আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ৩০ জুন, ২০১৪

চাঁদ দেখা কমিটির আবশ্যকতা প্রসঙ্গ

লিখেছেন নিলয় নীল

ধরুন, বাংলাদেশ সরকার ‘পঞ্জিকা দেখা কমিটি’ নামে একটা কমিটি গঠন করলো। দেশের শীর্ষ পুরোহিতদের নিয়ে গঠিত এই কমিটির দায়িত্ব হচ্ছে শুভ দিন, বিয়ের দিন-ক্ষণ-লগ্ন, পৈতের দিন, পুজার দিন, রাশিফলের শুভাশুভ প্রভৃতি নির্ধারণ করা। এদের এই কাজের জন্য সরকার এদেরকে বসিয়ে বসিয়ে নির্ধারিত বেতন দেবে, আমাদের মিডিয়া দরকার অনেক কাজ ফেলে ‘পঞ্জিকা দেখা কমিটি’-কে কাভারেজ দিবে। এই ব্যাপারটি যদি আপনাদের কাছে অদ্ভুত মনে হয়, তাহলে ‘চাঁদ দেখা কমিটি’ নামে কমিটির কার্যাবলী আপনার কাছে স্বাভাবিক মনে হয় কীভাবে? 

ছোটকাল থেকে শুনে আসছি, জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি নামে একটা সরকারী কমিটি রয়েছে। এদের কাজ হচ্ছে বছরে হাতেগোনা কয়েকবার সভা বসিয়ে চাঁদ দেখা গেছে কি না এটা জানানো। জনগণ তাদের জানানোর আগেই চাঁদ দেখার ব্যপারটি জেনে গেলেও তাদের কাজ হলো - সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকতা পালন মাত্র। 


ইসলামে চাঁদ দেখার জন্য কোনো প্রযুক্তি বা বিশেষজ্ঞ ব্যবহার করা আমার জানা মতে হারাম। রাসুল এই ব্যপারে সমাধান দিয়েছেন যে, যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয় এবং চাঁদ না দেখা যায়, তাহলে ৩০ দিন পূর্ণ করতে হবে। এই বিষয়ে বুখারির হাদিসটা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
তোমরা (রমজানের) চাঁদ দেখে রোজা শুরু করবে এবং (ঈদের) চাঁদ দেখেই রোজা ছাড়বে। যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয় (এবং চাঁদ দেখা না যায়) তাহলে মাসের ৩০ দিন পূর্ণ করে। অর্থাৎ আকাশ পরিচ্ছন্ন না থাকার কারণে চাঁদ দেখা না গেলে শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ করে রমজানের রোজা রাখা শুরু করবে। —(সহিহ বুখারি ১/২৫৬, হাদিস : ১৯০৬) 
এর মাধ্যমে আমরা বুঝলাম, ইসলামে চাঁদ দেখার ব্যাপারটি মুসলমানরা নিজেরা নিজেরাই করতে পারে, এক্ষেত্রে কোনো কমিটির প্রয়োজন নেই। অমুসলিম দেশগুলাতে মুসলমানরা যে থাকে, তাদের জন্য কি ঐ দেশগুলোতে আলাদা চাঁদ দেখা কমিটি রয়েছে কি? চাঁদ দেখা কমিটি ছাড়াই তারা তো তাদের উৎসব পালন করছে। 

চাঁদ দেখা কমিটি নামে সরকারী কমিটিটি বছরে কয়েকবার কাজ করার জন্য অফিস রয়েছে, কমিটির সদস্য ও কর্মচারী রয়েছে, যারা প্রতিমাসে নির্ধারিত বেতন নিচ্ছে সরকারের কাছ থেকে। চাঁদ দেখার জন্য যদি একান্তই বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন হয়ও, তাহলে সরকার যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় যেমন বুয়েট বা ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞদের নির্ধারিত সময়ের জন্য দায়িত্ব দিতে পারে এবং ঐ দায়িত্বের জন্য নির্ধারিত পারিশ্রমিকও দিতে পারে, কিন্তু সারা বছর ‘চাঁদ দেখা কমিটি’-কে পুষে কার লাভ হচ্ছে?

দেশে একটা বিশেষ ধর্মের জন্য অপ্রয়োজনে চাঁদ দেখার কমিটি রয়েছে, তারপরও আমরা নাকি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন