আলী সিনা-র Understanding Muhammad নামের বই থেকে একটি অধ্যায়ের অনুবাদ করেছেন Elijah Neo
শারীরিকভাবে মুহাম্মদ অসুস্হ প্রকৃতির ছিলেন। বোখারী শরীফের ৭:৭২:৭৯৩ হাদিসে আনাস বর্ণনা করিয়াছেন:
নবী (সাঃ)-এর মাথা ও দু’পা ছিল মাংসবহুল। তাঁর আগে ও তাঁর পরে আমি তাঁর মত অপর কাউকে দেখিনি। তাঁর হাতের তালু ছিল চওড়া।
কেবল বিকটাকায় হস্ত-পদই নহে, তাঁহার মুখায়বেও অসঙ্গতি ফুটিয়া উঠিয়াছিল। ইমাম-আল-তিরমিযী তাঁহার কিতাবুল মানাকিব বহিতে কতিপয় হাদিস সংকলিত করেন, যাহা মুহাম্মদের শারীরিক বৈশিষ্ট্যগুলি তুলিয়া ধরে। অবশ্য মুহাম্মদের উম্মতগণ তাঁহার সৌন্দর্য চন্দ্রের সৌন্দর্যকে ছাড়াইয়া গিয়াছিল বলিয়া বিশ্বাস করেন, তাঁহার চন্দ্রাকায় মুখায়ববের কাছে অন্য সকলকে ম্লান বিমর্ষ মনে হইত বলিয়া মানিয়া চলেন। এইসব না বলিয়া বরং তিরমিযীর ভাষ্যমতে "মুহাম্মদ সুরত" বর্ননা করি।
আলী বর্ণনা করিয়াছেন:
মুহাম্মদ লম্বাও ছিলেন না, খাটোও ছিলেন না। তার হাত-পায়ের আঙুলগুলো মোটা চওড়া ছিল। তার বুকের ছাতি থেকে নাভি পর্যন্ত চুলের সরু দাগের মতো ছিল। যখন তিনি হাঁটতেন, প্রকৃতই তিনি সামনের দিকে ঝুঁকে থাকতেন - যেন তিনি কোনো উঁচু স্হান হতে নিচে নামছেন। তাঁর আগে পরে তাঁর মতন আর কাউকে আমি কখনও দেখিনি। তাঁর মাথা ও দাড়ির থুতনি বিশালাকায় ছিল।
অন্য এক হাদিসে এই একই বর্ণনাকারী বলিয়াছেন:
তিনি মধ্যম উচ্চতার ছিলেন। তার চুল কিছুটা কোঁকড়ানো ছিল। তার মুখাকৃতি গোলাকার ছিল। তিনি ফর্সা ছিলেন। তার গায়ের বর্ণে রক্তিমাভ আভা ছিল। তার চোখগুলো ছিল খুবই কালো, আর তার চোখের পাপড়িগুলো ছিল অনেক লম্বা। তার কাঁধ খুবই চওড়া ছিল। তার হাত পায়ের আঙ্গুলগুলো মোটা মোটা ছিল। তিনি হাটার সময় পা তুলে তুলে হাটতেন, যেন কোনো ঢাল ধরে নামছেন। তিনি যখন কারো দিকে ফিরতেন, তখন তিনি সম্পূর্ণ শরীরটাকে তার দিকে ঘুরিয়ে ফিরতেন। তাঁর ঘাড় দেখে মনে হতো যেন রৌপ্যে মোড়ানো কোনো মূর্তির ঘাড়। তাঁর শরীর ছিল মাংসল পেশীবহুল, বুক আর পেট ছিল সমান। তার চওড়া কাঁধ ছিল। কাপড় সরালে তার হাত-পাগুলো তৈলাক্ত দেখাত। তার হাত, কাঁধ এবং ঊর্দ্ধাঙ্গ লোমশ ছিল। তাঁর হাতদুটো ছিল লম্বা, হাতের তালু ছিল চওড়া, তাঁর হাত-পায়ের আঙুলগুলো মোটাসোটাভাবে ছড়িয়ে থাকত। তাঁর পা এতই মসৃন ছিল যে, তা দিয়ে সহজেই পানি গড়িয়ে পড়ত।
(চলিবে)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন