লিখেছেন শ্মশান বাসী
মূল ভাব: যদি না থাকে ধর্মের ষাঁড়, নাস্তিকতার চারণভূমির কী দরকার?
কবি: শ্মশান বাসী।
ভাব-সম্প্রসারণ:
ইন্টারনেটে ফেসবুকের কল্যাণে বিশ্বময় নাস্তিকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের এখন অজানাকে জানার পথ অনেক সুগম হয়েছে। একটু সার্চ দিন কী চাচ্ছেন, তা পেয়ে যাবেন। মানুষের জ্ঞানের পরিধি আরো অনেক বাড়ছে। বিশেষ করে ধর্মের ক্ষেত্রে। আগে হুজুরেরা যা বলতো তাই মুখ বুঁজে মেনে নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিলো না। কারণ এ ব্যপারে মানুষ খুব কম জানতো। আর এখনকার কথা চিন্তা করুন, ধর্মের বিরুদ্ধে কী ভয়ংকর সব যুক্তি! এমন সব যুক্তি দাঁড় করাচ্ছে নাস্তিকেরা, মুমিনদের তো মাথায় হাত। অফলাইনে তো যেমন তেমন, অনলাইনে তো ধর্মের পক্ষে কোনো যুক্তি নিয়ে দাঁড়াতেই পারছে না। বিজ্ঞানের কষ্টিপাথরে ধর্মকে পরীক্ষা করা হয়, আর তাতেই ধর্মবিশ্বাসের বিচি ফাটা বাঁশের চিপায় আটকা পড়ে।
যেমন, কোরান নাকি বিজ্ঞানময় এবং পৃথিবীতে যা কিছু আবিষ্কার হয়েছে, তার সব নাকি কোরানে উল্লেখ আছে। নাস্তিক যদি প্রশ্ন করে, বিজ্ঞান তো এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে, তা এমন একটা আবিষ্কারের কথা বলুন, যা কোরানে বলছে, কিন্তু বিজ্ঞান এখনো আবিষ্কার করতে পারেনি। তখনি মুমিন চুপ হয়ে যায়। আর কিছুই বলার থাকে না। কারণ বলার কিছু নেই তো!
কোরান তখনই বলতে পারে, যখন আবিষ্কারের বিষয়ে কোরান বা হাদিসের কোনো কথার দূর হতে দূরতম (অন্য প্রসঙ্গ হলেও) সাদৃশ্য পাওয়া যায়। তাই আগে থেকে কিছুই বলতে পারে না। এমন হলে কীভাবে হবে!
তারচেয়ে বরং নাস্তিকেরাই কিছু কিছু যুক্তি-প্রমাণ মুমিনদের জানিয়ে দিক, যেগুলো তারা নাস্তিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করবে। যেমন, কঠোর প্রমাণসহ মুমিনদের জন্য একটি প্রয়োগযোগ্য উদাহরণ: টাইম মেশিন।
"এখনো কল্পবিজ্ঞানে চলচ্চিত্রে বিচরণ কিন্তু এর ধারণা লেখকরা বা চলচ্চিত্রে নির্মাতারা পেয়েছিলো নবীজির মেরাজে গমনের কাহিনী থেকে।" যদি ভবিষ্যতে টাইম মেশিন আবিষ্কার হয়েই যায়, সফলতা কোরানের। আর যদি আবিষ্কার না হয়, আমি দায়ী নই।
মুমিনদের হাতে কোনো 'যুক্তি' না থাকার অর্থ বিনোদনহীন অনলাইন। তাই বিনোদনের স্বার্থে নাস্তিকদের উচিত হবে মুমিনদেরকে 'যুক্তি' সরবরাহ করা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন