আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০১৪

বগলা বাবা

লিখেছেন কৌস্তভ সমাদ্দার

(ধর্মকারীতে ইনি কৌস্তুভ নাম্বার টু। কৌস্তুভ নাম্বার ওয়ান চতুষ্পদী বনে গেছেন সম্প্রতি। এবং এর পর থেকেই ধর্মকর্মে ধর্মকারীতে বিশেষ মন নেই তাঁর  এদিকে দ্বিতীয় কৌস্তুভ ধর্মকারীর প্রচারে নিরলস ভূমিকা রাখছেন তো বটেই, এখন থেকে ধর্মকারী-সমৃদ্ধিকরণে তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণও কাম্য।)

কলকাতার দক্ষিণে আমার বাড়ি, কিন্তু পড়াশোনার জন্য ৩ বছর পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণার সোনারপুরের কাছে চৌহাটি নামে এক মফস্বলে ছিলাম। সেখানে এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হয়েছিল! 

চৌহাটিতে আসার পর থেকে প্রায়ই সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়তাম আমার সেখানের প্রথম বন্ধু সুদীপের সাথে গ্রাম্য প্রকৃতির স্নিগ্ধ রূপ দেখতে। 

এভাবেই একদিন হঠাৎ করে এক ‘বাবা’র সন্ধান পাই।

চৌহাটি থেকে পায়ে হাঁটা দূরত্বে সুভাষগ্রাম নামে এক জায়গা পড়ে, নেতাজি সুভাষচন্দ্রের পৈত্রিক ভিটা আছে ওইখানে। সেই সুভাষগ্রামের মিশনপল্লী নামে এক জায়গায় এই বগলা বাবার চেম্বার। হলঘরের মত বড় ওই চেম্বারে বাবা তার চ্যালাচামুণ্ডাদের নিয়ে বসেন। দূর-দূরান্ত থেকে ভক্ত সমাগম হয়, প্রচুর প্রণামী, ভেট ইত্যাদিরও কমতি নেই। 


সবাই আসেন বাবার বগল ভেজানো কালো জল পান করার পুণ্য অর্জন করতে। প্রথমে বাবার চ্যালারা কয়েক ঘটি জল নিয়ে বাবার সামনে রাখেন। তারপর বাবা তাঁর বগল সেখানে নিমজ্জিত করেন, জল সম্পূর্ণ কালো হয়ে যাবার পর তা ভক্তকুলে বিতরণ করে দেওয়া হয়। ভক্তগণ মহানন্দে সেই ‘কৃষ্ণবর্ণ অমৃত’ কিছু পান করেন কিছু বাড়িতে নিয়ে যান। এভাবে দিনের পর দিন চলে আসছে; বর্তমানে বাবা বারুইপুরের কাছে শিবানী পীঠ নামে আরেক মফস্বলে তাঁর আস্তানা স্থানান্তরিত করেছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন