লিখেছেন ওয়াশিকুর বাবু
১. কট্টর স্তর
এই স্তরের কাছে নিজ ফেরকা ব্যতীত অন্যান্য ফেরকার পূর্ণ ধার্মিক, ফেরকা না মানা মডারেট মুসলিম, সাধারণ নন-প্র্যাক্টিসিং মুসলিম (নামাজ না পড়া, দাড়ি না রাখা, গোড়ালির নিচে কাপড় থাকা), হারামের সাথে জড়িত মুসলিম (ব্যাংকে সুদের টাকা রাখা, বেপর্দা চলা), নীরবতা পালনকারী নাস্তিক, ধর্মের গঠনমূলক সমালোচনা করা নাস্তিক, কটুক্তিকারী নাস্তিক্ত - সবাই ধর্মের অবমাননাকারী;
২. সেমি-কট্টর স্তর
অন্য ফেরকার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে না যদি পূর্ণ ধার্মিক হয়। এ ছাড়া বাকি সব বিষয়ে কট্টরদের মতই;
৩. সাধারণ ধার্মিক স্তর
অন্য ফেরকা বা নন প্র্যাক্টিসিং মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে না। তবে বাকি বিষয়ে কট্টরদের সাথে একমত;
৪. সাধারণ মুসলিম স্তর
ঈমান থাকলেই হল। পালন করা না করা নিয়ে মাথা ঘামায় না। তবে নাস্তিক হওয়াটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ মনে করে;
৫. সেমি-মডারেট স্তর
নাস্তিক নিয়ে সমস্যা নেই। তবে কোনো বক্তব্য দিতে পারবে না নাস্তিকতার সপক্ষে বা ধর্মের বিরুদ্ধে;
৬. মডারেট স্তর
ধর্ম নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনা গ্রহনযোগ্য মনে করে। তবে ধর্ম নিয়ে ব্যঙ্গ, কটূক্তি সহ্য করে না;
৭. অনুভূতিহীন স্তর
নিজের মত ধর্ম পালন করে। কে কী বলল না বলল, তা নিয়ে মাথা ঘামায় না।
সিদ্ধান্ত
আপনি যে স্তরেই থাকেন না কেন, কারো না কারো দৃষ্টিতে আপনি ঠিকই ধর্ম অবমাননাকারী; ধর্ম অনুভূতিতে আঘাত করে চলেছেন। তাই হয় আপনাকে অনুভূতিহীন স্তরে আসতে হবে অথবা অনুভূতি নিয়ে রক্তাক্ত সংঘাতের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। এর বাইরে নিজের সুবিধামত মধ্যপন্থা অবলম্বন করলে আপনার নিচের স্তরের হাতে একদিন ধরা পড়বেন...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন