লিখেছেন শ্মশান বাসী
মুক্তমনারা যতই একটি ধর্মবিহীন পৃথিবীর কল্পনা করুক না কেন, তা কখনই হবে না। বা হওয়া সম্ভব না। কারণ মানব শরীরের রক্তে শুগারের মতো ধর্ম নামক একটা রাসায়নিক পদার্থ মিশে আছে। যা সবাইকে ধর্মের গণ্ডির বাইরে যেতে বাধা দেয়।
তবে আমরা নাস্তিকরা কী? আমাদের রক্তে কি ধর্ম নামক রাসায়নিক পদার্থ নেই?
হ্যাঁ, ব্যতিক্রম তো কিছু আছেই , আর তা হলো জ্ঞান। রক্তে অতিরিক্ত শুগারে যখন জীবন বিপন্ন হওয়ার পথে, তখন ইনসুলিন নামক একটা রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এখানে জ্ঞান হলো ইনসুলিন। রক্তে জ্ঞান মিশে ধর্ম নামক পদার্থটাকে বেকার করে দেয়। আর আল্লাহ-ঈশ্বরের প্রতি অবিশ্বাস জন্ম নেয়। আর মানুষ নাস্তিক হয়ে যায়।
এখন প্রশ্ন আসে, জ্ঞানী মানুষের সংখ্যা তো অনেক, কিন্তু নাস্তিকের সংখ্যা কম কেন?
এখানে লক্ষ্য করলে দেখবেন, একটা মানুষ সব বিষয়ে জ্ঞান লাভ করে না। কেউ ডাক্তারি বিষয়ে জ্ঞান লাভ করে, কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে জ্ঞান লাভ করে, আবার কেউ বাস চালানোয় জ্ঞান লাভ করে। কিন্তু ধর্ম বিষয়ে কতজন জ্ঞানের সন্ধান করে? যারা ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান সন্ধান করে, তারাই নাস্তিক হয়।
তর্কের খাতিরে আবার হয়তো বলবেন, তবে মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা তো জীবন কাটিয়ে দেয় ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান লাভ করে, তাদের কতজন নাস্তিক হয়? হ্যাঁ, সঠিক পয়েন্ট, তারা বিশ্বাসের সাথে ধর্মচর্চা করে পরবর্তী জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে। তাদের ভেতরে সব সঠিকের একটা বীজ বুনে দেওয়া হয়। তার প্রভাবেই তারা এখানে কোনো ভুল খোঁজে না।
যদি তাদের বলা হতো, পড় এবং বাছাই কর কোথায় ভুল আর কোথায় সঠিক, তবে তারা ধর্মগ্রন্থগুলো ডাষ্টবিনে ছুঁড়ে ফেলতো। প্রত্যেকটা ছাত্র-ছাত্রী নাস্তিক হয়ে যেতো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন