আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০১৪

নিঃসীম নূরানী অন্ধকারে - ৯৭

লিখেছেন কবীর উদ্দীন

৪৮১.
দেশে পর্যাপ্ত বিদ্যাগার নেই, পাঠাগার নেই, বিজ্ঞানাগার নেই, সঙ্গীতাগার নেই, শিল্পাগার নেই, চিকিৎসাগার নেই। কিন্তু প্রতিদিন য়াল্যাগার, ঈশ্বরাগার, ভগবানাগার প্রভৃতি নামে বাড়িঘর স্রষ্টাদের জন্য তাদের সৃষ্টিরা বানিয়ে বানিয়ে দেশের ভূমি, অর্থ ও পরিশ্রমের বেসুমার অপব্যয় করে যাচ্ছে। এতে কারুর অপকার ছাড়া উপকার কী হচ্ছে, শুনি?

৪৮২.
ধর্ম এমনই আফিম যা খেলে মানুষ এমন বিবেকবিবর্জিত হয়ে ওঠে যে, অমানুষেরও অধম ধর্মপ্রবর্তকেরা ও তাদের প্রবর্তিত জঘন্য জিনিসগুলিই তাদের কাছে পরম পূজ্য হয়ে যায়।

৪৮৩.
হজ্জ করে আসার সময় হাজীরা জম জমের পাক পানি নিয়ে আসে। পরে তা আত্মীয়-স্বজনের মাঝে বিতরণ করে; পাক স্থানে যারা পৌঁছাতে পারেনি, তাদের মনোবেদনা কিছুটা লাঘব করে, তাদেরকে পাক পানি পান করিয়ে আরও কিছুটা ছওয়াব লাভের আশায়। এক বোতল সাধারণ অ-পাক পানির সাথে একবিন্দু জম জমের পানি মিশিয়ে ওরা কাছের লোকজনদেরকে দেয়। ও রকম এক বোতলে একবিন্দু পাক পানির মিশ্রণ যারা পেয়ে থাকে, তারা খুশি ও পাক অনুভূতিতে লাফাতে লাফাতে বাড়ি এসে একগ্লাস সাধারণ অ-পাক পানির সাথে বোতলের একবিন্দু পাক পানি মিশিয়ে নিয়ত করে খেয়ে ইহকাল ও পরকাল ধন্য করে। এবং তাদের ঘনিষ্ঠজনদেরকে এক গ্যালন অ-পাক পানির সাথে পরমাণু পরিমাণ পাক পানি মিশিয়ে বিতরণ করে। এভাবে পানির সাথে পাক পানির ভেজাল দিয়ে পানি বিতরণ করে ছওয়াব লাভের চেইন প্রক্রিয়া চলতে থাকে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, হজ্জে গিয়ে এক গ্যালন জম জমের পাক পানি এনে তা বঙ্গোপসাগরের অ-পাক পানিতে ঢেলে দেবো। তাহলে পুরো বঙ্গোপসাররই জম জম হয়ে যাবে। বাংলাদেশের মানুষের আর খরচ ও কষ্ট করে মক্কায় যেতে হবে না।

৪৮৪.
দূর্গা দেবীর হাত দশটা, অপরদিকে আল্লার হাত একটাও নেই। স্রষ্টাদের যারা সৃষ্টি করেছে, তাদের এ কেমন অবিচার! এ কেমন পক্ষপাত! এই অবিচার মানি না, মানবো না। কারুর দশ হাত থাকবে, আর কারুর একটাও না; তা হবে না, তা হবে না।

৪৮৫.
বাংলাদেশে ৩য় শ্রেণী থেকে ৯ম-১০ম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তকে নাকি ধর্ম ও নৈতিকতা নামে একটা হাসির ব্যাপার অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। তা ধর্ম যখন এতই নৈতিকতাপূর্ণ, তখন ধর্মীয় নৈতিকতাগুলো ছেলেমেয়েদের মাধ্যমে প্র্যাকটিকেল করানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে না কেন? দাসী ধর্ষণ, চোরের হাত কর্তন, চক্ষু উৎপাটন, বৌ পেটান, যুদ্ধবন্দিনী ধর্ষণ, বিধর্মীদের হাত-পা কর্তন ইত্যাদি নৈতিক কর্মগুলো ছাত্রছাত্রীদের মাধ্যমে নিত্য প্র্যাকটিকেলের দাবি জানাচ্ছি বাংলাদেশ সরকার তার শিক্ষামন্ত্রী ও যারা পাঠ্যপুস্তকে এই ভালু বিষয়টি অন্তর্ভূক্তকরণে জড়িত ছিলেন তাদের বরাবরে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন