মুক্ত মলের মতো দুর্গন্ধযুক্ত - ১৩

লিখেছেন নিলয় নীল 


প্রতিটা ধর্মেই কমবেশী উদ্ভট গালগল্প রয়েছে, অনেকের কাছে যুক্তিবাদী ধর্ম হিসেবে পরিচিত বৌদ্ধধর্মেও আমি তার ব্যতিক্রম পেলাম না। যেহেতু আমাদের আলোচনার বিষয় নারীর প্রতি বৌদ্ধশাস্ত্রীয় দৃষ্টিভঙ্গি, তাই উদ্ভট গল্পে না যেয়ে নারী প্রসঙ্গেই আসি, যদিও সেখানেও আমরা উদ্ভট গালগল্প পাবো। একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, বৌদ্ধধর্ম হিন্দুধর্মের প্রভাবকে অস্বীকার করতে পারেনি, সম্ভবত সেজন্যই এই ধরনের অযৌক্তিক গল্পগুলো বৌদ্ধশাস্ত্রের পাতায় স্থান করে নিয়েছে। 

এই বিষয়ে আমরা আলোচনা করবো সমুদগ জাতক নিয়ে। ৪৩৬ নম্বর এই জাতকের বর্তমানবস্তুতে বোধিসত্ত্ব কোনো এক উৎকণ্ঠিত ভিক্ষুর উদ্দেশে বলেন, “দেখো তুমি রমণী লাভের জন্য এতো ব্যগ্র কেন? রমণীরা পাপাসক্ত ও অকৃতজ্ঞা। পূর্বে একটা দৈত্য কোন রমণীকে গিলিয়া নিজের কুক্ষির মধ্যে রাখিয়া বিচরণ করিতো, তথাপি সে তাহার চরিত্র রক্ষা করিতে ও তাহাকে একমাত্র পুরুষে আসক্ত রাখিতে পারে নাই। সে যাহা না পারিয়াছে তুমি তাহা পারিবে কেন?” 

এই জাতকের অতীতবস্তুতে জানা যায়, বোধিসত্ত্ব প্রবজ্জা নিয়ে হিমালয়ে বসবাস করেছিলেন। সে সময় কোনো এক দানব এক কুলকন্যাকে আহারের নিমিত্তে ধরে আনলেও তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে নিজ গুহায় দাম্পত্যজীবন শুরু করেন। কিন্তু দানব কন্যাটির চরিত্রের ওপর আস্থা রাখতে পারেনি। এজন্য তিনি নারীটিকে একটি বাক্সের মধ্যে বন্দি করে নিজেরই উদরে গোপন রাখতো। 

একদা বাক্সটি খুলে নারীটিকে ‘কিছুকালের জন্য বাতাস লাগাও’ বলে নিজে স্নানের জন্য গেলে নারীটি কৌশলে বায়ুপুত্রকে বাক্সের ভিতর গ্রহণ করে নেয় এবং সেখানে উভয়ে কামলীলায় মত্ত হয়। বাক্সসহ দানবটি বোধিসত্ত্বের নিকট ধর্মকথা শুনতে গেলে তিনি তিনজনকে স্বাগতম জানান। তিনজন শুনে দানব অবাক হলে বোধিসত্ত্ব তাহাকে সবকিছু খুলে বলে। দানবকে দেয়া বোধিসত্ত্বের উপদেশ গুলোর মধ্যে অন্যতম:
- ছলনাময়ী নারীদের চরিত্রে কখনোই বিশ্বাস করতে নেই।
- যত সাবধানেই নারীকে রক্ষা করো না কেন, তারা বহুগামী হবেই।
- নরকের পথে সব সময় নারীদের গমন।
- রমণী ত্যাগ করা পুরুষই একমাত্র প্রকৃত সুখ লাভ করতে পারে।
- রমণী ত্যাগ করে ধর্ম করাই মঙ্গল।
- নারী সংসর্গ দুর্গতি আনয়ন করে। 
নিম্নে দানবকে প্রদান করা বোধিসত্ত্বের উপদেশগাথা প্রদান করা হল: 
তুমি তব ভার্যা যারে পেটিকা ভিতরে
পুরিয়া কুক্ষিতে সদা রাখো রক্ষাতরে,
তৃতীয় বায়ুর পুত্র ভার্যা সঙ্গে তব
কুক্ষি মধ্যে করিতেছে মদন উৎসব।
যত সাবধানে করো না কেন রক্ষণ
বহু ছল জানে নারী, বিশ্বাস কখন
চরিত্রে তার আর করা নাহি যায়
নরকের পথে নারী প্রপাতের প্রায়।
রমণী সংসর্গ ত্যাজি যে জন বিচরে,
বীত সুখ হয়ে সেই সুখ লাভ করে।
রমণী সংসর্গ ত্যাজি ধর্ম অনুষ্ঠান
ইহাই বিজ্ঞের পক্ষে মঙ্গল নিদান।
এই সুখ তাহাদের প্রার্থনীয় অতি
রমণী সংসর্গে ঘটে অশেষ দুর্গতি।
(চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন