লিখেছেন বাংলার উসমান মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ ইসলাম
আচ্ছালামুয়ালাইকুম ওয়া রাহ্মাতুল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ্, ওয়াসসালাতু আসসালাম ওয়ালা রাসুলিহিল কারিম। আম্মাবা'দ। আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম, বিসমিল্লাহির রাহ্মানীর রাহিম।
আজকে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা কোইরবো। আফনেরা জানেন, আজ সারা দেশে নাস্তেক খেদাও আন্দলন সোলতেসে। কিন্তুক এই ‘নাস্তিক’ বা ‘নাস্তিকতা’ কি সে শমপরকে আমরা অনেকেই জানি না।
হয়ত দিখা গেলো, কুনো একদিন শফী হুজুর বা জুনায়েদ বাবুনগরী হুজুর বললেন, চিলে আফনের কান লই দৌড় দিয়েসে। তখন আফুনি কি কোইরবেন?
নিশ্চয়য়ই আফনার উসিত হবে আগে আফনার কানে হাত দিয়া চেক করি নেয়া যে, কানটা সহিহ জায়গায় আছে কি না। তার লগে লগে দৌড় দেলে ত হবে না। নাকি?
জুনায়েদ বাবুনগরী ছায়েব বলচেন, নাস্তিকদের রাজপথে কবর দেয়া হবে।
আমি আফনেগের নিশ্চিত কোইত্তেসি, ইসলামে ‘নাস্তিকতা’ নিয়া কুনো কথাই বলা নাই। যেখানে আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল নাস্তিকতা নিয়া কিছু বলি যান নাই, সেখানে আমাগের আগ বাড়িয়ে কেনো এই বিষয়ে পন্ডিতি করতে যাওয়ার কি দরকার।
তাই নাস্তিকতা নিয়া ফতোয়া মারা বিদাতী কর্মকান্ডের অন্তর্ভুক্ত।
সোলুন, জানি নেয়া যাক ‘নাস্তিকতা’ কি!
নাস্তিকতা হোস্সে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব সম্পর্কে বিশ্বাসের ঘাটতি।
‘অস্তিত্ব প্রমানে ব্যর্থ হয়ে বিশ্বাসে ঘাটতি’ ও ‘বিশ্বাস না করা’ দুইটাতে পার্থ্যক্য আছে।
নাস্তেকদের কতাই হল, আগে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব প্রমান করো, তারফরেই বিশ্বাসের বেফার আসবে। একটা জিনিসের অস্তিত্ব অপ্রামানিত যেখানে, সেখানে সেটা নিয়ে ত আর কতা বলা যায় না।
কিন্তুক ইন্দু, খিশটান বা অন্য অনেক ধর্মালম্বীরা ‘সৃষ্টিকর্তায়’ বিশ্বাসি হলেও তারা ‘আল্লাহ’তে বিশ্বাসি না। ওদের ‘সৃষ্টিকর্তা’র রুপ ভিন্ন। মুসলিমদের আল্লাহর মতন নয়। অর্থাৎ,এইসব ধর্মালম্বীরা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসি হলেও ইসলামি তরিকায় এরাই অবিশ্বাসী। এরাই কাফির।
নাস্তিকরা যুক্তি দিখায় এমুন করি - আস্তিকরা যেমন দাবী করে কুনো কিছু সৃষ্টি করতে সৃষ্টিকর্তা লাগে, তাই আল্লাহ আছেন... সে যুক্তিতে আল্লাহ্র অ সৃষ্টিকর্তা থাইকবে না কেনো!
নাস্তিকেরা আরো বলে, আস্তিকেরা নিজেদের ‘মতবাদ’-এর অস্তিত্ব টিকায়ে রাকতে একটা পর্যায়ে গিয়া থামি যায়, নিজেদের ‘চিন্তা’ থামায়ে দেয় এবং অজ্ঞতাপ্রসূত জোর দাবী করে সৃষ্টিকর্তা নিজে নিজে সৃষ্টি হয়েসেন।
কেউ যখন কুনো কিছুর অস্তিত্বে প্রমান না ফেয়ে সেই শোনা কথায় কান দেয় না, তখন বিশ্বাসীদের কি করা উসিৎ তার সাথে?
তাকে রাজফথে জবাই করলে কি তাকে দিয়া জোরা করাই বিশ্বাসি করা যাবে?
যাবে না।
সবচে বড়ো কতা হইল, ‘নাস্তিকতা’ নিয়া আল্লাহপাক কিছু বলেন নাই।আল্লাহ্র রাসুল কিছু বলি যান নাই।তাইলে আল্লাহ্র কতার বাহিরে গিয়া জুনায়েদ বাবুনগরী ঘোড়া ডিংগায়ে ঘাস খাইতে সাইতেসে কেনো?
তবে কি আল্লামা জুনায়েদ নগরী নাস্তেক!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন