ইসলাম এমনই একটা মহান ধর্ম, যার ইতিহাসে ‘ধর্ষণ’-এর মত একটা অপবিত্র শব্দের উল্লেখ নাই।
যদিও আরব দেশ গুলাতে দিখা যায় পিতা-পুত্রের গমনস্থল সেইম! আর যেহেতু গমনস্থলের অধিকারিণী খাদ্দামাকে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দিনার/রিয়ালের বিনিময়ে গরীব দেশসমূহ থিকা আইনগত বৈধতার মধ্য দিয়া চুক্তি নিবদ্ধ করা হয়, সেহেতু আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই এই খাদ্দামা তার কফিলের আহ্বানে অবাধ্য হয় না এবং বাড়তি উপার্জনের সুযোগ ফেয়ে সে কফিলের আওলাদদেরকেও প্রতিহত করে না। যখন ছহবতে খাদ্দামার প্রতিবাদ থাকসে না, তখন এটা তো ধর্ষণের ফর্যায়ে ফড়ে না! নাকি?
তাইলে?
এবং অন্যদিকে, আরব দেশের হিজাবি নারীদেরও যৌন জীবন আছে। তারা দামি গাড়ি হাঁকিয়ে নাগরিক কোলাহল ছেড়ে হয়ত হাবিবির সাথে মরুতে নিরুদ্দেশ হই যায়, যেখানে আজানের ধ্বনি পৌঁছায় না, বা বিলাসবহুল হোটেল মোটেল তো আছেই! আপোষেই শরিলে শরিল মিশায় তীব্র জৌলুসে।
ঐদিকে, সদ্য বিধবা বা পিতৃ-ভ্রাতাহারা যুদ্ধবন্ধিনীদেরকে যেহেতু ‘হালাল’ করে শয্যাসঙ্গী করা হয়, সেহেতু সেটাও ধর্ষণের আওতায় পড়ে না।
সুতরাং এমন পরিস্থিতিতে আমরা বলতে ফারি যে, আহলে কিতাব অনুসারিদের বা ইহুদী নাসারাদের 'মতবাদ' প্রয়োগ করেলেও ইসলাম ধর্মে ছহবত কর্মটিকে ‘ধর্ষণ’ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যায় না।
আসা যাক কিছু কার্যকরি কথায়।
পবিত্র কোরানে ‘ধর্ষণ’ নামক শব্দ বাদ ফড়ি গেসে বা আল্লাহ্ ইচ্চাকৃতভাবে ভুল করি বাদ দিসেন, কিন্তুক...
প্রলোভন ও প্ররোচনায় পিতা-পুত্রের সিরিয়ালে একই খাদ্দামাতে গমন, আপোষে মরুর গহীনে ছহবত কর্ম সম্পাদন, এমনকি হালাল দাসি ভক্ষণ এগুলি হয়ত ‘ধর্ষণ’ না। কিন্তু, এগুলি তো ‘ছহবত’,তাই না?
ইসলাম তো ছহবত বা ‘জেনা’র ব্যাপারে কঠোর। কিন্তু ১৪০০ বছর আগের হিজাবি কানুন দিয়ে তো বর্তমান যুগে জেনা ঠেকানো অসম্ভব হয়ে ফড়েসে। যা মূলত আল্লাহ্র আইনের অবমাননা।
আফসুস! এখনকার নারী পুরুষদের মনোবাসনার কাসে আল্লাহ্র আইন আজ অসহায়! এমতবস্থায়, আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহী ওয়া সাল্লাম) যদি বর্তমান দুনিয়ায় বেঁচে থাকতেন, হয়ত দিখা যেত, আল্লাহ্তালা এই একুবিংশ শতাব্দীর বাস্তবিক প্রয়োজনে, পবিত্র কোরানের হিজাবের কানুনটি কারেকশান করে দিতেন।
হয়ত তিনি পুরুষদের মেটাল প্যামপাস বা chastity পরিধানের বিধান চালু করতেন এবং chastity-র তালা মেরে চাবিটা হয়ত মসজিদের ইমাম বা মুয়াজ্জিনের কাছে জমা রাখার জন্য ঈরশাদ করতেন। কারণ যখন এটা প্রমাণ হয়ে গেছে যে, পুরুষ জাতি চির ছিদ্রান্বেষী; তারা বালিশে ছিদ্র করে, কলাগাছে ছিদ্র করে, ভবিতব্য বিপদের সম্ভাবনার কথা জাইনাও কাঁচের শিশির ছিদ্রকে কাজে লাগায়...এবং হয়ত দেখা যাবে যে, ঐতিহ্য ধরে রেখে যদি নারীকেই chastity পরানোর রেওয়াজ বলবত রাখা হয়, তবে অ-মুমিন বান্দাগণ সংরক্ষিত ছিদ্রে গমনে বাধা পেয়ে বিকৃতরুচী সম্পন্ন হই যাবে এবং হয়ত তাদের ছিদ্রাভ্যাস চর্চার ব্যাঘাত না ঘটাতেই ড্রিল মেশিন দিয়ে নারীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় উপছিদ্র করে ফেলবে ।এবং এতে করে অবশ্যই আল্লাহ্র আরশ কেঁপে উঠবে। ড্রিল দ্বারা নারীর রক্তপাত আল্লাহ্ পছন্দ করবেন না।
কিন্তু, হায়! আল্লাহ্র রাসুল (সাল্লাল্লাহি ওয়া সাল্লাম) এখন আর বেঁচে নেই! তাই, chastity বা মেটাল প্যামপাস নিয়া কোনো আসমানি ওহীও আমরা আর লাভ করবো না এবং কিয়ামত পর্যন্ত পবিত্র কোরানের হিজাবি কানুনকে ওরা অবমাননা করে যাবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন