আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ৩০ জুন, ২০১৪

দু'টি প্রবাহচিত্র

পাঠিয়েছেন কৌস্তুভ



চাঁদ দেখা কমিটির আবশ্যকতা প্রসঙ্গ

লিখেছেন নিলয় নীল

ধরুন, বাংলাদেশ সরকার ‘পঞ্জিকা দেখা কমিটি’ নামে একটা কমিটি গঠন করলো। দেশের শীর্ষ পুরোহিতদের নিয়ে গঠিত এই কমিটির দায়িত্ব হচ্ছে শুভ দিন, বিয়ের দিন-ক্ষণ-লগ্ন, পৈতের দিন, পুজার দিন, রাশিফলের শুভাশুভ প্রভৃতি নির্ধারণ করা। এদের এই কাজের জন্য সরকার এদেরকে বসিয়ে বসিয়ে নির্ধারিত বেতন দেবে, আমাদের মিডিয়া দরকার অনেক কাজ ফেলে ‘পঞ্জিকা দেখা কমিটি’-কে কাভারেজ দিবে। এই ব্যাপারটি যদি আপনাদের কাছে অদ্ভুত মনে হয়, তাহলে ‘চাঁদ দেখা কমিটি’ নামে কমিটির কার্যাবলী আপনার কাছে স্বাভাবিক মনে হয় কীভাবে? 

ছোটকাল থেকে শুনে আসছি, জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি নামে একটা সরকারী কমিটি রয়েছে। এদের কাজ হচ্ছে বছরে হাতেগোনা কয়েকবার সভা বসিয়ে চাঁদ দেখা গেছে কি না এটা জানানো। জনগণ তাদের জানানোর আগেই চাঁদ দেখার ব্যপারটি জেনে গেলেও তাদের কাজ হলো - সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকতা পালন মাত্র। 


ইসলামে চাঁদ দেখার জন্য কোনো প্রযুক্তি বা বিশেষজ্ঞ ব্যবহার করা আমার জানা মতে হারাম। রাসুল এই ব্যপারে সমাধান দিয়েছেন যে, যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয় এবং চাঁদ না দেখা যায়, তাহলে ৩০ দিন পূর্ণ করতে হবে। এই বিষয়ে বুখারির হাদিসটা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
তোমরা (রমজানের) চাঁদ দেখে রোজা শুরু করবে এবং (ঈদের) চাঁদ দেখেই রোজা ছাড়বে। যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয় (এবং চাঁদ দেখা না যায়) তাহলে মাসের ৩০ দিন পূর্ণ করে। অর্থাৎ আকাশ পরিচ্ছন্ন না থাকার কারণে চাঁদ দেখা না গেলে শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ করে রমজানের রোজা রাখা শুরু করবে। —(সহিহ বুখারি ১/২৫৬, হাদিস : ১৯০৬) 
এর মাধ্যমে আমরা বুঝলাম, ইসলামে চাঁদ দেখার ব্যাপারটি মুসলমানরা নিজেরা নিজেরাই করতে পারে, এক্ষেত্রে কোনো কমিটির প্রয়োজন নেই। অমুসলিম দেশগুলাতে মুসলমানরা যে থাকে, তাদের জন্য কি ঐ দেশগুলোতে আলাদা চাঁদ দেখা কমিটি রয়েছে কি? চাঁদ দেখা কমিটি ছাড়াই তারা তো তাদের উৎসব পালন করছে। 

চাঁদ দেখা কমিটি নামে সরকারী কমিটিটি বছরে কয়েকবার কাজ করার জন্য অফিস রয়েছে, কমিটির সদস্য ও কর্মচারী রয়েছে, যারা প্রতিমাসে নির্ধারিত বেতন নিচ্ছে সরকারের কাছ থেকে। চাঁদ দেখার জন্য যদি একান্তই বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন হয়ও, তাহলে সরকার যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় যেমন বুয়েট বা ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞদের নির্ধারিত সময়ের জন্য দায়িত্ব দিতে পারে এবং ঐ দায়িত্বের জন্য নির্ধারিত পারিশ্রমিকও দিতে পারে, কিন্তু সারা বছর ‘চাঁদ দেখা কমিটি’-কে পুষে কার লাভ হচ্ছে?

দেশে একটা বিশেষ ধর্মের জন্য অপ্রয়োজনে চাঁদ দেখার কমিটি রয়েছে, তারপরও আমরা নাকি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র!

বেদ্বীনবাণী - ১১



নিঃসীম নূরানী অন্ধকারে - ৯১

লিখেছেন কবীর উদ্দীন

৪৫১. 
- পুত্রের প্রতি পিতার দায়িত্ব ও কর্তব্য কী কী?
- পুত্রের প্রতি পিতার অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন পিতার দায়-দায়িত্ব বিভিন্ন রকম। যেমন, হযরত ইব্রাহিম আঃ-র তার পুত্র ইসমাইলের প্রতি দায়িত্ব ছিল তাকে জবাই করা। গৌতম বুদ্ধের তার পুত্র রাহুলের প্রতি দায়িত্ব ছিল তাকে ত্যাগ করে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া। মহাবদ নবীর তার পুত্র জায়েদের প্রতি দায়িত্ব ছিল তার বউকে সাঙ্গা করা। এ সকল মহামানবদের অনুসারীদের উচিত তাদের পুত্রদের প্রতি সে রকম আচরণ করা, যে রকম আচরণ তাদের অনুকরণীয় মহামানবেরা করেছিল তাদের পুত্রদের প্রতি। নইলে বুঝে নিতে হবে তাদের ঈমান দুর্বল।

৪৫২.
ধর্মীয় পুরস্কার ও শাস্তি সব মরণোত্তর কেন? জীবদ্দশায় কেন কোনো শাস্তি বা পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখেনি ঈশ্বরেরা?

৪৫৩.
স্ত্রী'র আরেক নাম হচ্ছে অর্ধাঙ্গী। মানে, স্ত্রী হচ্ছে স্বামীর অঙ্গের অর্ধেক। মহাব্যাডের ১৪ খানা স্ত্রী, মানে অর্ধাঙ্গী ছিল। তার মানে দুইখানা অর্ধাঙ্গীতে মহাব্যাডের একখানা পুর্ণ-অঙ্গ। বাকী ১২খানা বা এক ডজন অর্ধাঙ্গী মিলে মহাব্যাডের ৬খানা অঙ্গ তাহলে মাইনাসে! মানে মহাব্যাড একখানা মাইনাস ছয় অঙ্গ!

৪৫৪.
মোমিনরা ব'লে থাকে, মসজিদ নাকি আল্যার ঘর। তাদের আল্যা নাকি আবার একটি এবং নিরাকার। সারা পৃথিবীতে তারা প্রতিদিন অগণিত আল্যার ঘর, মানে মসজিদ নির্মাণ ক'রে ক'রে জায়গা নষ্ট করছে। এক আল্যার জন্য ক'টি বাসস্থান দরকার? যার আকারই নেই তার বাস করবার জন্য ঘরের কেন প্রয়োজন? পৃথিবীর অসংখ্য মানুষ গৃহহীন। দয়ালু আল্যা তার বসবাসের জন্য একটি ঘর রেখে বাকি ঘরগুলি গৃহহীন মানুষদের বসবাসের জন্য বিলিয়ে দিতে পারে না?

৪৫৫.
রোজাদারদেরকে নাকি আল্যা হাশরের দিন নিজহাতে পুরষ্কার দেবে। মানুষ রোজা রাখলে দয়াময় খুব খুশি। মানুষ খিদায় তৃষ্ণায় ছটফট করে আর দয়াময় আসমানে বসে বসে তা দেখে উল্লাস করে। এই হলো তার দয়ার নমুনা।

শিশুমস্তিষ্কধোলাই ও মুখরা বালিকা



কাসুন্দিমন্থন - ২৬

(ধর্মকারীর নতুন পাঠকদের কথা ভেবে নির্বাচিত কিছু পুরনো পোস্ট পুনঃপ্রকাশ করা হবে এই সিরিজে)


১. ধর্মাতুল কৌতুকিম – ১৩

৩৭.
অবতরণের আগে বিমানের ভেতরে ঘোষণা:
– লেডিজ অ্যান্ড জেন্টলমেন, আমাদের বিমান আর কিছুক্ষণের মধ্যেই জেদ্দা বিমানবন্দরে অবতরণ করতে যাচ্ছে। স্থানীয় সময়ের সঙ্গে আপনার ঘড়ির সময় মিলিয়ে নিতে ঘড়ির কাঁটা দু'হাজার বছর পিছিয়ে দিন।

৩৮.
– ধর্ম কী? দর্শন? ইতিহাস? নাকি বিজ্ঞান?
– ব্যবসা।

৩৯.
ধর্ম আর বিজ্ঞানের খিচুড়ি।
– মেয়েরা সুন্দর কেন?
– কারণ তাদের জন্ম হয়েছে পুরুষের পাঁজরের হাড় থেকে।
– ছেলেরা অসুন্দর কেন?
– কারণ তাদের জন্ম হয়েছে বানর থেকে।

প্রথম প্রকাশ: ৩১.০৩.১০

২. মোল্লাবিতাড়ক স্প্রে

শিশুকামী ধর্মযাজকদের কবল থেকে নিজেদের শিশুকে রক্ষা করুন। বাজারে এসেছে মোল্লাবিতাড়ক স্প্রে।
সোয়া এক মিনিটের ভিডিও-বিজ্ঞাপন।

ভিডিও লিংক: http://youtu.be/EpuYoK6wv_Y

প্রথম প্রকাশ: ৩১.০৩.১০

রবিবার, ২৯ জুন, ২০১৪

খরগোশ, গাধা ও গাজর



মুছলিম ফুটবল-সমর্থকদের জ্ঞাতব্য

লিখেছেন সাদিয়া সুমি

ফুটবল সম্পর্কে কুরআন-হাদীছ শরীফ উনাদের রেফারেন্স সহকারে ৭টি প্রশ্নের উত্তর।
১. খেলাধুলা হালাল না হারাম?
২. খেলা দেখার কতটুকু জায়িয?
৩. কোন দলকে সমর্থন করা বা কোন দলের জয় কামনা করে দোয়া করা বা রোযা রাখা, হাতে তালি দেয়া, রং ছিটানো, শুকরিয়া আদায় করা শরীয়ত সম্মত কি না?
৪. ক্রিকেট বা ফুটবলে কোনো দল/দেশকে সমর্থন করা, প্রশংসা করা ও পতাকা উড়ানোর ব্যাপারে শরীয়তের ফায়ছালা কি?
৫. কোনো দেশ বা দল কোনো কারণে হঠাৎ জয়লাভ করায় অনেকে বলছে যে, ‘স্বয়ং আল্লাহ্ নিজ হাতে ঐ দলকে জিতিয়ে দিয়েছেন কিংবা আল্লাহ ফিরিশতা দিয়ে সাহায্য করেছেন।’ এ কথাগুলো কতটুকু শরীয়ত সম্মত?
৬. অনেকে বলছে: ‘ছওয়াবের নিয়তে খেলা দেখতে যাব। আর খেলা দেখার সময় দোয়া করব যাতে মুসলমান দেশ বা দল জয়লাভ করে।’ এ কথাটি কতটুকু শরীয়ত সম্মত?
৭. আশরাফ আলী থানভী ও মুফতী শফীর খেলা সম্পর্কিত ফতওয়া কতটুকু সঠিক?
প্রশ্ন: ১
খেলাধুলা সম্পর্কে শরীয়তের ফায়ছালা কি? অনেকে বলে, ‘কিছু কিছু খেলা জায়িয।’ তা কোন কোন খেলা?

উত্তর: ১
এর জবাবে বলতে হয় যে, হাদীছ শরীফের বিখ্যাত কিতাব, “মুস্তাদরিকে হাকিম”-এর মধ্যে হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “সব প্রকার খেলা নিষিদ্ধ, তিনটি বিষয় ব্যতীত - (১) তীর ধনুক চালনা করা, (২) অশ্বকে প্রশিক্ষণ দান করা, (৩) নিজ স্ত্রীর সাথে শরীয়তসম্মত হাসি-খুশী করা।”

আবু দাউদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, নাসাঈ শরীফ, ইবনে মাজাহ্ শরীফ ইত্যাদি হাদীছ শরীফের কিতাবেও হযরত ওকবা ইবনে আমির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে অনুরূপ হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে। তবে শব্দের কিছু তারতম্য রয়েছে।

হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে রেওয়ায়েত আছে, নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “মু’মিনের শ্রেষ্ঠ খেলা অর্থাৎ প্রশিক্ষণ হচ্ছে সাঁতার কাটা, আর নারীর শ্রেষ্ঠ খেলা অর্থাৎ কাজ হচ্ছে সূতা কাটা।”

“সহীহ্ মুসলিম” ও “মুসনদে আহমদ শরীফে” হযরত সালমান ইবনে আকওয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে, “নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দৌড় অনুশীলনে এজাযত দিয়েছেন।” (তবে অবশ্যই খেলা হিসেবে নয় বরং জিহাদের প্রশিক্ষণ হিসেবে।)

আর “আবূ দাউদ শরীফে” বর্ণিত আছে, “নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোকনা পাহ্লোয়ানকে কুস্তিতে ধরাশায়ী করেছিলেন।” (তবে তা অবশ্যই খেলা হিসেবে নয় বরং রিসালতের প্রমাণ ও মু’জিযা হিসেবে তিনি রোকনা পাহলোয়ানের সাথে কুস্তি করেছেন এবং তাকে পরাস্ত করেছেন।)

প্রকৃতপক্ষে হাদীছ শরীফে তথা শরীয়তে যেসব বিষয়ের অনুমোদন রয়েছে, তা ব্যতীত যত প্রকার খেলা রয়েছে তার প্রত্যেকটির মধ্যেই, না-কোন দ্বীনী ফায়দা রয়েছে এবং না-কোন দুনিয়াবী ফায়দা রয়েছে। বরং প্রতিটি খেলা তিনটি অবস্থার কোন এক অবস্থা থেকে খালি নয়।
(ক) হয় তা কুফরী হবে,
(খ) অথবা হারাম হবে,
(গ) আর না হয় তা মাকরূহ্ হবে।
(ক) যে খেলা বিধর্মীদের সাথে তাশাব্বুহ্ বা সাদৃশ্য রাখে অথবা দ্বীন ইসলাম থেকে সরিয়ে দেয় বা কুফরীতে নিমজ্জিত করে তা সম্পূর্ণ কুফরী। হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে,
عن عمرو بن شعب عن ابيه عن جده ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ليس منا من تشبه بغيرنا.
অর্থ: “হযরত আমর বিন শুয়াইব তাঁর পিতা থেকে এবং তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ঐ ব্যক্তি আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়, যে বিজাতীয়দের সাথে সাদৃশ্য রাখে।” (মিশকাত শরীফ)

(খ) যে খেলা ইসলামী আক্বীদা থেকে সরিয়ে নেয়না কিন্তু হারাম ও গুণাহ্ কাজে লিপ্ত করে দেয়, তা কুফরী নয়, তবে কবীরা গুণাহ কারণ। অর্থাৎ হারাম।

কুরআন পাকে আছে:
تعاونوا على البر والتقوى ولا تعاونوا على الاثم والعدوان

অর্থ: “তোমরা পরস্পর পরস্পরকে নেক কাজ ও পরহিযগারীর মধ্যে সাহায্য কর, পাপ ও শত্রুতার মধ্যে সাহায্য করনা।” (সূরা মায়িদা-২)

(গ) আর যে সমস্ত খেলা কুফরী ও হারাম কোনটিই নয় কিন্তু প্রকাশ্যে তা পাপ বলেও মনে হয়না, মানুষ সাধারণভাবে সে সমস্ত খেলাকে জায়িয মনে করে থাকে, প্রকৃতপক্ষে তাও পাপেরই অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ মাকরূহ। এতে যেমন ইবাদত-বন্দিগীর ব্যাঘাত ঘটে এবং স্বাস্থ্য, সময় ও টাকা-পয়সার অপচয় হয়, তদ্রুপ পরস্পরের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষও পয়দা হয়।

এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
ان المبذرين كانوا اخوان الشيطين.

অর্থ: “নিশ্চয়ই (সর্বপ্রকার) অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই।” (সূরা বণী ইসরাঈল-২৭)

আর হাদীছ শরীফে বর্ণিত হয়েছে,
عن على بن حسين عليه السلام قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من حسن اسلام المرء تركه ما لايعنيه.

অর্থ: “হযরত আলী ইবনে হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, কোন ব্যক্তির জন্য দ্বীনের সৌন্দয্য হলো অহেতুক বা অপ্রয়োজনীয় কাজ-কর্ম থেকে বিরত থাকা।” (তিরমিযী, মিশকাত)

উল্লেখ্য যে, শরীয়তের ফতওয়া হচ্ছে- যে কাজ হারাম ও কুফরী, তাকে হালাল মনে করা কুফরী। অর্থাৎ যে হালাল মনে করবে, সে কাফির বা মুরতাদ হয়ে যাবে। আর যে কাজ হারাম ও কুফরী নয় কিন্তু পাপের কারণ, আর সে পাপকে হালকা বা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য মনে করা অর্থাৎ এ ধরণের পাপ করলে কিছু হয়না ইত্যাদি মনে করাটাও কুফরী।

উল্লেখ্য, হাদীছ শরীফ বা শরীয়তে যে সমস্ত বিষয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে, সে সমস্ত বিষয়গুলি প্রকৃতপক্ষে খেলা বলতে যা বুঝায় তার অন্তর্ভুক্ত নয়। অর্থাৎ হাদীছ শরীফে তীর ধনুক চালনা করা, অশ্বকে প্রশিক্ষণ দেয়া, স্ত্রীর সাথে শরীয়ত সম্মত হাসিখুশী করা, সাঁতার কাটা, সূতা কাটা, দৌড় অনুশীলন করা ইত্যাদিকে যদিও শাব্দিক অর্থে খেলা বলা হয়েছে কিন্তু হাক্বীক্বত তা খেলা নয়। কারণ, উল্লিখিত বিষয়ের মধ্যে যেমন দ্বীনী ফায়দা রয়েছে, তেমনি দুনিয়াবী ফায়দাও নিহিত রয়েছে। যেমন- তীর চালনা করা, অশ্বকে প্রশিক্ষণ দেয়া, সাঁতার কাঁটা, দৌড় অনুশীলন ইত্যাদি জিহাদের প্রস্তুতি গ্রহণের অন্তর্ভুক্ত এবং স্বাস্থ্যকে সুঠাম ও বলিষ্ঠ রাখার কারণ। হাদীছ শরীফে উল্লেখ রয়েছে,

প্রশ্ন: ২
খেলা দেখা কতটুকু জায়িয?

উত্তর: ২
এর জাওয়াবে বলতে হয় যে, খেলা যেহেতু শরীয়তসম্মত নয় সেহেতু তা দেখাও হারাম।

প্রশ্ন: ৩
জয় কামনা করে দোয়া করা বা খেলার খবর শুনে খুশি প্রকাশ করা, হাতে তালি দেয়া, শুকরিয়া আদায় করা শরীয়ত সম্মত কি না?

উত্তর: ৩
এর জাওয়াবে বলতে হয় যে, “কোন দলকে সমর্থন করা বা কোন দলের জয় কামনা করে দোয়া করা বা রোযা রাখা, শুকরিয়া আদায় করা সম্পূর্ণরূপে হারাম ও কুফরী। এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফে রয়েছে,
عن العرس بن عميرة رضى الله تعالى عنه عن النبى صلى الله عليه وسلم قال اذا عملت الخطيئة فى الارض من شهدها فكرهها كان كمن غاب عنها ومن غاب فرضيها كان كمن شهدها.

অর্থ: হযরত উরস্ বিন উমাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন। নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “যখন পৃথিবীতে কোথাও কোন পাপ কাজ সংঘটিত হয়, তখন যে ব্যক্তি উক্ত স্থানে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও উহাকে ঘৃণা করে, সে ব্যক্তি এরূপ যেন উহা হতে দূরে ছিল। আর যে ব্যক্তি দূরে থেকেও উক্ত পাপের প্রতি সন্তুষ্ট থাকে, সে এরূপ যেন তথায় উপস্থিত ছিল।” (আবূ দাউদ, মিশকাত)

অর্থাৎ গুণাহ্ কাজ যে স্থানেই সংঘটিত হোক না কেন, তাতে যে ব্যক্তি সম্মতি পেশ করবে অথবা সমর্থন করবে, সে ব্যক্তিই সেই গুণাহে গুণাহ্গার হবে। সেখানে তার উপস্থিত থাকা বা না থাকা উভয়টাই বরাবর। আর সাধারণ মানুষের মধ্যে যারা শুধু রেডিওতে খেলার খবর শুনেছে, টেলিভিশনে খেলা দেখেছে, তারা সকলেই কবীরা গুণাহে গুণাহ্গার হবে। এবং তাদের মধ্যেও দু’শ্রেণী হবে। এক শ্রেণী- যারা হারাম ও নাজায়িয মনে করে শুনেছে ও দেখেছে, তারা ফাসিকের অন্তর্ভুক্ত। আর যারা হালাল ও জায়িয মনে করে শুনেছে ও দেখেছে, তাদের উপরও কুফরীর ফতওয়া বর্তাবে।

এরপর যারা খেলার সংবাদ শুনে খুশী প্রকাশ করেছে, তারা সকলেই কবীরা গুণাহে গুণাহ্গার হবে। তারাও দু’শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত:
(১) যারা হারাম ও নাজায়িয মনে করে খুশী প্রকাশ করেছে, তারা ফাসেক হবে।
(২) যারা হালাল ও জায়িয মনে করে শোকর আদায় করেছে ও খুশী প্রকাশ করেছে, তাদের উপরও কুফরীর ফতওয়া বর্তাবে।

এছাড়া যারা রং ছিটিয়ে খুশী প্রকাশ করেছে এমনকি রং ছিটাতে গিয়ে কাদা মাটি ও নোংরা পানি পর্যন্ত ছিটিয়েছে। এরা সকলেই কবীরা গুনাহে গুনাহগার হবে। তারাও দুই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত:
(১) যারা হারাম ও নাজায়িজ মনে করে রং কাদামাটি ও নোংরা পানি ছিটিয়েছে তারা ফাসিক হবে।
(২) যারা হালাল ও জায়িয মনে করে রং, কাদামাটি ও নোংড়াপানি ছিটিয়েছে তাদের উপর কুফরীর ফতওয়া বর্তাবে। 

যারা রং ছিটিয়ে খুশী প্রকাশ করেছে তাদের কাজটি হিন্দু সম্প্রদায়ের হলি পূজার অনুরূপ হয়েছে। যার ফলে তাদের হাশর-নশরও হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে,
عن عبد الله بن عمر رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من تشبه بقوم فهو منهم.

অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে, সে তাদের দলভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।” (মুসনদে আহমদ, সুনানে আবূ দাউদ)

যারা খেলা দেখে খুশী হয়ে হাতে তালি দিল তারা সকলেই কবীরা গুণাহে গুণাহ্গার হবে। তাদের মধ্যে দু’শ্রেণী হবে।
(১) যারা নাজায়েয জেনে হাতে তালি দিয়েছে তারা ফাসিকের অন্তর্ভূক্ত হবে,
(২) আর যারা জায়েয মনে করে দিয়েছে তাদের উপর কুফরীর ফতওয়া বর্তাবে।

প্রশ্ন: ৪
খেলায় কোন দেশকে সমর্থন করা, প্রশংসা করা ও পতাকা উড়ানোর ব্যাপারে শরীয়তের ফায়ছালা কি?

উত্তর: ৪
লেখায় কোন দলকে সমর্থন করা, প্রশংসা করা ও কোন দলের পতাকা উড়ানো, চাই তা বিধর্মী দেশ হোক অথবা মুসলিম দেশ সেটা সম্পূর্ণরূপে হারাম ও কুফরী। কারণ, এতে প্রথমত: বিধর্মী ও ফাসিক ফুজ্জারকে সমর্থন বা মুহব্বত করা হয়। অথচ হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে,
عن عبد الله بن مسعود رضى الله تعالى عنه عن النبى صلى الله عليه وسلم انه قال المرء مع من احب.

অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, নিশ্চয়ই নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে যাকে মুহব্বত করে বা সমর্থন করবে তার হাশর-নশর তার সাথেই হবে।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মুসনাদে আহমদ শরীফ)

عن انس رضى الله تعالى قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا مدح الفاسق غضب الرب تعالى واهتزله العرش.
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ফাসিকের প্রশংসা করা হলে আল্লাহ গোস্সা করেন এবং সে কারণে আরশ মুবারক কেঁপে উঠে।” (বাইহাক্বী, মিশকাত-১১৪)

শুধু এতটুকুই নয় হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ হয়েছে,
عن ابراهيم بن ميسرة رحمة الله عليه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من وقر صاحب بدعة فقد اعان على هدم الاسلام.

অর্থ: “তাবিয়ী হযরত ইব্রাহীম ইবনে মাইসারা রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কোন বিদ্য়াতী তথা ফাসিককে সম্মান করলো, সে মূলত: দ্বীন ইসলাম ধ্বংসের কাজে সাহায্য করলো।” (বাইহাক্বী, মিশকাত)

উল্লেখ্য, কোনো ফাসিক ও বিদ্য়াতীকে সম্মান করা ও প্রশংসা করার কারণে যদি আল্লাহ তায়ালার আরশ কেঁপে উঠে ও আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন এবং ইসলামের ক্ষতি সাধন হয়ে থাকে তবে কাফির বা বেদ্বীন যারা আল্লাহ নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্টপ্রাণী তাদের প্রশংসা করলে আল্লাহ কতটুকু অসন্তুষ্ট হবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অর্থাৎ কাফিরদের প্রশংসা করা কুফরী।

আর পতাকা উড়ানোর ব্যাপারে শরীয়তের ফায়ছালা হচ্ছে, তা চরম অপব্যয়।

এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন,
ولا تسرفوا انه لايحب المسرفين

অর্থ: “তোমরা অপব্যয় করোনা। নিশ্চয়ই আল্লাহ অপব্যয়কারীকে পছন্দ করেন না।” (সূরা আনয়াম-১৪১) কারণ, অপব্যয়কারীরা হচ্ছে শয়তানের ভাই এবং তারা জাহান্নামী। 

এ প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক বলেন,
ان المبذرين كانوا اخوان الشيطين

অর্থ: “নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই।” (সূরা বণী ইসরাঈল- ২৭)

ان المسرفين هم اصحاب النار
অর্থ: “নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা জাহান্নামী।” (সূরা মু’মিন-৪৩)

প্রশ্ন: ৫
কোন দেশ বা দল কোন কারণে হঠাৎ জয়লাভ করায় অনেকে বলেছে যে, ‘স্বয়ং আল্লাহ ফিরিশতা দিয়ে দেশ বা দলকে জিতিয়ে দিয়েছেন।’ এ কথাটি কতটুকু শরীয়ত সম্মত?

উত্তর: ৫
কোন দুর্বল দেশ বা দল কোন কারণে হঠাৎ জয়লাভ করার কারণে অনেকে বলেছে যে, স্বয়ং আল্লাহ নিজ হাতে দুর্বল দেশ বা দলকে জিতিয়ে দিয়েছেন কিংবা আল্লাহ ফিরিশতা দিয়ে সাহায্য করেছেন। তাদের এ কথাটি বলাও শুদ্ধ হয়নি। বরং কুফরী হয়েছে। কারণ আল্লাহ বলেন,
تعاونوا على البر والتقوى ولا تعاونوا على الاثم والعدوان واتقوا الله ان الله شديد العقاب.

অর্থ: “তোমরা পরস্পর পরস্পরকে নেক কাজ ও পরহেযগারীর মধ্যে সাহায্য কর, পাপ ও শত্রুতার মধ্যে সাহায্য করনা। (এ বিষয়) তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক কঠিন শাস্তিদাতা।” (সূরা মায়িদা-২)

উক্ত আয়াত শরীফে আল্লাহ নিজেই তাঁর বান্দাদেরকে পাপ কাজে সাহায্য করতে নিষেধ করেছেন। তাহলে আল্লাহ স্বয়ং নিজেই কি করে পাপ কাজে সাহায্য করবেন? কাজেই, যদি কেউ বলে যে, ‘আল্লাহ স্বয়ং নিজে পাপ কাজে বা হারাম কাজে সাহায্য করেন’ তাহলে সেটা কুফরী হবে। মূলতঃ আল্লাহ কোন হারাম কাজে সাহায্য করেননা।

প্রশ্ন: ৬
‘ছওয়াবের নিয়তে খেলা দেখতে যাব। আর খেলা দেখার সময় দোয়া করব যাতে মুসলমান দেশ বা দল জয়লাভ করে।’ এ কথাটিইবা কতটুকু শরীয়ত সম্মত?

উত্তর: ৬
কোন মুসলমান দেশ বা দলের খেলার দিন অনেকে বলেছে, ছওয়াবের নিয়তে খেলা দেখতে যাব আর খেলা দেখার সময় দোয়া করব যাতে মুসলমান দেশ বা দল জয়লাভ করে। একথা বলা শুদ্ধ নয়। বরং কুফরী। কেননা, শরীয়তের দৃষ্টিতে হারাম কাজের জন্য দোয়া করা যেরূপ হারাম ও কুফরী তদ্রুপ হারাম কাজে মশগুল ব্যক্তি বা দলের জন্যও দোয়া করা হারাম। এর প্রমাণ হাদীছ শরীফেই রয়েছে। যেমন, ইরশাদ হয়েছে,
عن عبد الله بن عمرو رضى الله تعالى عنه قال مر رجل وعليه ثوبان احمران فسلم على النبى صلى الله عليه وسلم فلم يرد عليه النبى صلى الله عليه وسلم السلام.

অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা লাল বর্ণের দু’টি কাপড় (ইযার ও চাদর) পরিহিত এক ব্যক্তি হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে সালাম দিল। কিন্তু হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার সালামের জাওয়াব দেননি।” (তিরমিযী, আবূ দাউদ, মিশকাত, নাইলুল আওতার) 

উক্ত হাদীছ শরীফদ্বারা স্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছে, পুরুষদের জন্য লাল কাপড় পরিধান করা নিষেধ বা হারাম। আর হারাম কাজে মশগুল এমন ব্যক্তির সালামের জাওয়াব দেয়াও নিষেধ। উল্লেখ্য, ‘সালাম’ হচ্ছে একজন মুসলমানের তরফ থেকে আরেকজন মুসলমানের প্রতি সাধারণভাবে দোয়াস্বরূপ। এখন এই সাধারণ দোয়াটাই যদি হারাম আমলকারী ব্যক্তির জন্য দেয়া বা করা নিষেধ হয় অর্থাৎ সালামের জাওয়াব দেয়া ওয়াজিব হওয়া সত্ত্বেও হারামে মশগুল থাকার কারণে যদি ওয়াজিব সাকেত হয়ে যায় তাহলে খেলাধুলার মত এত বড় হারাম কাজে মশগুল ব্যক্তিদের জন্যে দোয়া করা কত বড় গুনাহ্র কাজ তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। শরীয়তের মাসয়ালা হলো, হারাম কাজে মশগুল ব্যক্তির হারাম কাজে তরক্কীর জন্য দোয়া করা কুফরী।

প্রশ্ন: ৭
লেখাধূলার পক্ষে মাও. আশরাফ আলী থানভী ও পাকিস্তানের মুফতী শফির খেলা সম্পর্কিত বক্তব্য কতটুকু সঠিক?

উত্তর: ৭
অনেকে আশরাফ আলী থানভী ছাহেবের ‘বেহেস্তী জিওরের’ এবং পাকিস্তানের মুফ্তী শফি ছাহেবের অনুবাদকৃত “আদাবুন্ নবী” কিতাবের বরাত দিয়ে ফুটবল, ক্রিকেট, হকিসহ এ সমস্ত খেলাকে মুবাহ বা পছন্দনীয় সাব্যস্ত করতে চায়, যা সম্পূর্ণ ভুল ও নফজ পূজারই নামান্তর। কেননা কোন ব্যক্তি বিশেষকে চাই আশরাফ আলী থানভী ছাহেব হোক বা মুফ্তী শফি ছাহেব হোক অথবা অন্য কাউকে শরীয়ত দলীল হিসেবে সাব্যস্ত করেনা।

অর্থাৎ আশরাফ আলী থানভী ছাহেব ও মুফ্তী শফি ছাহেব কোন বিষয়ে জায়িয ফতওয়া দিলেই তা জায়িয হবে অথবা নাজায়িয ফতওয়া দিলেই তা নাজায়িয হবে, তা শরীয়তের কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। বরং শরীয়তের দলীল হচ্ছে কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ ও তার আলোকে ইজ্মা ও ক্বিয়াস।

আশরাফ আলী থানভী ছাহেব ও মুফ্তী শফি ছাহেব তাদের উল্লিখিত কিতাবদ্বয়ে ফুটবল, হকি ও ক্রিকেট খেলাকে মুবাহ্ ও পছন্দনীয় বলেছে, তবে তারা তার আগে ও পরে কিছু শর্ত শারায়েতও উল্লেখ করেছে। সে সমস্ত শর্ত শারায়েতের কারণে কোন প্রকার খেলাই জায়িয হতে পারেনা, যা শরীয়ত নিষেধ করেছে।

আশরাফ আলী থানভী ছাহেবের প্রদত্ত শর্তগুলি হলো:
(১) সময় নষ্ট,
(২) পয়সা নষ্ট,
(৩) কাজ নষ্ট,
(৪) নামাজ ক্বাজা,
(৫) ছতর খোলা,
(৬) কুসংসর্গে মেশা ইত্যাদি থেকে বেঁচে থাকতে পারলে মুবাহ্ হবে।

আর মুফ্তী শফি ছাহেবের প্রদত্ত শর্তগুলি হলোঃ
(১) ফরজ তরক,
(২) হারামে পতিত ও
(৩) কাফেরদের নির্ধারিত নিয়মাবলীর মধ্যে খেলা ইত্যাদি থেকে বেঁচে থাকতে পারলে মুবাহ্ বা পছন্দনীয় হবে।

মূলতঃ এসব খেলাতে উপরোক্ত শর্ত সমূহের কোন কোনটা থেকে যদিও বেঁচে থাকা সম্ভব হয়, কিন্তু সময় নষ্ট, বিধর্মীদের নিয়মনীতি অনুসরণ, স্বাস্থ্য নষ্ট, পয়সা নষ্ট, কাজ নষ্ট ইত্যাদি শর্ত থেকে বেঁচে থাকা কখনই সম্ভব হবেনা। এরপরেও বলতে হয় যে, উপরোক্ত শর্ত-শারায়েত দিয়ে উল্লিখিত খেলা সমূহকে মুবাহ্ বা পছন্দনীয় বলে উল্লেখ করাটা আশরাফ আলী থানভী ছাহেব এবং মুফ্তী শফি ছাহেবের জন্যও সঠিক হয়নি। কেননা তাদের এ ফতওয়ার কারণে অনেকেই ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় হারামের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আর অনেকেই হারামকে হালাল করার পায়তারা করছে। অথচ তাদের উল্লিখিত শর্ত-শারায়েত ছাড়াও খেলা হারাম হওয়া সম্পর্কে আরো অনেক কারণ উল্লেখ করেছেন অন্যান্য ইমাম-মুজ্তাহিদগণ।
যেমন:
(১) স্বাস্থ্য নষ্ট হয়,
(২) খেলায় প্রতিযোগীতা থাকে,
(৩) বাজি ধরে,
(৪) পরস্পরের প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ পয়দা হয়,
(৫) খেলার কারণে সমাজে ফিৎনার সৃষ্টি হয়,
(৬) বেদ্বীন ও বদ্দ্বীনী আমল করে,
(৭) রং ছিটাছিটি করে,
(৮) বেপর্দা হয়,
(৯) সমাজ ও দেশ-বিদেশের লোকেরা হারাম কাজে মশগুল হয়,
(১০) হারাম কাজে উৎসাহিত করে,
(১১) বাহবা দেয়,
(১২) হাতে তালি দেয়,
(১৩) অভিনন্দন জানায়,
(১৪) আর্থিক সহযোগীতা করে,
(১৫) খুশী প্রকাশ করে,
(১৬) হারামকে হালাল বলে,
(১৭) ঈমান নষ্ট করে,
(১৮) বিধর্মীদের অনুসরন করে,
(১৯) মারামারি কাটাকাটি করে,
(২০) খুন খারাবি করে ও
(২১) রক্ত প্রবাহিত করে ইত্যাদি।

উল্লেখ্য, কোন হারামকে শর্ত সাপেক্ষে মোবাহ বলে ফতওয়া দেয়ার অর্থ হলো হারামকে হালাল বলে সাব্যস্ত করার নামান্তর। যা শক্ত গুনাহ্’র অন্তর্ভুক্ত। এখন অনেকে বলতে পারে যে, “শরীয়তে মৃত গরু, ছাগল, বকরী, ভেড়া ইত্যাদি খাওয়া নাজায়িয। কিন্ত যদি কেউ তিন দিন না খেয়ে থাকে তাহলে তার জন্য জরুরত আন্দাজ উল্লিখিত মৃত প্রাণীর গোশ্ত খাওয়া মুবাহ। তাহলে কি এখানে এ ফতওয়ার দ্বারা হারামকে হালাল বলে সাব্যস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে? কেননা এখানেও শর্ত দিয়ে মৃত প্রাণীর গোশ্ত খাওয়াকে মোবাহ্ বলা হয়েছে।”

এর জাওয়াব হচ্ছে, প্রাণ বা জান রক্ষা করা হচ্ছে ফরজ। আর প্রাণ রক্ষা করার জন্য খাদ্য গ্রহণ করা বা খাওয়াও ফরজ। সুতরাং প্রাণ রক্ষা করার জন্য যদি কেউ হালাল খাদ্যের ব্যবস্থা করতে না পারে এমতাবস্থায় তিনদিন অতীত হয়ে যায়।

অর্থাৎ তিনদিন অনাহারে কেটে যায় অথচ ফরজ পরিমাণ খাদ্য সে সংগ্রহ করতে পারল না, তখন সে মাজুর হয়ে যায় এবং তখনই তার জন্য অর্থাৎ এই মাজুরের জন্য হারাম মোবাহ হয়ে যায়। শরীয়তের দৃষ্টিতে মাজুর ঐ ব্যক্তি যাকে জীবন রক্ষা বা ফরয-ওয়াজিব পালন করার পূর্ব শর্ত হিসেবে শরীয়তের খেলাফ কোন কাজ অনিচ্ছাসত্ত্বেও করতে হয়। আর এ সমস্ত খেলাধুলা কারো জন্য ফরজ-ওয়াজিব নয় এবং এ সমস্ত খেলাধুলার জন্য কোন ব্যক্তি কখনই মাজুরও হয় না। কাজেই কোন ব্যক্তি যদি কোন বিষয় মাজুর না হয় তাহলে তার জন্য শর্ত শারায়েতের কি প্রয়োজন থাকতে পারে?

মাওলানা মুহম্মদ রুহুল আমীন বশীরহাটি রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
“জায়িয কাজ দ্বারা যখন ব্যায়াম করার উপায় আছে, তখন নাজায়েয কাজের দ্বারা কিরূপে জায়েয হবে? খেলার প্রতিযোগীতা করলে কি ফল হবে? কিন্তু লাঠি, তীর ছোড়া, তরবারী ভাঁজা, ঘোড়-দৌড় ইত্যাদিতে শত্রুদের হস্ত হতে কতকটা নিষ্কৃতি লাভের উপায় হতে পারে। পক্ষান্তরে খেলাতে এই প্রকার কোন লাভ হতে পারে না। বরং ওটা খাঁটি খেলবাজি ভিন্ন আর কিছুই নয়। কাজেই ওটা কিছুতেই জায়িয হতে পারে না। কেবল দুনিয়াদার স্বার্থপর আলেম দু’একজন ওটা জায়েয হওয়ার ফতওয়া দিয়েছেন। তাদের ফতওয়া কিছুতেই গ্রহণীয় হতে পারে না। (ফতওয়ায়ে আমিনিয়া)

অতএব, ফুটবল, ক্রিকেট, হকি ইত্যাদি সম্পর্কিত থানবী ও শফি ছাহেবের বক্তব্য সম্পূর্ণরূপে ভুল ও দলীলবিহীন, তাই তাদের উক্ত বক্তব্য দলীল হিসেবে মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। বরং শরীয়তের ফায়ছালা হলো, প্রত্যেক প্রকার খেলাই নাজায়িয ও হারাম।

এক মুসলমান ভাই, অন্য মুসলমান ভাইয়ের জন্য আয়না স্বরূপ, একজন ভুল করলে অন্যজন তা ধরিয়ে দেয়াই মুসলিম ভাইয়ের কাজ। মনে রাখতে হবে, দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী, পরকাল চিরস্থায়ী। তাই কেউ না বুজে না জেনে কোন হারাম করলে তা শুধরিয়ে দেয়া উচিন, না হলে পরকালে প্রত্যেককেই তার জন্য জবাবদিহি করতে হবে।

ক্রুশের ছবি – ০৮



এবং একটি অভিনব ক্রুশের ছবি। একেবারেই বড়োদের জন্য। অতএব ইমোটা খিয়াল কৈরা!

মাথায় কতো প্রশ্ন আসে

লিখেছেন শ্রোডিঞ্জারের বিড়াল

কোরান যদি একমাত্র সত্য ও সৃষ্টিকর্তা প্রেরিত একমাত্র জীবনবিধান হয়ে থাকে, তবে কোরান নিয়ে "এত ভ্যাজাল কেন? অ্যাপলোজেটিকস কেন?" 

কোরানের আয়াতের মাঝে প্রায়ই নানা রকম ভুল, ভ্রান্তি অসঙ্গতি দেখা যায়, যেগুলা আয়াতের মাঝে ব্র্যাকেট দিয়ে অন্য কিছু লেখে সমাধান করতে হয়। 

"গরু আকাশে উড়ে" লেখা থাকলে সেটাকে "গরু (বিমানে করে) আকাশে উড়ে" লিখে শুধরাইতে হয়। 

"দুহিয়া" অর্থ মানুষ ১৩০০ বছর ধরে জানে সমতল, ১৩০০ বছর পর আইসা দুহিয়ার অর্থ বদলাইয়া উটের ডিম করা লাগে। 

বিজ্ঞান আবিষ্কারের আগে কোরানের একটা বৈজ্ঞানিক তথ্যও পাওয়া যায় না, বিজ্ঞানের আবিষ্কারের পরই কোরানের কোনো একটা অস্পস্ট আয়াতের সাথে মিলাইয়া মিরাকল খুজা লাগে। 

কোরানের অনুবাদ গুলো একেকটা একেক রকম কেন? দশটা বাংলা কোরান নিলে দশরকম অর্থ, দশটা ইংরেজি কোরান নিলে দশরকম অর্থ, এমনকি দশটা আরবি কোরানের আরবি স্কলারদের ও একই আয়াত সম্পর্কে দশ রকম কমেন্টারি পাওয়া যায়। 

আল্লাহপাক নবী রাসুল পাঠানো বন্ধ করছেন কেন? কোরান যদি ফুল এন্ড ফাইনাল বাণী হয়, তবে যুগে যুগে বিভিন্ন ভাষায় কোরান সমেত নবী-রাসূল পাঠানো উচিত ছিল না? 

সাত আসমানরে এক মুমিন কয় বায়ুমন্ডলের ওজোন স্তর, আরেকজন কয় ম্যাগনেটিক ফিল্ড, আরেকজন কয় পুরা মহাবিশ্ব, আরেকজন কয় ডার্ক ম্যাটার, আর কিছু মুমিন তো নানা রকম ডাইমেনশান বইলা চালায়ে দিতে চায়। 

তবে সূর্য-তারা কীভাবে বায়ুমণ্ডলে থাকে, কিংবা মহাবিশ্ব কীভাবে ছাদের মত হয় বা পিলার লাগে বা ভাইঙ্গা পড়ে, ডার্ক ম্যাটারে কীভাবে দরজা থাকে ইত্যাদি বলিলেই তারা ক্ষেপিয়া যান। 

অনেকে কোরানে বিগ ব্যাং খুজে পায়, আবার বিজ্ঞানমনস্করা পৃথিবী ও আসমানকে আলাদা করার কথা শুনে হেসে বাঁচে না। মুমিনরা কোরানে বিগ ব্যাং পূর্ব সিঙ্গুলারিটি খুজিয়া পান, আর বিজ্ঞানমনস্করা ধূম্রকুন্ড নিয়া হাসাহাসি করে। 

ধুমকেতু শয়তানের প্রতি ছুঁড়ে মারা মিসাইল, শয়তানেরা কি আগুনের তৈরি নাকি প্লাজমা? 

"নুতফাহ" শব্দের অর্থ জোক না রক্তপিণ্ড নাকি বীর্য, তা নিয়া মুমিনেরা বলগে বলগে মারামারি করে। 

কোরান অবিকৃত ও অপরিবর্তিত থাকার দাবি করার পরেও ইসলামে ৪৬টারও বেশী সেক্ট হয়, একেকটা সেক্ট অপর সেক্টগুলোকে দ্বীনচ্যুত ফাতওয়া দেয়। 

যখন সহি হাদিসেই কোরান সংকলন কালে সাহাবীদের মাঝে কনফিউশান দেখা যায়, তখন সেই হাদিসগুলোকে বাতিল ঘোষণা করতে পিছপা হয় না। 

আবার কুরানিস্টরা তো সিহাহ সিত্তাকেই ভাগাড়ে ছুড়ে মারে। 

এদিকে সানা কোডেক্স, উসমানী কোডেক্স, বিন মাসুদ সংকলিত কোরান, আহনাফি কোরান, সাবিত কোডেক্স আর বিভিন্ন মিউজিয়ামে থাকা কোরান সমূহের মাঝে পার্থক্যগুলোর কথা বলতেই "মানি না মানি না" বলিয়া চিৎকার করেন এবং "আল্লাহই কোরানের সংরক্ষক", "বিকৃত হয় নাই মানি না মানি না" বলে গলা ফাটিয়ে ফেলেন। 

খতনা করিবার কথা কুরানে নাই, কিন্তু কুরাইশলা হুবাল দেবতার অনুসারে খতনা করিত - এই ব্যাপারে কথা তুললে মুমিনেরা কল্লা ফালানোর হুমকি দেয়। 

কোরানে ১৬৪টি খানা বেশ গ্রাফিক PG18 জিহাদের আয়াত পাওয়া যায়, তবুও জিহাদি ভায়েরা বোমা মারিয়া কল্লা কাটিয়া যখন ইসলাম প্রতিষ্ঠা করে, তখন মডারেটদের "ইহা সহি ইসলাম নহে" ম্যাতকার করার কারণ বুঝে ওঠা যায় না। 

আবদুল্লাহ অর্থ আল্লাহর দাস, কিন্তু আবদুল্লাহর জন্মের সময় ইসলাম তো দূরে থাক, মুহাম্মদের জন্মই হয় নাই তো এই নাম তার কেমনে হইলো? 

আল্লাহর তিন কন্যার কথা কেন আসিতেছে, লাত কেঠা, মানত কেঠা, উজ্জা কেঠা? 

হজ্বে চুমা খায় যে, সেই পাথরটা কেঠা? ৩৬০ টা আইডল ভাংগা হইলেও সেটাকে কেন চুম্বন করা? 

এদিকে, ৬ বছরের মেয়ে বিবাহযোগ্য হয় কি না, নবী সর্বকালের জন্য উদাহরণ হইলেও আয়েশার ক্ষেত্রে "এগুলা ওই যুগে হইতো" ত্যানাটা প্যাঁচানো যায় কি না, মেন্সট্রুয়েশান কি একটা বালিকার মানসিকভাবে "অ্যাডাল্ট" হওয়ার নির্ধারক হতে পারে কি না, ৬ বছরের বালিকার বিয়েতে মত দেয়ার মত বুদ্ধিশুদ্ধি থাকে কি না, আর নয় বছরে বালিকার সাথে মিলন করা যায় কি না, এইটা নিয়া তারা নানাবিধ গবেষণা করলেও নারীপ্রহার, দাস ও যুদ্ধবন্দীদের সাথে যৌনমিলন নিয়া কথা তুলিলে তখন তাদের খুজিয়া পাওয়া যায় না। 

নবীজির নয় বছরে আয়েশার সাথে ক্রিয়াকর্ম কিংবা আল আনফাল সাফিয়ার সাথে বিবাহের আগের তিন রাত কী করেছিলেন, তা জিজ্ঞেস করিলে তাদের ঈমানী জোশ উঠে যায়, আর মাথায় রক্ত উঠে ধর্ম অবমাননার দায়ে মস্তকচ্যুত করার চিন্তা করেন। 

এভাবে বলতে থাকলে চলতেই থাকবে... চলতেই থাকবে। এ সকল প্রশ্ন করিলেই মুমিনেরা ক্ষেপিয়া উঠেন, চিল্লা চিল্লি শুরু করেন, "নাস্তিকগো কল্লা চাই কল্লা চাই" শুরু হয়ে যায়। আর ত্যানা প্যাঁচানি অ্যাপলোজেটিকস তো আছেই। 

"আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি? " (কোরান ৫৪:১৭) 

মহান আল্লাহ প্রেরিত পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান ও সত্যের দিশারী পূর্নাঙ্গ জীবনবিধান কোরানে, যেটা সৃস্টিকর্তার মত সর্ব জ্ঞানী সর্বশক্তিমান প্রেরিত কিতাব, যেটা সৃষ্টিকর্তা "সহজ করে দিয়েছেন", সেটাতে এত কনফিউশান, এত সমস্যা, এত কনট্রাডিকশান কেন ওঠে, তা তারা কখনো ভেবে দেখে না। 

একমাত্র সত্য ধর্ম ইসলামে কেন এত কনফিউশান, আয়াত কেন এত অস্পস্ট, অর্থ কেন এত বিভিন্ন রকম, ব্যাখ্যা কেন অনির্দিষ্ট এবং নানা রকম, তা তারা ভাবে না। 

ভাবলে যদি ঈমান চলে যায়? পাছে আল্লাহ আবার বেশি প্রশ্ন করার দোষে চোখ অন্ধ, কান বয়রা, আর অন্তরে সিল মেরে এমন ভয়াবহ মানসিক রোগ দিয়ে দেয় যে, সে ঈমানই চ্যুত হয়ে যায়? 

তার চেয়ে ত্যানা প্যাঁচানো, ব্রাকেট লাগানো, এক শব্দের তিনটা অর্থ দাঁড় করানো, অ্যাপলোজেটিকস দেখে চোখে কালো চশমা পরে ঈমান রক্ষা করা, আর খুঁজে খুঁজে মিরাকল বের করাই কি বুদ্ধি খাটিয়ে ও চিন্তা করে কাফের হবার চাইতে শ্রেয় নয়? 

কোরানে এত ভ্যাজাল, ফরমালিন, কনফিউশান, ত্যানা প্যাঁচানি, আলিফ-লাম-মিম থাকার পরেও জন্মগত ও পরিবেশ ও সামাজিক চাপের কারণে কোনটা ভাবা সহজ? 

কোরান ১৪০০ বছর পূর্বের এক বেদুইনের উর্বর মস্তিস্কপ্রসূত কাব্যিক রূপকথা, নাকি এইটা আসমানের উপর সিংহাসনে বসে থাকা এক জাদুকরের বাণী? 

শেষে একটা কথা বলি, সাত বছরের একটা শিশু মেয়েকে শেকল দিয়ে বেঁধে মেয়েটিরই চোখের সামনে মেয়েটির বাবা-মাকে শিয়া হবার দোষে অত্যাচার করে খুন করা হয়, একটু বলবেন এটা কোন ধর্ম প্রতিষ্ঠা করতে করা হয়েছে? 

স্বয়ং সৃস্টিকর্তার "সহজ করে দেওয়া" বাণী কীভাবে মানুষকে দিয়ে এমন কাজ করায়? 

গুরুচন্ডালী মাফ করবেন - 
মৃত ও জীবিত শ্রোডিঞ্জারের বিড়াল।

আদম-হাওয়ার প্রথম দেখা


ফাল দিয়া ওঠা কথা - ১৯

লিখেছেন ওয়াশিকুর বাবু

৫৫.
যুদ্ধবাজ নেতা হতে চাও? হিটলারকে অনুসরণ করো;
ধর্ষক হতে চাও? রাজাকারকে অনুসরণ করো;
খুনী শাসক হতে চাও? জিয়াকে অনুসরণ করো;
লম্পট হতে চাও? এরশাদকে অনুসরণ করো;
শিশুকামী হতে চাও? মোল্লা-পাদ্রীকে অনুসরণ করো;

সব একসাথে হতে চাও? নবীকে অনুসরণ করো।

৫৬.
জাহানারা ইমামকে জাহান্নামের ইমাম বলা হয়েছিলো।

লম্পট, ধর্ষক, সন্ত্রাসীদের জান্নাতে হুর না হয়ে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী, দার্শনিক, মানবতাবাদীদের জাহান্নামের নেতৃত্বেই তাঁকে মানায়।

৫৭.
যারা হজে গিয়ে মারা যায়, তাদের হজ কবুল হয় এবং তারা জান্নাতবাসী হয়। এই বৎসর আল্লাহ ব্যাপকভাবে হজ কবুল করার নিমিত্তে মার্স ভাইরাস পাঠিয়েছেন। যদিও ইহুদি-নাসারারা মাস্কসহ বিভিন্ন প্রতিরোধকের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত থেকে হাজীদের বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

মুমিন ভাইয়েরা কাফেরদের ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত হবেন না। কাতারে কাতারে প্রতিরোধক ছাড়াই হজে যান, সহী প্রাণী উটবাহিত মার্স ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে জান্নাতে গমন করুন। আমাদেরও দেশটাকে জান্নাত বানানোর একটা সুযোগ দিন।

শনিবার, ২৮ জুন, ২০১৪

এক জোড়া পোস্টার



বিবর্তন কি তত্ত্ব নাকি প্রমাণিত সত্য

লিখেছেন Elijah Neo

১৮৫৯ সালে ডারউইন তাঁর On the Origin of Species বইতে বিবর্তনবাদ বা বিবর্তন তত্ত্ব (Theory of Evolution) প্রকাশ করেন। এ বইটি প্রকাশের সময় তার বয়স ছিলো প্রায় ৫০। বলা যায়, এই একটি বই লেখার রসদ সংগ্রহে তিনি তাঁর সারাটা জীবন ব্যয় করেন। ১৮৭০ সালেই তৎকালীন সায়েন্টেফিক কমিউনিটি তাঁর তত্ত্বটিকে Fact হিসেবে গ্রহণ করে নেন।

যে সকল কমিউনিটি এই তত্ত্বটিকে ফ্যাক্ট হিসেবে মেনে নেন, তাদের মধ্যে Royal Society অন্যতম। কিন্তু বাধ সাধে তৎকালীন চার্চগুলো। বিশ্বব্যাপী তারা এর বিরোধিতা প্রচার করতে থাকে। কারণ এই তত্ত্বটি ধর্মগ্রন্হে বর্ণিত সৃষ্টিতত্ত্বের সাথে সাংঘর্ষিক।

অবশ্য, প্রায় ১৫০ বছর পর, ২০০৮ সালে Church of England তাদের ভুল বুঝতে পারে এবং প্রকাশ্যে ডারউইনের কাছে ক্ষমা চায়!

গত দেড়শ বছরে বিজ্ঞান এগিয়েছে অনেক অনেক দূর। ডারউইন অনেক কিছুই পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে তত্ত্ব আকারে বলে গেছেন। তাঁর সময়ের বিজ্ঞানের অনগ্রসরতার জন্য সে সবের প্রায় কিছুই প্রমাণ করে যেতে পারেননি। তাই তাঁর তত্ত্বকে তখনো প্রমাণ করে যেতে পারেননি বলেই আজও তাঁর মূল তত্ত্বটিকে তত্ত্বই বলা হয়।

সৌভাগ্যবশত, এই দেড়শ বছরে জ্ঞান-বিজ্ঞান বিশেষত, ফসিল গবেষণা, বায়োকেমেষ্ট্রি, ইভোল্যুশনারী বায়োলজি এতটাই এগিয়েছে যে, বিবর্তনবাদকে অনেক গভীর থেকে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, ফসিল গবেষনার পাশাপাশি DNA, RNA নিয়ে নানা Molecular Biology গবেষণা আজ পর্যন্ত বিবর্তনবাদের পক্ষেই কথা বলছে। এ জাতীয় কোনো গবেষণাই এখন পর্যন্ত বিবর্তনবাদের সাথে সাংঘর্ষিক নয়।

দুর্ভাগ্যবশত, মুসলমানরা আজও বিবর্তনবাদকে মেনে নিতে পারেনি। না মানুক। তবু, Fact তো Fact-ই, নাকি?

চিত্রপঞ্চক - ৭৪

"আস্তে কন, ঘোড়ায় ভি হাসবো"

ইছলামী শিশুশিক্ষা: wisdom-এর নমুনা

ধর্ম মানেই কানাগলি

ফ্রণ্ট ভিউ, সাইড ভিউ, ব্যাক ভিউ

প্রতিবাদের ধরন নিয়ে মতভেদ থাকতে পারে, বিষয় নিয়ে নয়

ইছলামী ঐশী কিতাবের স্বরূপ



শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০১৪

মাহে রমজান আসিতেছে বাহে



আমার বোরখা-ফেটিশ – ১০২



বেকনবিদ্বেষীদের বেকনপ্রেমের রহস্য

লিখেছেন দাঁড়িপাল্লা

প্রখ্যাত দার্শনিক ফ্রান্সিস বেকনের যে-উক্তিটি দিয়ে বাংলাদেশের আস্তিকরা বিশাল ভাব নিয়ে থাকে, সেটি অনেকটা এরকম:
যে বিজ্ঞান কম জানবে সে নাস্তিক হবে। আর যে বিজ্ঞানকে বেশি জানবে সে আস্তিক হবে।
উক্তিটায় "বিজ্ঞান" শব্দটা খেয়াল করেন।

এবার দেখা যাক, এই উক্তিটা কোথা থেকে এলো।

"Essays Civil and Moral" নামক গ্রন্থের ষোলোতম অধ্যায়ে "Of Atheism" নামক প্রবন্ধে (পৃষ্ঠা ৫৭): সেই তখনকার দিনের মূল ইংলিশে বলা আছে:
It is true, that a little Philosophy inclineth Mans Minde to Atheisme; But depth in Philosophy, bringeth Mens Mindes about to Religion. 

আধুনিক কালের ইংলিশে এটাকে এভাবে লেখা হয়:
A little philosophy inclineth man's mind to atheism, but depth in philosophy bringeth men's minds about to religion. (Wikipedia)

[আরো খেয়াল করেন, "It is true" অংশটুকু আধুনিক ইংরেজি এবং বাংলা অনুবাদে নেই। ]

মন্তব্য: "philosophy"-এর বাংলা অনুবাদ "বিজ্ঞান" - যা শুধুমাত্র বাংলাদেশের আস্তিকদের দ্বারাই সম্ভব!

গরুপূজারি গাধাগুলো - ৭২

পাঠিয়েছেন কৌস্তুভ



আল্লাহ-রাসুলের... থুক্কু, আল্লাহ-রাতুলের কাহিনী

লিখেছেন রাতুল

- রাতুল, এই রাতুল, উঠো!

মাত্র ঘুমজড়ানো অবস্থায় এ রকম আবেগী শব্দ পেলে সবারই একটু লুল লুল লাগে, তার উপর আমার আবার বয়সন্ধিকাল। এই বয়সে রাতবিরাতে এমন আবেগী কন্ঠ শুনে আমার অবস্থা পুরাই লুজ। আমি আপ্লুত হয়ে কোলবালিশে নাক আর ঠোট ঘঁষতে লাগলাম। আর তখনই আবার সেই একই কন্ঠে:

- ওই শুয়োরের বাচ্চা, উঠোস না ক্যেন?

আমি তো ভয়ে চমকে ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠে বললাম: 

- কে কে? 

ফেসবুকে সারাদিন বসে মুমিন মুসলমানের গালাগালি দেখতে দেখতেে এমন অবস্থা যে, এখন গালি শুনলেই মনে হয়, ছাগুরা বোম মারতে চইলা আসছে। আমি তাই ভয়ে চোখ মুইদ্দা কাঁপতে কাঁপতে বললাম:

- হু-হু-হজুর, হজুর, মাপ করে দেন, আমি আর আপনাগো নিয়া কিছু কমু না।

তখনই ভালোমতো সামনে তাকায়া দেখি, কিয়ের হজুর মজুর! এ দেখি স্বয়ং আল্লাহ সুবাহানায়া তাআলা। আমি তো চিৎকার করে বললাম:

- আরে আল্লাহ সাহেব আপনে! আমিতো মনে করছিলাম, আপনার ওই ভাড়াটিয়া বালছাল ছাগুগুলা। তা হঠাৎ কী মনে করে?

- তুই আমার বাপরে গালি দিছস!

আমি তাজ্জব হয়ে বললাম: 
- আরে! আপনি না এক ও অদ্বিতীয়! আপনার আবার বাপ হইলো কেমনে, আর আমি গালিই বা দিলাম কই!

আল্লাহ সাথে সাথে বললেন:

- তোর নাম রাতুল কে রাখছে? 

আমি বললাম:

- আমার মা নাকি বাবা, মনে নাই তয় হ্যেগো ভিতরেই কেউ না কেউ রাখছে।

- তাইলে তুই কেমনে মনে করস যে আমার নাম আমি নিজেই রাখছি 'আল্লাহ'? আমার আব্বু হযরত মুহাম্মদ (সঃ) আমারে সহি পন্থায় জন্ম দিয়া ৯০ টা উট আকিকা দিয়া আমার নাম রাখছে আল্লাহ। 

আমি ভীত হয়ে বললাম:

- তা তুমি আমার ঘরে ঢুুকলা কোনদিক দিয়া? দরজা জানালা সব তো বন্ধ।

- কেন লেট্টিনের ভেতর পায়খানার প্যান দিয়া।

- আইহায়! তাইলে তো এখন পায়খানার প্যানের লিগাও ঢাকনা বানান লাগবো।

- তোর বিচার করতে আইছি। কিয়ামতের আগেই তোর বিচার হইবো।

এ শুনে আমি তো ভয়ে শ্যাষ। কোনোরকমে আল্যারে কইলাম:

- আগে ভালোমন্দ কিছু খান, তারপর সব হবে।

আল্লাও কইলো: 

- আন তয় কিছু খাই আগে।

আমি বললাম:

- খাওয়ার আগে হাত মুখ ধুয়া যে আপনার আব্বার সুন্নত, এটা আপনার আব্বায় আপনারে শিখায়া যায় নাই?

সেও একটু শরম পেয়ে কইলো:

-  হ হ সব শিখাইছে। তয় আগে হাতমুখ ধুই চল।

আমি তাকে সম্মান দিয়ে সাথে করে লেট্টিনে ঢুুকলাম। তারপর বললাম:

- ছোট পুকুরে (কমোডে) নেমে হাতমুখ ধুয়ে নেন। 

আল্লাহ ছোট পুকুর দেখে তাজ্জব হয়ে বললো, মানুষ যে আরো কত কিছু দেখাইবো! এখন ঘরের ভিতরে পুকুর বানাইছে। আসলে তুমরা মানুষ জাতি ভালো উন্নতি করছো। 

আল্লাহ এবার তার ঐশ্বরিক ক্ষমতার মাধ্যমে কমোডে নেমে হাত মুখ ধোয়ার মত ছোট হয়ে চোখের পলকে নেমে গেলো। আর আমি টুস করে সুইচ টিপে কমোড ফ্লাশ করে দিলাম। আল্লাহ আ-আ-আ করতে করতে তলিয়ে গেলো শূন্যতার অতল গহীনে।

আর এভাবে একজন রাতুলের কাছে আল্লাহ চিরদিনের জন্য পরাজিত হলো।

নিত্য নবীরে স্মরি – ১৪৪

পাঠিয়েছেন দাঁড়িপাল্লা

ভুলি না তারে হাগনকুঠিতেও

বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০১৪

নাস্তিকদের কটূক্তির দাঁতভাঙা জবাব - ২৫

লিখেছেন ওয়াশিকুর বাবু

আসুন, নাস্তিকদের কটূক্তির বিরুদ্ধে দাঁতভাঙা জবাব দেই...


কটূক্তি ৪৯:
ধার্মিকরা এখন নিজেদের ধর্মকে বৈজ্ঞানিক হিসেবে দাবি করে। কিন্তু স্রষ্টার অস্তিত্বের সপক্ষে কি বিজ্ঞানসম্মত কোনো প্রমান দিতে পারবে তারা?

দাঁতভাঙা জবাব:
স্টিফেন হকিংএর মত একজন বিজ্ঞানী তাঁর ‘অ্যা ব্রিফ হিস্ট্রি অফ টাইম’ গ্রন্থে স্রষ্টার অস্তিত্ব স্বীকার করেছেন। তাঁর মানে স্রষ্টাকে কাল্পনিক বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।


কটূক্তি ৫০:
স্টিফেন হকিং কাব্যিক উপমা হিসেবে ঈশ্বরের নাম ব্যাবহার করেছিলেন। কিন্তু 'দ্য গ্রান্ড ডিজাইন' গ্রন্থে তিনি ঈশ্বরের অস্তিত্ব অস্বীকার করেছেন। তাহলে ধার্মিকরা কেন এখনো কাল্পনিক স্রষ্টার আরাধনা করে?

দাঁতভাঙা জবাব:
স্রষ্টা মানুষের অনুধাবনের বাইরে। তিনি না চাইলে কোনো বিজ্ঞানীর পক্ষেই তাঁর অস্তিত্ব বের করা সম্ভব না। আর হকিং তো একটা পাগল। ওর মত পাগলের-ছাগলের কথায় স্রষ্টার অস্তিত্ব অপ্রমাণিত হয় না। ওকে পাগলাগারদে রেখে চিকিৎসা করানো উচিত।

[বি.দ্র. কটূক্তির বদলে দাঁত ভাঙা জবাব গুলো আমার নয়। বিভিন্ন সময়ে ভার্চুয়াল মুমিনগণ যে জবাব দিয়েছেন তা কপি করে ছড়িয়ে দিচ্ছি শুধু। আপনারাও সবাই শেয়ার করে নাস্তিকদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জবাব দিন, ঈমান পোক্ত করুন...]















ইছলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান



"আপনি কেন শুধু ইসলাম ও মুসলিমের পিছে লাগেন?"

লিখেছেন বুদ্ধ মোহাম্মদ যীশু কৃষ্ণ

একটা কমন প্রশ্ন, যা প্রায়শই মুমিনেরা আমাকে করে থাকেন, এবং আমি জানি, আপনাদেরও সেই প্রশ্নটির সম্মুখীন হতে হয়।

প্রশ্নটি হচ্ছে: 
আপনি কেন শুধু ইসলাম ও মুসলিমের পিছে লাগেন? ইসলাম ছাড়া কি আর কোনো ধর্ম নেই?


আমার উত্তর:

হ্যাঁ, ভাই, ইসলাম ছাড়াও দেশে আরো ধর্ম আছে, কিন্তু ইসলামের মত একটা অসভ্য-বর্বর-অনুন্নত এবং জালিম ধর্ম এই পৃথিবীতে আর একখানও নাই।

বর্তমান পৃথিবীতে কারা জঙ্গি হামলা চালিয়ে গায়ের জোরে নিজেদের ধর্ম প্রতিষ্ঠায় অটল?
তারা কোন ধর্মের কথা মেনে সেই জঙ্গি হামলা চালিয়ে পৃথিবীকে দোজখ বানাচ্ছে?
বিধর্মী হত্যা করে ফরজ আদায় করছে কারা?

পাশ্চাত্য শিক্ষা হারাম, নারী শিক্ষা হারাম। এজন্য স্কুলের মেয়েদের অপহরণ করে জোরপূর্বক বাজারে বিক্রি করে দেয়ার হুমকিদাতা বোকো হারাম সংগঠন কোন ধর্মের জন্য এসব করছে?

৭১-এ পাকিস্তানি সৈন্যরা কোন ধর্মমতে এদেশের নারীদের গনিমত বানিয়েছিলো?
জেহাদের ফরজ পালনে নির্বিচারে মানুষদের হত্যা করেছিলো কারা?
রাজাকার-আলবদর গুলা সব কোন ধর্মের পণ্ডিত?

এদেশের সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘর উপাসনালয় ভাংচুর-লুটপাট-অগ্নিসংযোগ করা ধর্মীয় নেতারা ও তাদের অনুসারীরা কোন ধর্মের?

শুধুমাত্র মুক্তভাবে মত প্রকাশের জন্য নাস্তিক-মুক্তমনাদের কল্লাকাটা-রগকাটা মারধোর - নির্যাতন-জেলে ভরা-ফাঁসি চাওয়া ধর্মাবালেরা কোন ধর্মের?

বড় বড় রাজাকারদের মুক্ত করতে রাস্তায় নেমে যানবহন সহ জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে ঘরবাড়ি,দোকানপাট ভাংচুর করে, গাছপালা কেটে দেশ অচল করতে চাওয়া ছোট রাজাকারগুলা কোন ধর্মের?

এদেশে জন্ম নিয়ে এদেশে বড় হয়ে ফাকি-আরবের লিঙ্গ ষা অকৃতজ্ঞ দেশদ্রোহীগুলা কোন ধর্মের?

অনার কিলিং কোন ধর্মের শারিয়া?
নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করলে পাথর মেরে হত্যা করে কারা?
নিজেদের ধোন আর মন সামলাতে না পেরে মেয়েদের বস্তাবন্দী বানায় কারা?
মেয়েদের ড্রাইভিং-চাকরি-শিক্ষা স্বাধীনতা নিষিদ্ধ করে কোন ধর্মাবালেরা?

ওপরোক্ত কর্মকাণ্ড দেখে নীরবতা পালন করা এবং তা নিয়ে কিছু বললে "উহা ছহি ইসলাম নয়" বলে পরোক্ষ সমর্থন জোগানো মডারেট সুশীল বাইঞ্চোদগুলা কোন ধর্মের?

এর পরেও কি আপনাদের বলতে হবে, কেন আমি মুসলিম ঘরে জন্ম নেয়া সত্ত্বেও ইসলাম- ও মুসলিমবিদ্বেষী?

বেদ্বীনবাণী - ১০



আত্মা নিয়ে যুক্তিভিত্তিক চিন্তা-ভাবনা

লিখেছেন অর্ণব খান

আত্মা কী? মানুষের বিশ্বাস - আত্মা জড়বস্তুকে জীবন দেয়। মৃত্যু হলে আত্মা জীবদেহ ছেড়ে বেরিয়ে যায়, তাই মৃতদেহ আর জড়বস্তুর মাঝে কোনো পার্থক্য থাকে না।

আচ্ছা, এবার আমরা একটা জীবিত মানুষ তথা মানবদেহের কথা চিন্তা করি। দেহটির চার হাত-পা কর্তন করে ফেলি। সে কি মারা যাবে? যাবে না। তার মানে আত্মা হাতে পায়ে থাকে না। এবার সার্জারি করে দেহটির নাক, কান, চোখ, দাঁত তুলে ফেলি। এবারও সে মরবে না।

এবার দেহটি থেকে হৃৎপিণ্ড কেটে আনি। এখন অবশ্যই সে মারা যাবে। তাহলে কি আত্মা হৃৎপিণ্ডে থাকে? আপাতদৃষ্টিতে তা-ই মনে হচ্ছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখন যান্ত্রিক হৃৎপিন্ড দিয়ে মানুষ বাঁচিয়ে রাখতে পারে। তাহলে বোঝা গেল, আত্মা হৃৎপিণ্ডে থাকে না, তবে আত্মা হৃৎপিণ্ডের ওপর নির্ভরশীল। হৃৎপিণ্ড কাজ না করলে দেহে আত্মা থাকতে পারে না।

এমনি করে শুধু মস্তিষ্ক ছাড়া যকৃত, বৃক্ক, ফুসফুস, রক্ত, পাকস্থলী ইত্যাদি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যদি কৃত্রিম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হয়, তবুও দেখা যাবে যে, মানুষটি বেঁচে আছে। বর্তমান বা নিকট ভবিষ্যতের চিকিৎসা বিজ্ঞান সত্যিই এসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কৃত্রিম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্বারা প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম। শুধু মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপিত করা নিকট ভবিষ্যতে সম্ভব নয়।

তাহলে কি আত্মা মস্তিষ্কে থাকে? আপাত দৃষ্টিতে তা-ই মনে হচ্ছে। কিন্তু ক্লিনিক্যাল ডেথের ক্ষেত্রে মানুষের মস্তিষ্ক মরে যায়, তবে দেহ জীবিত থাকে। ডাক্তাররা লাইফ সাপোর্ট দিয়ে মস্তিষ্কবিহীন মানবদেহ দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রাখতে পারেন, যদিও সেই দেহ কোনোদিন কিছু চিন্তা করতে পারবে না, কিছু জানতেও পারবে না।

এই শেষে এসে দুটি উপসংহারে পৌঁছানো সম্ভব:
১. যদি বলা হয় - আত্মা মস্তিষ্কেও থাকে না, তাহলে সিদ্ধান্তে আসতে হবে আত্মা বলে কিছু নেই। কারণ ইতিমধ্যেই দেহের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করে ফেলা সম্ভব হয়েছে।
২. যদি বলা হয় - আত্মা মস্তিষ্কে থাকে, তাহলে সিদ্ধান্তে আসতে হবে জড়বস্তুকে জীবিত করতে আত্মা আবশ্যক নয়।
বস্তুতঃ এই যুক্তিভিত্তিক আলোচনাটা এটাই ইঙ্গিত করে যে, আত্মা বলে আসলে কিছু নেই। বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় একসময় মস্তিষ্কও কৃত্রিমভাবে প্রতিস্থাপন করা যাবে। এখনই বুদ্ধিমত্তাসহ কম্পিউটার আবিষ্কারের পথে অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যেদিন মানুষ কম্পিউটার মেমরীর মত মানুষ্য স্মৃতি সংরক্ষণ করার প্রযুক্তি উদ্ভাবন করবে, সেদিন মানুষ অমর হবে। তখন দেহ মরে গেলে ক্লোনের মাধ্যমে আরেকটি নতুন দেহ তৈরি করে পুরানো স্মৃতিটুকু ডাউনলোড কিরে নিলেই হবে। 

তবে দীর্ঘস্থায়ীতার লক্ষ্যে তখন মানুষ জৈবিক দেহের বদলে অন্য কোনো পদার্থের দেহ বেছে নিলে অবাক হবার কিছু থাকবে না। তখন অবশ্য তাকে মানুষ না বলে রোবট বলাই বেশি যুক্তিযুক্ত হবে। মানুষের জগত হবে আন্তঃনাক্ষত্রিক, তাই জৈবিক দেহের চাইতে ইস্পাতের দেহই বেশি সুবিধাজনক হবে। যাই হোক, দৈহিকভাবে রোবটের মত হলেও মানুষের সুখ-দুঃখ, চিন্তা-চেতনা ইত্যাদি মানসিক ব্যাপার কেমন হতে পারে, তা চিন্তা করলেই আমি শিহরিত হই!

ইভ টিজিং রোধে পর্দার ভূমিকা





বুধবার, ২৫ জুন, ২০১৪

নিঃসীম নূরানী অন্ধকারে - ৯০

লিখেছেন কবীর উদ্দীন

৪৪৬.
ভৃত্য চড়িল উটের পিঠেতে, ওমর ধরিল রশি। অতঃপর গভীর রজনীতে ছদ্মবেশে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরিয়া ঘুরিয়া, বেড়ার ফাঁক-ফোঁকর দিয়া উঁকি মারিয়া সকল গৃহের স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্ত অবলোকন করিয়া লালা ফেলিয়া মরুভূমির শুষ্ক বালু ভিজাইতে লাগিল ছদ্মবেশী ওমর রাঃ। একদা রজনীতে এইভাবে উঁকি মারিয়া ওমর রাঃ হিসুরত নবী-বিবি সওদার পাছা দেখিয়া লালা বিসর্জন দিয়াছিল।

৪৪৭.
সবার উপরে প্রেরিত পুরুষেরা ভণ্ড,
তাহাদের উপরে ভণ্ড নাই।

৪৪৮.
হিন্দুরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ জাতি। গাভীর দুধ খায় ব'লে ওরা দুনিয়ার তামাম গাভীকে পরম ভক্তি ভরে আম্মা ডাকে। ওরা ছাগী ও মহিষের দুধও খায়। কিন্তু ছাগী ও মহিষকে কেন ওরা আম্মা ডাকে না? এছাড়া ওরা মাছ, সব্জি, মুরগি, ডিম, ইত্যাদি খায়। ওদের কারুর প্রতি তাদের বিন্দুমাত্র কৃতজ্ঞতা বা প্রিয় আপন কোনো সম্বোধনে ডাকাডাকি নেই কেন? কৃতজ্ঞতা প্রকাশের এ কেমন গাভী মার্কা নমুনা?

৪৪৯.
নাস্তিকদের লাত্থিগুঁতা খেয়ে খেয়ে সকল স্রষ্টা ও তাদের ধর্মগুলির মরণাপন্ন অবস্থা।

৪৫০.
আজানের দোয়া:
হে আল্যা, এই চাটুকারিতা তোমার মতো তোষামোদপ্রিয়'র জন্যই। মহাবদ করুণার পাত্রকে মরণোত্তর পুরস্কার দিয়ে দিয়ো কিন্তু। যা দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তুমি তার মাধ্যমে তার জীবদ্দশায় অনেক বদ কাজ হাছিল করিয়ে নিয়েছ। তোমাকে রূপকথার নায়ক বানিয়ে, তোমার দোহাই দিয়ে, তার সুবিধার্থে সে অনেক ঘৃণ্য কাজ করেছে ব'লে তুমি আবার তাকে মরণোত্তর পুরস্কার (তিরস্কারের চেয়ে জঘন্য মানের) দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ো না যেনো।

অজ্ঞতার পাহাড়



আবু জাহেলীয় তালিম সমগ্র - ১০

লিখেছেন আবু জাহেল (Version 2)

৫৬.
একটা সত্য কথা বলি? যারা যৌনকর্মীদের ঘৃণা করে বলে ভাব ধরে, তারাই যৌনকর্মীদের সাথে সবচেয়ে বেশি সময় একসাথে কাটিয়েছে!!

৫৭.
দয়া করে আপনি একজন মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিষ্টান হইয়েন না! দয়া করে আপনি একজন মানুষ হওয়ার চেষ্টা করুন! 

৫৮.
বাংলাদেশে যে পরিমাণ মসজিদ, মন্দির বা উপাসনালয় আছে, তাতে যদি রাস্তায় পড়ে থাকা মানুষ গুলোকে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়, তবে বাংলাদেশে একটা মানুষও পাওয়া যাবে না, যারা রাস্তায় ঘুমাবে! অপেক্ষায় আছি, কবে মানুষের চেতনা ফিরবে! 

৫৯.
মরা মানুষের কোনো অনুভূতি আছে - এটা কেউ প্রমাণ করতে পারবে না! অথচ কতিপয় ছাগুর দল চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে আর ভয়ে কাঁপে কবরের আজাবের কথা ভেবে!

৬০.
শুনেছি ভিক্ষা দেয়া নাকি সম্প্রদান কারক অর্থাৎ স্বার্থ ত্যাগ করে দান করা। 

কিন্তু মুমিনদের বেলায় কথাটা প্রযোজ্য নহে, কারণ দান করার পুর্বে তারা কাল্পনিক বেহেশত আর হুর পরীর কথা চিন্তা করে পরে দান করে।

অতলনীয় যিশু



বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের দ্বন্দ্ব, বিজ্ঞানীগণ ও তাদের নাস্তিকতা

লিখেছেন শ্রোডিঞ্জারের বিড়াল

নাস্তিক বিজ্ঞানীর নাম লাগবে? এমন কয়েকজনের নাম দিই যাদেরকে HSC পাশ করারাও চিনবে:
  • আরহেনিয়াস নাস্তিক,
  • নিলস বোর নাস্তিক,
  • জেমস চ্যাডউইক নাস্তিক,
  • De Morgan নাস্তিক,
  • Ga-Lussac নাস্তিক,
  • Higgs নাস্তিক,
  • Nobel নাস্তিক,
  • J. Oppenheimer নাস্তিক,
  • Penrose নাস্তিক,
  • Schrödinger নাস্তিক,
  • Dawkins নাস্তিক,
  • ...
ব্লা ব্লা ব্লা, নাস্তিক নাস্তিক নাস্তিক। ... ... নাস্তিক বিজ্ঞানীর লিস্টটা বহুত বিরাট লম্বা। আইনস্টাইনও ছিলেন অ্যাগনস্টিক, তার ওপর ধর্মবিদ্বেষী, স্টিফেন হকিংস এথেইস্ট... বড় বড় যে কোনো বিজ্ঞানীই নাস্তিক অথবা অজ্ঞেয়বাদী।

আরো অল্প কিছু সিলেক্টেড বিখ্যাত বড় নাস্তিক বিজ্ঞানীদের লিস্ট দেখতে পারেন এখানে

আর এইটা একটু দেখেন, তারপর ত্যানা প্যাঁচাবেন।

আর বিজ্ঞানীরা নাস্তিক কি না, একটা জরিপ দেখুন।

নাস্তিকতা ও আধুনিক বিজ্ঞানীদের ওপর 'নেচার'-এর পেপারে চোখ বুলিয়ে নিন।

তারপর এখানে দেখেন:
99.9 percent of worldwide paper publishing and nobel winning scientists accept evolution and REJECT Intelligent Design hypothesis.
বিবর্তন মানলে সে কি কখনো মুমিন হইতে পারে? চিন্তা করে দেখেন।

আমি তো পারলে কমাইয়া বলছি, এত এত বলতে গেলে সব লিডিং বিজ্ঞানীই নাস্তিক।

এইবার লাফানিটা একটু বন্ধ করেন। নাকি তারপরেও তালগাছ আমার বইলা লাফাইতে থাকবেন?

শুনেন মুমিন ভাই, বেশি লাফাইয়েন না। গত ১০০ বছরে খুব বেশি না, পাচজন মুমিন বড় বিজ্ঞানী ও তাদের আবিষ্কারের নাম জিজ্ঞেস করলেই তো আপনাদের লুঙ্গি ফেটে যাবে।