লিখেছেন Elijah Neo
১৮৫৯ সালে ডারউইন তাঁর On the Origin of Species বইতে বিবর্তনবাদ বা বিবর্তন তত্ত্ব (Theory of Evolution) প্রকাশ করেন। এ বইটি প্রকাশের সময় তার বয়স ছিলো প্রায় ৫০। বলা যায়, এই একটি বই লেখার রসদ সংগ্রহে তিনি তাঁর সারাটা জীবন ব্যয় করেন। ১৮৭০ সালেই তৎকালীন সায়েন্টেফিক কমিউনিটি তাঁর তত্ত্বটিকে Fact হিসেবে গ্রহণ করে নেন।
যে সকল কমিউনিটি এই তত্ত্বটিকে ফ্যাক্ট হিসেবে মেনে নেন, তাদের মধ্যে Royal Society অন্যতম। কিন্তু বাধ সাধে তৎকালীন চার্চগুলো। বিশ্বব্যাপী তারা এর বিরোধিতা প্রচার করতে থাকে। কারণ এই তত্ত্বটি ধর্মগ্রন্হে বর্ণিত সৃষ্টিতত্ত্বের সাথে সাংঘর্ষিক।
অবশ্য, প্রায় ১৫০ বছর পর, ২০০৮ সালে Church of England তাদের ভুল বুঝতে পারে এবং প্রকাশ্যে ডারউইনের কাছে ক্ষমা চায়!
গত দেড়শ বছরে বিজ্ঞান এগিয়েছে অনেক অনেক দূর। ডারউইন অনেক কিছুই পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে তত্ত্ব আকারে বলে গেছেন। তাঁর সময়ের বিজ্ঞানের অনগ্রসরতার জন্য সে সবের প্রায় কিছুই প্রমাণ করে যেতে পারেননি। তাই তাঁর তত্ত্বকে তখনো প্রমাণ করে যেতে পারেননি বলেই আজও তাঁর মূল তত্ত্বটিকে তত্ত্বই বলা হয়।
সৌভাগ্যবশত, এই দেড়শ বছরে জ্ঞান-বিজ্ঞান বিশেষত, ফসিল গবেষণা, বায়োকেমেষ্ট্রি, ইভোল্যুশনারী বায়োলজি এতটাই এগিয়েছে যে, বিবর্তনবাদকে অনেক গভীর থেকে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, ফসিল গবেষনার পাশাপাশি DNA, RNA নিয়ে নানা Molecular Biology গবেষণা আজ পর্যন্ত বিবর্তনবাদের পক্ষেই কথা বলছে। এ জাতীয় কোনো গবেষণাই এখন পর্যন্ত বিবর্তনবাদের সাথে সাংঘর্ষিক নয়।
দুর্ভাগ্যবশত, মুসলমানরা আজও বিবর্তনবাদকে মেনে নিতে পারেনি। না মানুক। তবু, Fact তো Fact-ই, নাকি?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন