রবিবার, ১ জুন, ২০১৪

কাসুন্দিমন্থন - ২২

(ধর্মকারীর নতুন পাঠকদের কথা ভেবে নির্বাচিত কিছু পুরনো পোস্ট পুনঃপ্রকাশ করা হবে এই সিরিজে)


১. মুখে ধর্ম, মনে পর্নো

চমৎকার এক পরিসংখ্যান পাওয়া গেল।

আমেরিকার যে-প্রদেশগুলোয় ধর্মবিশ্বাসীদের প্রাধান্য, সেই সব প্রদেশে পর্নোছবির গ্রাহক অন্য প্রদেশগুলোর তুলনায় বেশি। হয়তো ভাবছেন, প্রাপ্তবয়স্ক কেউ পর্নোছবি দেখলে তাতে লজ্জা বা অপরাধের কী আছে? কিছুই নেই। আমিও তা-ই মনে করি। কিন্তু পর্নোবিরোধী চাপাবাজি করে মুখে ফেনা তুলে গোপনে পর্নো দেখার মধ্যে যে-ভণ্ডামি আছে, সেটির প্রতি দৃষ্টিপাত করতে চাই। 

New Scientist-এর এই খবরে কৌতূহলোদ্দীপক কিছু তথ্য আছে।

১. পর্নোছবির সবচেয়ে বড়ো দশটি খদ্দের-প্রদেশের আটটি গত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিয়েছে ধর্মবাজ রিপাবলিকান দলের জন ম্যাককেইনকে, আর সবচেয়ে ছোট দশ খদ্দের-প্রদেশের ছ'টি ভোট দিয়েছে ওবামাকে।

২. যে সাতাশটি প্রদেশে সমকামী বিবাহ নিষিদ্ধ, সেখানে পর্নো-সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা অন্য প্রদেশগুলোর তুলনায় শতকরা এগারো ভাগ বেশি।

৩. "পরিবার ও বিয়ে প্রসঙ্গে আমি পুরনো মূল্যবোধে বিশ্বাসী" এবং "মানুষের অনৈতিক যৌনাচারের শাস্তি হিসেবে ঈশ্বর এইডস দিয়েছেন" - এই দুই মতবাদ যে-প্রদেশগুলোয় সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন পায়, সেই সব প্রদেশেও পর্নো-সাবস্ক্রাইবার বেশি।

ইহা হইতে আমরা কী শিক্ষা পাইলাম?

প্রথম প্রকাশ: ২৪.০২.১০

২. 'জঙ্গি' নাস্তিকের জবানবন্দি

ধর্ম বা ঈশ্বরের নামে অবলীলায় মানুষ হত্যাসহ যাবতীয় ধ্বংসাত্মক কাজ করলে কাউকে জঙ্গি আস্তিক বলা হয়। অথচ হত্যা-ধর্ষণ-ভাঙচুর-লুটপাট-জালাও-পোড়াও নয়, শুধুমাত্র উচ্চকণ্ঠ ও সরব হবার কারণে এই 'জঙ্গি' তকমাটি নাস্তিকদের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করে থাকে অজস্র আচোদা আবাল। 

কলমের কালি আর রক্তের মধ্যে যতোটুকু পার্থক্য, উচ্চকণ্ঠ নাস্তিক আর উগ্র ধার্মিকের মধ্যেও পার্থক্য ঠিক ততোটুকুই। আর তাই উচ্চকণ্ঠ ও সরব নাস্তিকদেরকে 'উগ্র' আখ্যা দিয়ে যারা ধর্মীয় উগ্রবাদীদের কাতারভুক্ত করে বা করতে চায়, তারা নিশ্চিতভাবেই নিরাময়াতীত নির্বোধ, নয়তো ধূর্ত সুবিধাবাদী, নয়তো গ্যাঞ্জামবাদী জ্ঞানপাপী।

এই ভিডিওতে শুনুন এক 'জঙ্গি' নাস্তিকের জবানবন্দি। একেবারেই আমার মনের কথা। ভিডিওতে উচ্চারিত শেষ বাক্যটির পুনরাবৃত্তি করতে চাই আমিও: “Why the hell aren’t more of us speaking up?”

ভিডিওর ট্র্যান্সস্ক্রিপ্ট পাওয়া যাবে এখানে

ভিডিও লিংক: http://youtu.be/GBHfiR4jtCU

প্রথম প্রকাশ: ২৪.০২.১০

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন