কোরান একটি হলেও তার তফসিরের সংখ্যা অগণ্য। সেসব পড়লে দেখা যায়, একজনের তফসিরের সঙ্গে আরেকজনের তফসিরের মিল তো নেইই, বরং সেগুলো প্রায়শই ভিন্ন অর্থবাহী ও ক্ষেত্রবিশেষে পরস্পরবিরোধীও। অনুমান করা দুরূহ নয় যে, তফসিরকারীরা যার যেভাবে খুশি আপন মনের মাধুরী মিশায়ে বিশ্লেষণ করেছে একেকটি আয়াত। তফসিরের সময় আমি অবশ্য মন নয়, তবে প্রায় 'মন'-এর মতোই উচ্চার্য একটি প্রান্তিক অঙ্গ ব্যবহার করি। আর তাই কোরানের কোনও আয়াত পড়ে আমার ধনের ডগায় মাথায় যে-চিন্তাটি আসে, সেই চিন্তার বীজপাত ঘটাই তফসিরে। আমার তফসির আকারে ছোট হলেও দৃঢ় এবং ব্র্যাকেট-পরা অবস্থায় মূল সুরার ফাঁকে ফাঁকে ঢোকানো।
সুরা ত্বীন
ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤـَﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম
করুণাময় , অতি দয়ালু (এবং সর্বশ্রেষ্ঠ চটিবাজ)
وَالتِّينِ وَالزَّيْتُوِ (1
শপথ (স্তনাকার) আঞ্জীর (বা মালু ভাষায় ডুমুর) ও যয়তুনের (বা কুফরী ভাষায় জলপাই),
وَطُورِ سِينِين (2
এবং (ঈমানদণ্ডের ন্যায় খাড়া) সিনাই প্রান্তরস্থ তূর পর্বতের,
وَهَذَا الْبَلَدِ الْأَمِينِ (3
এবং এই নিরাপদ নগরীর (যেখানে রতিরত অবস্থায় নক করে কেউ বিরক্ত করে না)।
لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنسَانَ فِي أَحْسَنِ تَقْوِي (4
আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর (কামোদ্দীপক) অবয়বে।
ثُمَّ رَدَدْنَاهُ أَسْفَلَ سَافِلِينَ (5
অতঃপর তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি (নারীর জনন পথের) নীচ থেকে নীচে।
إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ فَلَهُمْ أَجْرٌ غَيْرُ مَمْنُونٍ (6
কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে (কামসূত্রের উপর) ও সৎকর্ম (বলুন, নিরাপদ সেক্স) করেছে, তাদের জন্যে রয়েছে অশেষ পুরস্কার (জান্নাতে ৭২ হুরপরী এবং অশেষ যৌনশক্তি)।
فَمَا يُكَذِّبُكَ بَعْدُ بِالدِّينِ (7
অতঃপর কেন তুমি অবিশ্বাস করছ কেয়ামতকে (যা না হলে তুমি হুরগণকে নিকটে পেতে না)?
أَلَيْسَ اللَّهُ بِأَحْكَمِ الْحَاكِمِينَ (8
আল্লাহ কি (চটি) বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম বিচারক নন?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন