লিখেছেন অর্ণব খান
পশ্চিমে ইসলাম বিস্তারের পেছনে কারণ আছে, তা হচ্ছে "র্যাশনাল ইসলাম।" "র্যাশনাল ইসলামের" ইতিহাস বলার আগে মূল ব্যাপারটা একটু বলে নেই। আস্তিকতা থেকে নাস্তিকতায় আসা বেশ কঠিন ব্যাপার হলেও "র্যাশনাল ইসলাম"-এর সাংগঠনিক প্রচেষ্টায় অন্য ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরকরণ ততটা কঠিন নয়। বেলজিয়ামের ৬৫% জনগণ জন্মসূত্রে বিশ্বাসী খ্রিষ্টান। ধর্ম সম্পর্কে এরা গভীর জ্ঞানী নয়। এরা এমনিতেই আস্তিক, তাই যদি একটু র্যাশনাল ওয়ে-তে মানে কিছু যুক্তি প্রয়োগ করে এদেরকে খ্রিষ্টান ধর্মের অসারতা আর ইসলামের সারতা বোঝানো হয়, তাহলেই এরা মুসলিম হয়ে যাবে। এর একটি তাজা উদাহরণ হচ্ছে সঙ্গীতশিল্পী "ক্যাট স্টিভেন্স" তথা "ইয়ুসুফ ইসলাম", যিনি মুসলিম হয়ে ইসলামিক গান গেয়ে মুসলিমদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়।
হালের র্যাশনাল ইসলাম তথা কোরানে বিজ্ঞান খোঁজার ট্রেন্ড কীভাবে এল? সৌদি শেখ 'আবদুল মাজিদ আল জিনদানি' প্রথম এই র্যাশনাল ইসলামের প্রক্রিয়াটা শুরু করেন। ১৯৮৪ সালে সৌদি সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যারিটি ফান্ড-টি আয়ত্ত করে তিনি "কোরান ও সুন্নাহে বৈজ্ঞানিক নিদর্শন এর কমিশন" গঠন করেন। এই কমিশনের টাকায় মরিস বুকাই, কিথ মুর ইত্যাদি ডাক্তার/বিজ্ঞানীগণ কোরানে বিজ্ঞান খোঁজা শুরু করেন।
এরপর তো ইতিহাস, তাদের বই ধার্মিক দুনিয়ায় সাড়া ফেলে দেয়। এই দু'জনকে দিয়ে শুরু হলেও পরে অনেক নাম না জানা বিজ্ঞানীর পেছনে অঢেল টাকা খরচ করা হয়েছে উক্ত কমিশন থেকে। হালের হারুন ইয়াহিয়া আর জাকির নায়েক একই রকম কাজ করে যাচ্ছে। হারুন ইয়াহিয়ার মূল্যবান কাগজের সুন্দর দেখতে বইগুলো কিন্তু অনলাইনে অর্ডার দিলে বিনামূল্যেই পাওয়া যায়। এর খরচ আসে কোত্থেকে ভেবে দেখুন। এই কমিশন ইতিমধ্যে টেনস অব বিলিয়ন্স ডলার খরচ করেছে এসব কাজে।
এরপর তো ইতিহাস, তাদের বই ধার্মিক দুনিয়ায় সাড়া ফেলে দেয়। এই দু'জনকে দিয়ে শুরু হলেও পরে অনেক নাম না জানা বিজ্ঞানীর পেছনে অঢেল টাকা খরচ করা হয়েছে উক্ত কমিশন থেকে। হালের হারুন ইয়াহিয়া আর জাকির নায়েক একই রকম কাজ করে যাচ্ছে। হারুন ইয়াহিয়ার মূল্যবান কাগজের সুন্দর দেখতে বইগুলো কিন্তু অনলাইনে অর্ডার দিলে বিনামূল্যেই পাওয়া যায়। এর খরচ আসে কোত্থেকে ভেবে দেখুন। এই কমিশন ইতিমধ্যে টেনস অব বিলিয়ন্স ডলার খরচ করেছে এসব কাজে।
উপরোক্ত গায়ক ইয়ুসুফ ইসলামের ওয়েব পেজে গেলেই দেখা যায়, মরিস বুকাই-এর বই পড়ে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছেন। বেচারা হয়তো জানেনও না যা মরিস নিজেই ইসলাম গ্রহণ করেননি! এছাড়া এই কমিশনের ফাউন্ডার আবদুল মাজিদ জিনদানির ভণ্ডামিটাও জেনে রাখা যাক। তিনি "অল্প বয়সী মেয়ে বিবাহ নিষিদ্ধের আইনের" চরম বিরোধিতাকারী, তিনি ভণ্ড বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করেছেন যে, নারীরা একইসাথে চিন্তা আর কাজ করতে পারে না, তাই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব এদের দেয়া ঠিক না, তিনি নাকি এইডসের চিকিৎসাও আবিষ্কার করে ফেলেছেন ।
বেলজিয়ামের নারীরা আসলে জানেই না যে, ইসলাম কতটা নারীবিদ্বেষের ধর্ম। তারা কোরানে কিছু বিজ্ঞান আর ইসলামের অল্প কিছু সুন্দর জিনিস দেখেই মুসলিম হয়েছে। তবে আমেরিকার রেকর্ড বলে, এই ধরনের অনেক কনভার্টেড মুসলিম শেষ পর্যন্ত তাদের ইসলামিক বিশ্বাস ধরে রাখতে পারে না। অনেকে নিজের গরজেই আরেকটু জানতে গিয়ে ফাঁকিটা ধরে ফেলে, আর অনেকে অন্যের সহায়তায় বুঝতে পারে।
আমাদের নাস্তিকদের হয়তো বড় ফান্ড নেই, তবে ইন্টারনেট আছে, এটা দিয়েই সকল মিথ্যা ঘায়েল হবে একদিন।
আমাদের নাস্তিকদের হয়তো বড় ফান্ড নেই, তবে ইন্টারনেট আছে, এটা দিয়েই সকল মিথ্যা ঘায়েল হবে একদিন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন