মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০১৪

আল্লাহর জীবনে বিবর্তন ঘটি গেসে

লিখেছেন বাংলার উসমান মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ ইসলাম

"আল্লাহ" সম্পর্কে আমরা যে শিক্ষা পেয়েছি তা ভুল। ঈমান্দারগন সাবধান! আমাদের "আল্লাহ" এবং ইহুদি ধর্মালম্বী ও খ্রিষ্টান ধর্মালম্বীদের সৃষ্টিকর্তা এক নন, উভয়ের বৈশিষ্ট্য ভিন্ন...

আসলে হইসে কি, বিবর্তনের ছোঁয়া যে "আল্লাহ সুবহানু ওয়াতালা"র জীবনেও ঘটি গেসে, সেটা তোমরা অনেকেই হয়ত এখনো খিয়াল করো নাই।

আমাদিগকে প্রক্রিত ঈমান্দার প্রমান কোইত্তেই ৪ খানা কিতাবের মধ্যের "তাওরাত", "ইঞ্জিল"-এ বিশ্বাস আনতে হয়। অথসো, এই ধর্ম গ্রন্থে রাব্বুল আলামিনকে সবাই 'YHWH' বলি ডাকত। কারন তিনিই বলেসেন তাঁকে কেবল এই নামেই ডাকতে। নয়ত ব্লাসফেমাস।

রাব্বুল আলামিনের জন্মপ্রকাশের সময় স্বরচিত প্রাপ্ত নাম "YHWH"-টা হাজার বছর ধরি বিবর্তন-এর গেঁড়াকলে আটকা ফড়ি, হয়ত ডারউইনের তত্ত্বকে প্রমান কোইত্তেই পবিত্র কোরানে উঠি আসে নাই। ডেভেলপড হয়েসে "আল্লাহ" নাম হিসাবে!

হজরত মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহি ওয়া সাল্লাম হয়ত আমাগের কতা দরদের সাথে ভেবেই সৃষ্টিকর্তাকে ডাকাডাকিতে উনার উম্মতদের যাতে দাঁত ভাংগি না যায়, সেইটা বিবেসনা করিয়াই একটা সহজ ও অমায়িক নাম খুঁজসিলেন। বোধহয় সে কারনেই তুলনামূলকভাবে আধুনিক আমাগের রাসুল, প্রাগৈতিহাসিক যুগের সেই vowel-বিহীন স্রষ্টা "YHWH" নামক কাটখোট্টা নামটার সাথে আমাদিগকে ফরিসয় করান নাই। তিনি বরং উনার সমকালীন প্রতিবেশি প্যাগানদের চন্দ্র দেবতা Hubal যাঁর অন্য নাম "আল্লা" নামটা ধার করি নেন।

বস্তুত,সব ধর্ম ত আল্লাহর। এবং সে হিসাবে আল্লাপাককে অন্য ধর্মাবলম্বীদের গড এর নামে ডাকা যাবে। তাই ত ডাকতর জাকের নায়ক বলেসেন, আল্লাহকে "বিষনু" নামে ডাকা যাবে!

তবে জাকির নায়কের কতা মানতে গিয়া আল্লাহকে আবার "স্বরসতী" বলি ডাকিয়েন না। মহিলা নাম ত!

এদিকে চালস ডারউইন নামের দারিওয়ালা এক বিজ্ঞানবিদ নিকি মনে করেন বিচিকলা, মানুষ, বান্দর, ইলিশ মাছ, শিমফাঞ্জি সবাই শরিলের DNA-র পার্থক্য অনুসারে কাসে দূরে সম্পর্ক স্থাফন করে। উনি বোইলতে সান, আমাগের সবাইর নাকি একই পূর্বফুরুষ। বিলিয়ন বসরের বিবর্তনে তাই আমরা কেউ মনুষ্য ফ্রজাতির এবং কেউবা অন্য ফ্রজাতিতে বিবর্তিত। রাস্তায় বহুকাল ধরিয়া আবোলতাবোল ঘুইত্তে থাকা একটা পাগলের চুল জট ফাকাইয়া চুলের গোছা যে গাছের বাকলে ফরিবর্তন হয়, সেটা অ বিবর্তনের একটি সংকিপ্ত রুপ কিনা তা ডারউইন শাবকে জিকগেস কোইত্তে মন সায়।

ইহুদি ধর্ম গ্রন্থে সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে আমরা যে বর্ননা ফাই, সে বর্ননা যেহেতু ফ্রায় ৩ হাজার বছর পর, বর্তমানের ইসলাম ধর্মে "আল্লাহর" মাঝে ফাচ্ছি না, সেহেতু আমাদিগকে স্বীকার কোইত্তেই হবে যে, আল্লাহতালাকেও বিবর্তনে ধরেসে!

ইহুদি ধর্ম থিকা কিন্তুক ডাইরেক ইসলাম ধর্মে আসি আল্লাহপাক উনার রুপ ফাল্টিয়েসেন তা কিন্তু নয়।

তিনি যখন খিশটান ধর্মাবলম্বিদের নিয়ে কাজ কারাসেন, তখন তিনি Trinity-র একজন আছিলেন; অর্থাত Father, son, holy spirit নামক একটা সার্কেলভুক্ত পারসোনালিটির অংশ সিলেন।

উনার পূত্র আছিলো!

আর আজ বিবর্তনে বিবর্তনে তিনি jesus নামক উনার পূত্রের কথা ভুলি গেসেন, বা তিনি বলি থাকেন এখন কারো সাথে অংশিদারিত্ব নাই উনার আর। যাদেরকে দিয়ে তিনি সর্বফথম জাগতিক কাজ শুরু কারাসিলেন সেই চুজেন ইহুদিদের বেফারে পবিত্র কুরানে এরশাফ করেন, এরারে ফালাই দাও যুদি তারা ইমান না আনে।অথসো একসময় তিনি ফতিশোধের কথা বোইলতেন না। ভালোবাসার জালে ফেলি মন্দকে অ ভালোলুক বানিয়ে ফেলতেন।

এমনকি তিনি এখন আগের মতন বান্দাদের সাথে মিশতে সান না, যেমন করি মিশতে সাইতেন ইহুদি-খিশটানদের সাথে। তিনি এখন রহইশ্যে থাকতে ফসন্দ করেন। প্রচারবিমুখ।

হায় রে বিবর্তন!

তমরা যারা এখন আমার সাথে শামিল হইবা না, তারা ত মূলত আল্লাপাকের বিবর্তন অস্বিকার করিয়া ডারউইন তত্ত্বকে সৃষ্টি ধারনায় প্রাইওরিটি দিবা না। ফলে তমরা ইসলাম ধর্ম ও নবী অবমাননাকারিদের দলে ফড়ি যাবা। কারন, আল্লাহপাকের বিবর্তন অস্বিকার কোইরগা তুমি "শীরক" করতেসো, এইভাবে ইব্রাহীম (আ) এর অন্য ধর্ম যেমন খিশটান ধর্মে বিশ্বাস আনতে গেলে তোমায় Jesus বা ইসা (আ) কে ইশ্বর ফূত্র মানতে হবে।এবং ৩ টা পারসনালিটি মিলিয়া গড - এটায় বিশ্বাস কোইত্তে হবে!! যা মূলত শীরক!

আল্লাহপাকের বিবর্তন তত্ত অবহেলা করিয়া এবং খিশটানদের বাদ দিয়া যুদি আব্রাহামিক রিলিজিয়ন-এর প্রথম ধর্ম ইহুদি ধর্মেতেই কেবল বিশ্বাস আনিয়া স্থির হই থাইকতে সাও, তাতেও নিস্তার নাই। আমাগের "আল্লাহ" ও তাদের "YHWH" এর attributesগত বেফোক পার্থক্য আছে।

এইবার এইটা তোমরার বুঝ, তোমারা "বিবর্তনবাদ" মানি নিবা, নাকি না মানি আল্লাহর সাথে "শিরক" কোইরবা!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন