আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ২১ জুলাই, ২০১৪

মুহাম্মদ সুরত - ০৪

মূল: আলী সিনা-র Understanding Muhammad নামের বই থেকে একটি অধ্যায়
অনুবাদ: Elijah Neo

এক্রোমিগেলি রোগে উচ্চ রক্তচাপ ও দুর্বল রক্ত চলাচল হইয়া থাকে। ফলতঃ হাত-পা ঠাণ্ডা হইয়া থাকে।
আবু জুহাইফা বলিয়াছেন, “আমি তার একটি হাত নিয়ে আমার মাথায় রাখি। আমি দেখলাম যে, এটি বরফের চেয়েও ঠাণ্ডা এবং কস্তুরী চেয়েও সুগন্ধময়।”
(বোখারী শরীফ ৪:৫৬:৭৫৩)
হাইকল আরো বলিয়াছেন, “জাবির বিন সামুরা – ও তখন ছোট ছিল – বলেছে, ‘সে (মুহাম্মদ) যখন আমার গাল ধরে টানল, আমি অনুভব করলাম হাতটি খুব ঠান্ডা ছিল এবং এমন সুগন্ধি ছড়াচ্ছিল যেন সুগন্ধি দোকান থেকে মাত্র আনা হয়েছে।
(সহীহ মুসলিম ২:২৫৬)
এক্রোমিগেলি রোগে আক্রান্ত কোনো কোনো ব্যক্তির মেরুদণ্ডের হাড় পাশে বা লম্বালম্বি অস্বাভাবিকভাবে বাঁকানো হইয়া থাকে (kyphoscoliosis)। এই কারণেই হয়ত মুহাম্মদ হাঁটিবার সময় সম্মুখে ঝুঁকিয়া হাটিতেন। উপরন্তু, মস্তিষ্কমধ্যে অবস্হিত পিটুইটারী গ্রন্হি অত্যধিক বড় হইবার কারণে মাথাব্যথা, অবসন্নতা, অস্বাভাবিকতা এবং হরমোনের অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হইতে পারে।

মুহাম্মদের শরীর মোটা, পেশীবহুল ছিল, তার পেট ও বুক ছিল সমান সমান। এক্রোমিগেলি রোগীদের বুক এমন পেটা হইয়া থাকে। উপরন্তু এই রোগের কারণে মেরুদণ্ড বাঁকাইয়া যাইতে পারে, ফলে পিঠে উঁচু কুঁজ দেখা দিতে পারে। এই কারণেই মুহাম্মদের পিঠ উঁচু ছিল।

এক্রেমিগেলি রোগীদের প্রায়শই শ্বাসকষ্ট হইয়া থাকে। তাহাদিগকে লম্বা শ্বাস গ্রহণ করিতে হয়।

ইবন সা’দ একটি হাদিসে আনাস হইতে বর্ণনা করিয়াছেন, 
আল্লাহর পয়গম্বর কোন কিছু পান করতে গেলে তিনবার দম নিতেন, এবং বলতেন, এটা বেশ ভাল, সহজতর আর মজাদার।
ইহা মূলত মুহাম্মদের নাতিদীর্ঘ শ্বাস-সমস্যা চিহ্নিত করে, যাহাতে বোঝা যায়, তাহার ঐ রোগ ছিল।

(চলিবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন