লিখেছেন অ্যাডমিন, যুক্তি
আমার অনেক হিন্দু বন্ধুদের কাছ থেকে শুনেছি, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে “বিষ্ণু, ব্রহ্মা, অগ্নি ও সূর্যকে সাক্ষী রেখে, সাত পাকে বেধে বর (পুরুষ) প্রকৃতিকে (স্ত্রী) গ্রহণ করার অনুষ্ঠান হলো বিবাহ।” সম্পত্তিতে ‘উত্তরাধিকার’ ধারণাটি তৈরি হওয়ার পর থেকেই মূলত বিবাহ রীতিটি সমাজে জোরদার হয়েছে। হিন্দুদের মধ্যে বহু ধরনের বিবাহরীতি প্রচলিত রয়েছে। আমি ব্রহ্মা-বিষ্ণুর খবর বলতে পারি না। এসব চরিত্র আমার কাছে রূপকথার গল্পের মতোই।
কিন্তু আমি কনফিউজড সূর্য এবং অগ্নিকে নিয়ে। প্রাগৈতিহাসিককালের কথা বাদ দিলাম। এই যে একুশ শতকের উচ্চশিক্ষিত হিন্দু নারী-পুরুষ, তারা এখনো কীভাবে আগুন-সূর্যকে সাক্ষী রেখে বিয়ের পিড়িতে বসে? সূর্য, অগ্নি এগুলো তো জড় পদার্থ। আগুন হচ্ছে এক ধরনের শক্তি। আর আমাদের মহাকাশে সূর্য হচ্ছে কতগুলো গ্যাসের সমন্বয়ে গঠিত একটি নক্ষত্র মাত্র। সূর্যের ভেতরের মূল রাসায়নিক উপাদান হচ্ছে, হাইড্রোজেন - ৯২.১%, হিলিয়াম - ৭.৮%, অক্সিজেন - .০৬১%, কার্বন - ০.০৩%, নাইট্রোজেন - ০.০০৮৪%, নিয়ন - ০.০০০৭৬%, লৌহ - ০.০০৩৭%, সিলিকন - ০.০০৩১%, ম্যাগনেসিয়াম - ০.০০২৪%, সালফার - ০.০০২৫% এবং অন্যান্য - ০.০০১৫%। সূর্যের চেয়ে হাজার গুণ বড় এবং আলোকজ্জ্বল নক্ষত্র রয়েছে এ মহাবিশ্বে।
এখানে প্রশ্ন হচ্ছে: এই জড় গ্যাসীয় পিণ্ড কী করে জীবন্ত মানুষের বিবাহে সাক্ষী হয়ে থাকতে পারে? কোনো কাজে কেন সাক্ষী রাখতে হয়, সেটা আমরা ভালো করেই জানি। তাহলে বিবাহের পর নারী-পুরুষের সংসারে সমস্যা হলে কার কাছে সাহায্য চাইবে? কাকে সাক্ষী মানবে? কে তাকে সহায়তা করবে? সূর্য নামক গ্যাসীয় পিণ্ড আর আগুন নামের শক্তি কী করে একজন কাণ্ডজ্ঞানসম্পন্ন মানুষের বিয়ের সময় সাক্ষী হতে পারে? সূর্য-অগ্নিকে কী করে, কী ভেবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পূজা করে?! মাথায় ঢোকে না আমার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন