৪০৩.
এখন বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত, অনুন্নত আর অশিক্ষিত দেশগুলোতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা আর ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে অপবিত্র মাহে রমজান। মাসব্যাপী অতিরিক্ত তেল আর ঘুষ খেয়ে রহমত, মাগফিরাত আর নাজাতের এবাদত করে তারা আবারো বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দেবে - তাদের এখনো মাথা নষ্ট, ম্যান।
৪০৪.
রোজা রেখে ঘুষ খাওয়া গেলে আর মিথ্যা কথা বলা গেলে শুকরের গোস্ত দিয়ে সেহরী আর রেড ওয়াইন দিয়ে ইফতারি করা যাবে না কেন?
৪০৫.
কীভাবে রোজা রাখবেন: রোজা রাখা অবস্থায় হাত, পা, চোখ, কানসহ পুরো শরীরও যাতে রোজা রাখে, এমন কাজ করতে হবে। অর্থা, এমন যাতে না হয় যে, রোজা রাখা আর না রাখা দুইটাই সমান হয়ে যায়। শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে গুনাহ থেকে হেফাজত রাখতে হবে। টেলিভিশন দেখা, নাটক শোনা, ইন্টারনেট ব্যবহার করা, গল্প ও উপন্যাসের বই পড়া, বেপর্দা নারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ইত্যাদি কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। সোজা কথায় - সারা দিন না খাইয়া মসজিদের ভিতরে ঝিম মাইরা বইসা থাকতে হবে।
৪০৬.
রোজা: যে মাসে যেখানে-সেখানে মিনিটে একবার থুথু ফেলা হয়, সেটাই মহা পবিত্র রোজার মাস।
ফজিলত: পার্শ্ববর্তী রোজাদারের মুখের দূঃগন্ধে আপনি নাক সিটকালে কি হবে? এই গন্ধই আল্লাহর কাছে বেহেস্তের মিস্কের গন্ধের মত দামী।
সংযম: আমার মতো যারা দিনে দুইবার খাবার খান, আর প্রতি ঘন্টায় পানি পান করেন, তাদের এ বছরও রোজা রাখার দরকার নাই।
সেহরী: গভীর রাইতে দুধকলা দিয়া ভাত খাওয়ার জন্য লাফ দিয়া উঠলেনই না, আপনার ঈমানে প্রবলেম আছে, রোজা হালকা হইয়া যাবে।
ইফতার: বড় বাপের পোলারা খায়, গ্যাষ্টিকের ডাক্তাররা পয়সা কামায়।
তারাবী: তারাবীর নামাজ সম্পর্কে আল্লাহর কোনো ধারণাই নাই। মোহাম্মদ নিজেই কখনো তারাবীর নামাজ পড়ে নাই। তারাবী হচ্ছে দরিদ্র মুসলিম রাষ্ট্রের হাফেজ সম্প্রদায়কে বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রচলিত ধর্ম ব্যবসা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন