রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৪

নিঃসীম নূরানী অন্ধকারে - ১০২

লিখেছেন কবীর উদ্দীন

৫০৬.
নবীজি একদা ফাতেমার বাড়ি গেল। উঠোন থেকে ডাক দিলো:
- কই রে ফাতেমা, এদিকে আয়। 
ফাতেমা আড়াল থেকে বললো:
- মহাবদ ভাইয়া আপনি কেমন আছেন? 
নবীজি অবাক হয়ে বললো: 
- কী রে মেয়ে, আমি তোর আপন বাপ। আমাকে ভাইয়া ডাকছিস কেন? আড়ালেই বা কেন আছিস? সামনে আয়। 
ফাতেমা আড়াল থেকেই জবাব দিলো:
- ভাইয়া, আপনি আমার স্বামীর বড় ভাই। আমার ভাসুর। ভাসুরকে ভাইয়াই তো ডাকবো। ভাইয়া, আপনার সামনে আমি যাই কেমনে? দেবর-ভাসুর বা যেকোনো গায়ের মাহরমের (যে সকল পুরুষের সাথে বিবাহ হারাম নয়) সামনে যাওয়া যে আপনি হারাম করেছেন! আপনি আমার ভাসুর, মানে গায়ের মাহরম। আপনার সামনে যাওয়া হারাম।

৫০৭.
ধর্মগুরুদের সবাইই অমানুষিক কুবুদ্ধিতে ভরপুর ছিল। তারা এমন সকল কুবুদ্ধি ও কুপ্ররোচনা প্রচার করে বিবেকহীন মানুষদেরকে এমনতরো অসাড় অন্ধ ও রোবট হয়ে থাকবার উপাদান ছড়িয়ে পৃথিবী দূষিত করে দিয়ে গেছে যে, ভীতু লোভী ও বিবেকবর্জিত মানুষেরা সমস্ত প্রমাণ তুচ্ছ করে দিয়ে চোখ থাকতে অন্ধ হয়ে সেসব অমানুষিকতা পালন করে যাচ্ছে।

৫০৮.
হে আল্ল্যা মাবুদ,
আপনি তো নাস্তিকদের দ্বারা এক্কেবারে নাস্তানাবুদ।

৫০৯.
গৌতম বুদ্ধ বলেছিলেন, সকল প্রাণী সুখী হোক। যেমন; 
- ময়ূর সুখী হোক, সাপ দুঃখী হোক
- সাপ সুখী হোক, ব্যাঙ দুঃখী হোক
- ব্যাঙ সুখী হোক, ছোটমাছ দুঃখী হোক
- বোয়ালমাছ সুখী হোক, পুঁটিমাছ দুঃখী হোক
- বাঘ-সিংহ সুখী হোক, হরিণ- জিরাফ দুঃখী হোক
- হরিণ-জিরাফ সুখী হোক, গাছপালা ঘাসলতাপাতা দুঃখী হোক
- মানুষ সুখী হোক, গরু ছাগল, মাছ, হাঁস মুরগি, শাকসব্জি দুঃখী হোক

৫১০.
য়াল্যাতালা বলেছে, অপচয়কারী শয়তানের ভ্রাতা। শয়তানকে জন্ম দিয়েছে য়াল্যা। এবং সকল অপচয় সংঘটিত হয় তার হুকুমেই। অতএব য়াল্যা শয়তানের পিতা কাম ভ্রাতা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন