লিখেছেন জগৎপ্রেমিক
(এটা ধর্মকারীতে এই নতুন লেখকের তৃতীয় লেখা। সম্প্রতি জেনেছি, বয়সে তিনি কিশোর। সবে এসএসসি পাশ করেছেন। ধর্ম নামের অপবিশ্বাসের বিরুদ্ধে কিশোর-তরুণদের সচেতনতা, যুক্তিনিষ্ঠতা ও সক্রিয়তা খুবই মুগ্ধতা জাগায়, উদ্যম জোগায়। - ধর্মপচারক)
আমাদের কী কী আবেগ-অনুভূতি আছে? সুখ, দুঃখ, কানা, রাগ, বিরক্তি, একাকিত্ব, একঘেয়েমি...
আমাদের আবেগ-অনুভূতি যদি আল্লাহই সৃষ্টি করে থাকেন, তবে বলতেই হয়, এই অনুভূতি-আবেগ আল্লাহ্র কেন থাকবে না? অবশ্যই আছে। সুতরাং আল্লাহ্ একাকিত্ব ও বিরক্তি বোধ করেন। তাঁর সবই যেহেতু আমাদের চেয়ে অধিক এবং অসীম, কাজেই সেগুলো আছে তাঁর চরমভাবে।
তারপর, যখন কিছুই ছিল না, তখন আল্লাহ্ ছিলেন। তিনি একা ছিলেন। একাকিত্ব বোধ করতেন। চরমভাবে বিরক্ত হয়ে তিনি একটি খেলায় বিরক্তি কাটাতে চাইলেন। খেলনা হলাম আমরা। প্রতিদ্বন্দ্বীও তারই সৃষ্টি। ইবলিশ।
হ্যাঁ, এসব সৃষ্টি, ধর্ম অবশ্যই তাঁর খেলা। নয়তো আদমকে সিজদাহ না করার অপরাধে ইবলিশকে যদি জান্নাত থেকে বিতাড়িতই করা হয়ে থাকতো, তবে গন্ধম ফল সাজিয়ে সে জান্নাতে বসলো কী করে?
আর হাওয়া যখন গুটি গুটি গন্ধমের দিকে যাচ্ছিল, কুটুর কুটুর করে গন্ধম ফল চিবুচ্ছিল, তখন আল্লাহ্ কোথায় ছিলেন? তিনি কি তা প্রত্যক্ষ করেননি? অবশ্যই করেছেন। তবে কেন তার প্রিয় সৃষ্টির অনিষ্ট হতে দিলেন? [নাকি তিনি নিষ্ট-অনিষ্ট বিচার করেন না? তবে আমাদের ভালো-মন্দ বিচার করবেন কী করে?]
আর প্রত্যক্ষ করার কথা বাদ। তিনি তো সবজান্তা, সর্বজ্ঞাত। তিনিই কি নির্ধারণ করেননি যে, আদম হাওয়া গন্ধম খাবে? তিনি কি তা জানতেন না?
তবে কেন করলেন এই নাটক? আবার ডায়ালগও মেরেছেন: তুমি ওদিকে যেও না, গন্ধম ফল খেও না!
আচ্ছা, তিনি যদি আমাদের কল্যাণই চান, তবে অকল্যাণ হবার কারণ তিনি সজ্ঞানে কেন সৃষ্টি করলেন? তিনি আমাদের নিয়ে অবশ্যই খেলা খেলছেন।
চাই না আমি খেলনা হতে। আমারও স্বাধীন চেতনা আছে। আমার সাথে কি আল্লাহ্ ডিল করে নিয়েছিলেন যে, আমি তোমাকে সৃষ্টি করবো, বিনিময়ে তুমি আমার অনুগত হবে, অন্যথায় জাহান্নামের আগুনে গ্যাং রেপ করবো? আমার তো কোন ডিল মনে নেই।
এই সবই বললাম আবরাহামিক ধর্মগুলোর প্রেক্ষাপটে। প্রকৃত পক্ষে অসীম বুদ্ধিমান, নিষ্ঠাবান, মহান কোনো সৃষ্টিকর্তা এমন করতে পারেন না। ওপরোক্ত ঘটনাগুলো ঈশ্বর থেকে থাকলেও করেননি। এই ভিত্তিতে আমি বলছি, এই সবই ভুয়া।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন