বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০১৪

নিঃসীম নূরানী অন্ধকারে - ৯৫

লিখেছেন কবীর উদ্দীন

৪৭১.
ইফতারের সময় রোজাদারদের গোগ্রাসে খাওয়া ও রোজার শেষে ঈদের দিনে মমিনদের আনন্দ দেখেই প্রমাণিত হয়, দিনের বেলা কয়েকঘণ্টা উপোস করা তাদের মোটেই পছন্দের ব্যাপার নয়। শুধু ভয় ও লোভেই তারা উপোস করে, ভক্তি ভ'রে নয়।

৪৭২.
ঢাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো অগণিত মসজিদ। মসজিদ আল্যার ঘর। এক আল্যার জন্য কয়টা ঘর দরকার? অসংখ্য মানুষ যেখানে গৃহহীন, সেখানে একজনের জন্য এতগুলি ঘর কেন? এদিকে পুরুষদেরকে যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে ছ্যাড়ছেড়িয়ে হিসু করতে দেখা যায়। এটা যেমনই দৃষ্টিকটু তেমনই পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। তাই অসংখ্য মসজিদের কিছু কিছু গৃহহীন মানুষের আবাসনের জন্য ছেড়ে দিয়ে বাকিগুলিকে পাবলিক টয়লেটে পরিণত করা উচিত মানবতা ও পরিবেশের খাতিরে।

৪৭৩.
নিজের বাবা, মা, ভাই, বোনকে কেউ হাটে-বাজারে বেচাকেনা করতে কখনো শুনেছেন আপনারা? হ্যাঁ, করছে, হরহামেশাই করছে নিজের মা-বাবা-ভাই-বোনের বেচাকেনা। গাভী হিন্দুদের মা। সেই হিসেবে ষাঁড় তাদের বাবা, এঁড়েবাছুর তাদের ভাই, বকনা বাছুর তাদের বোন। এবং হিন্দুরা তাদের মা-বাবা-ভাই-বোনের বেচাকেনা করে নিত্য, ব্যবসা করে নিজের পরিবার পরিজন নিয়ে। কী অমানবিক ও অগরুবিক ব্যাপার!

৪৭৪.
মাছির উপদ্রব থেকে বাঁচানর জন্য খাদ্যকে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়। মমিনারা নিজেদেরকে আপাদমস্তক বস্তা দিয়ে ঢেকে রাখে কেন? তারা কি খাদ্য? মমিনরা কি মাছি?

৪৭৫.
বিষবৃক্ষের সমূলে উৎপাটনই পৃথিবীর মাটি ও পরিবেশের জন্য মঙ্গলকর। প্রতিটি ধর্মই হচ্ছে পৃথিবী ও মানুষের জন্য বিষবৃক্ষ। ডালপালা ছেঁটে দিয়ে এদের বিষ নিঃসরণ বন্ধ করা যাবে না। সুস্থ পৃথিবী ও সুস্থ পরিবেশের জন্য এদের সবগুলিকেই সমূলে উৎপাটিত করে পুড়িয়ে নিশ্চিহ্ন করে ফেলা অপরিহার্য।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন