শুক্রবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৪

ইসলামী সংস্কার ও তার বৈগ্যানিক কার্যকারণ - ০২

লিখেছেন শ্মশান বাসী

আসুন, ইসলামের কিছু সংস্কার নিয়ে কথা বলি। তবে আগেই বলে রাখি, এগুলোতে কোরান-হাদিসের কোনো সমর্থন আছে কি না, আমার জানা নেই। তবে মুর্খ মুমিনের দল এসব শ্রদ্ধার সাথে পালন করে, কারণ স্থানীয় হুজুরেরা এভাবেই শিক্ষা দেয়।

৩.
শুয়োর কে কখনো শুয়োর নামে ডাকা যাবে না, এতে নাকি চল্লিশ দিন মুখ নাপাক থাকে হুজুরদের বয়ান। শুয়োরকে জঙ্গি বা মেথর বাড়ির খাসি নামে ডাকে। 
এর যৌক্তিকতা কতটুকু জানি না। 

৪.
যদি ঘরের বৌ কুরান-হাদিস না জানে, তাইলে নাকি বাপ-বেটায় গু অর্থাৎ মানুষের মল খায়। ওয়াজে হুজররেরা প্রায়ই বলে। ব্যাখ্যা জানতে চাইলে বলে, যদি ঘরের বউয়ের কোরান-হাদিসের শিক্ষা না থাকে, তবে নাকি টয়লেট করার পর ঢিলা না নিয়া শুধু পানি দিয়া ধৌত করে ফেলে, এতে নাকি হয় না। হাতে নাকি মল লেগে থাকে, আর রান্নাবান্নার সময় তা খাবারে মিশে যায়, আর তা সমস্ত পরিবারে খায়। 

সাবান বা ছাই দিয়ে হাত ধোয়ার পরে কীভাবে মল হাতে লেগে থাকে, তা বলতে পারি না। তবে এটা বুঝতে পারছি না, মহিলাদের শৌচকরণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে কোরান-হাদিস জানার কী সম্পর্ক। এগুলোকে কি সংস্কার বলবো না কুসংস্কার বলবো, বুঝতে পারছি না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন