অনুবাদ: Elijah Neo
পর্ব ১ > পর্ব ২ > পর্ব ৩ > পর্ব ৪
কতিপয় অন্যান্য হাদিসে উল্লেখিত হইয়াছে যে, মুহাম্মদের শ্বাসকষ্ট (ছোট শ্বাস) ছিল, ফলে তিনি ধীরে ধীরে কথা বলিতেন, যাহাতে কথা বলিবার ফাঁকে শ্বাস লইতে পারেন। ইবন শা’দ আয়েশার নামে বলিয়াছেন:
আল্লাহর পয়গম্বার আপনার মতো ক্রমাগত ও দ্রুত কথা বলতেন না। তার কথা বলার ধরণ ভাঙ্গা ভাঙ্গা এবং ধীর লয়ের ছিল যাতে শ্রোতারা তার কথা বুঝতে পারে [তাবাকাত, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৩৬১]; নবীজির কথা (ধীর লয়ে) ঠিক গান গাওয়ার মতো ছিল না, তিনি কেবল তার শব্দাবলীকে দীর্ঘায়িত করতেন, আর জোর দিয়ে উচ্চারণ করতেন।
এক্রোমিগেলি রোগ শরীরের পাচন হার (metabolic rate) বাড়াইয়া দিতে পারে, যাহার ফলে অধিক ঘাম (hyperhidrosis) ঝরিয়া থাকে। ইহা একটা অস্বাভাবিক অবস্হা যথায় অধিক তাপের প্রতি অসহ্যতা পরিলক্ষিত হয় বা, ত্বকে তৈলাধিক্য ঘটে।
হাদিস মতে, মুহাম্মদ শরীরের অত্যধিক তৈল হইতে নিষ্কৃতি পাইতে বা শরীরের দুর্গন্ধ হইতে পরিত্রাণ পাইতে বারংবার নিজেকে ধৌত করিতেন। তাঁহার মৃত্যুর পাঁচদিন পূর্বে তাহার শরীরের তাপমাত্রা এতই বাড়িয়া যায় যে, তিনি মুর্ছা যান এবং ব্যথায় কষ্ট পাইতে থাকেন। “আমার গায়ে বিভিন্ন কুপের সাত বালতি পানি ঢালো, যাতে আমি বাইরে যেয়ে মানুষের সাথে কথা বলতে পারি,” তিনি তাহার এক স্ত্রীকে বলিয়াছিলেন।
মুহাম্মদ যে তাঁহার ছবি আঁকিতে নিষেধ করিয়াছেন, তাহা, সম্ভবত, এই কারণে যে, তিনি তাহার শরীর ও বিকৃত মুখাবয়বের ব্যাপারে সচেতন ছিলেন। তিনি চাইতেন যেন মানুষ তাহার দিকে নজর না দিয়া বরং তিনি কী বলেন, তাহাতেই যেন ধ্যান দেন। অবশ্য বিশ্লেষণ করিলে দেখা যায়, তিনি দেখিতে যত না কদাকার ছিলেন, তাহার বাণী ততোধিক কদাকার।
(শেষ)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন