লিখেছেন কবীর উদ্দীন
৪৫৬.
আগেকার যুগে রাখাল, চাকর-বাকর ও গণ্ডমূর্খরা পয়গম্বর, অবতার এবং ইত্যাদি নামের প্রেরিত পুরুষ হতো। এখনকার যুগে কোনো জ্ঞানী-বিজ্ঞানী কেন প্রেরিত পুরুষ হন না? স্রষ্টারা কেন সব সময় মূর্খদেরকে তাদের প্রেরিত পুরুষ হিসেবে বেছে নিতো? জ্ঞানী লোকদেরকে কি তাদের অনেক ভয়?
৪৫৭.
মহাব্যাড নবী মুরতাদ হলে দোষ নেই। অন্য কেউ মুরতাদ হলে দোষ কেন?
৪৫৮.
বিদ্যাপ্রকাশ প্রকাশনীর কর্ণধার মুজিবুর রহমান খোকাকে আপনাদের মনে আছে কি? তসলিমা নাসরিনের নির্বাচিত কলামসহ আরো কয়েকটি সাহসী বই এবং অন্যান্য লেখকদের প্রথাবিরোধী লেখা তাঁর প্রকাশনী থেকে প্রকাশ করে তিনি এক সময় দুঃসাহসের পরিচয় দিয়েছিলেন। মুক্তচিন্তক ছিলেন তিনি সে সময়। তসলিমার নির্বাচিত কলাম খোকার উদ্যোগেই প্রকাশিত হয় এবং নামটিও তাঁর দেওয়া। সেই সময়কার মুক্তচিন্তার অধিকারী বিদ্যাপ্রকাশের কর্ণধার সাহসী খোকা বেশ কিছুকাল আগে তার কর্ণে ধরে তওবা করেছেন, মুক্তপথে তিনি আর হাঁটবেন না, ওই রকম শয়তানী চিন্তাভাবনাও আর করবেন না। তিনি এখন নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করেন। ছালাত আদায় করতে করতে তিনি তাঁর ললাটে হাজরে আসওয়াদের মতো কালো দাগ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন।
৪৫৯.
- সবাই মুখ দিয়ে খায়। শিব যৌনাঙ্গ দিয়ে খায় কেন?
- ওই অঙ্গ ছাড়া শিবের আর কোনো অঙ্গ নেই, তাই। বেচারা!
৪৬০.
পবিত্র রমজান মাসে আল্যাপাক নাকি শয়তানকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে, যাতে কেউ কুফরি বা কোনো প্রকারের অনৈসলামিক কর্মকাণ্ড করতে না পারে। আমি পুরোদমেই কুফরি করে যাচ্ছি অনায়াসে। শয়তান ও আমার কাছে আল্যাপাক ন্যাক্কারজনকভাবে পরাজিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন