লিখেছেন অর্ণব খান
অজ্ঞতার কারণে অনেকেই অভিযোগ করে যে, বিবর্তনতত্ত্ব প্রমাণ করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বিবর্তন পরীক্ষাগারে প্রমাণ করা যায়। কীভাবে? বিবর্তন হওয়ার জন্য চারটি ঘটনা ঘটতে হয়, যা পরীক্ষাগারেও করা যায় এবং একই ফলাফল পাওয়া যায়।
১. প্রাকৃতিকভাবে জিন মিউটেশন হতে হবে।
প্রমাণ: প্রাকৃতিকভাবে জিন মিউটেশন হয়, এটা যে কেউ পরীক্ষাগারে হাজার বার প্রমাণ করতে পারে। ছয় আঙুল বিশিষ্ট শিশুর জন্ম প্রাকৃতিক মিউটেশনের উদাহরণ। এ ধরনের শিশুর জিন প্রোফাইল চেক করলেই বলে দেয়া যায়, ঠিক কোন জায়গায় মিউটেশন হয়েছে।
২. মিউটেশনের ফলে প্রাণীদেহে দৈহিক পরিবর্তন হতে হবে।
প্রমাণ: পরীক্ষাগারে মিউটেশন করে দৈহিক পরিবর্তনের হাজার হাজার উদাহরণ বিদ্যমান। যেমন নিচের ছবিতে (A) মিউটেশন করে ফড়িং এর একজোড়া পাখনা বেশি পাওয়া গিয়েছে।
৩. এক জাতীয় প্রাণীদেহে মিউটেশনের ফলে ভিন্ন জাতীয় প্রাণীর অঙ্গ উদ্ভূত হতে হবে।
প্রমাণ: পরীক্ষাগারে মিউটেশন করে অসংখ্য ট্রান্সজেনিক প্রাণী তৈরি করা হয়েছে। যেমন, নিচের ছবিতে (B) ইঁদুরের জিনে মিউটেশন করে মানুষের কানের জিন দেয়ার পর দেখা যায় ইদুঁরের পিঠে মানুষের কান গজায়। এছাড়া প্রাকৃতিক মিউটেশনের কারণে নিচের ছবির (C) মত সাপের দেহে পাখির মত পা গজাতে পারে।
৪. অনেকগুলো মিউটেশনের সামগ্রিক কারণে এক প্রজাতির প্রাণী থেকে ভিন্ন প্রজাতির প্রাণী জন্মাতে হবে।
প্রমাণ: পরীক্ষাগারে জিনসেট পরিবর্তন করে এক প্রজাতির প্রাণীর গর্ভে ভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর ভ্রূণ সৃষ্টি করা গিয়েছে। জিনের নির্দেশনাতেই জীবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ তৈরি হয়, কোনো প্রাণীতে অর্ধেক কুকুর আর অর্ধেক সিংহের জিন থাকলে সে প্রাণীটি দেখতে কেমন হয়, তার সত্যিকারের ছবি (D) দেখলেই ব্যাপারটাতে আর সন্দেহের কোন অবকাশ থাকে না।
বিবর্তনতত্ত্ব একটি প্রমাণিত সত্য। ধার্মিকেরা শুধু তাদের ধর্ম বাঁচাতে এই সত্য অস্বীকার করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন