লিখেছেন দাঁড়িপাল্লা
কোরান থিকা কিছু উদ্ধৃতি দেখা যাক:
মূসা স্বীয় সম্প্রদায়কে বললেনঃ হে আমার সম্প্রদায়, তোমাদের প্রতি আল্লাহর নেয়ামত স্মরণ কর, যখন তিনি তোমাদের মধ্যে পয়গম্বর সৃষ্টি করেছেন, তোমাদেরকে রাজ্যাধিপতি করেছেন এবং তোমাদেরকে এমন জিনিস দিয়েছেন, যা বিশ্বজগতের কাউকে দেননি।(কোরান ৫.২০)
হে আমার সম্প্রদায়, পবিত্র ভুমিতে প্রবেশ কর, যা আল্লাহ তোমাদের জন্যে নির্ধারিত করে দিয়েছেন এবং পেছন দিকে প্রত্যাবর্তন করো না। অন্যথায় তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে।(কোরান ৫.২১)
মূসা তার অনুসারীদের তাদের জন্য আল্যার নির্ধারিত স্থানে প্রবেশ করতে বলতেছে।
আল্যার নিজের মুখে শুনেন:
...আমি বনী ইসরাঈলীদের এই সমুদয়ের অধিকারী করেছিলাম।(কোরান ২৬.৫৯)
এইটার একটা তাফসীর দেখা যাক:
উদ্যানরাজি, প্রস্রবণ , ধন-ভান্ডার, সুরম্যসৌধমালা ইত্যাদির অধিকারী বনী ইসরাঈলীরা হয়েছিলো, বহু বছর মরূপ্রান্তরে ঘুরে বেড়ানোর পরে প্যালেস্টাইনে এসে। কিন্তু তারা আবার যখন আল্লাহ্র বিধান থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তখন তারা আবার এসব হারিয়ে ফেলে এবং অন্য সম্প্রদায় [ মুসলমান ] তা অধিকার করে নেয়। কারণ তারা ছিলো প্রকৃত বিশ্বাসী।
মহাম্মদ যেহেতু আগের ইহুদি আর খ্রিষ্টানগো ধর্মগ্রন্থ থিকা কাহিনী কপি-পেস্ট করত, সেহেতু এই কাহিনী খুঁজলে হয়তো ইহুদি আর খ্রিষ্টানগো ধর্মগ্রন্থেও পাওয়া যাবে। তো কোরানেই যেহেতু দেখা যাইতেছে, তখন আপাতত সেই পুরান কাহিনীতে হাত দিলাম না।
এখানে আল্যায় নিজেই এই ভূমি ইহুদিগো দিতেছে। ইহুদিগো আল্যায় যে বিধান দিছে, সেইটা তারা অমান্য করছে, এমন কথাও ধোপে টিকে না, কেননা যে মহাম্মদ আইসা তার নিজস্ব তথাকথিত আল্যার বিধান নাজিল করছে, ইহুদিরা তাগো নিজস্ব আল্যার বিধান অনুসারে সেই মহাম্মদের বিধান মানে না। বরং মানতে গেলেই বলা যেত যে, ইহুদিরা তাদের আল্যার বিধান অমান্য করছে। তো এখন অন্য সম্প্রদায় মানে মুসলমানরা ইহুদিদের সেই আল্যার দান করা ভূমি আবার "অধিকার" করতে যায় কী মনে কইরা?
পুরান আল্যায় কইছে এই ভূমি ইহুদিগো। আবার নতুন আল্যায় কইছে ইহুদিগো হত্যা কর। ও আল্যা, এ তুমার কেমন বিচার!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন