লিখেছেন কবীর উদ্দীন
৫০১.
বিদ্যাসাগর হিন্দু পুরুষদের বহুবিবাহ বন্ধ করার জন্য ও হিন্দু বিধবা মেয়েদের পুনঃবিবাহ করার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বহু কষ্টে জীবন বাজি রেখে আইন পাশ করিয়েছিলেন। মেয়েদের পড়াশোনার জন্য অনেকগুলি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিভিন্ন অঞ্চলে, এমনকি গ্রামে-গঞ্জেও।
অপরদিকে কৃষ্ণ নামের এক লোক হিন্দু মেয়েরা গায়ের কাপড়চোপড় খুলে পুকুরে গোসল করতে নামলে তাদের কাপড় লুকিয়ে রেখে গাছের মগডাল থেকে স্নানরত নগ্নপ্রায় মেয়েদের দেখে দেখে তার লাম্পট্য চরিতার্থ করতো। মেয়েরা কাপড় ফেরত চাইলে তার লাম্পট্য আরও কয়েকগুণ বেড়ে যেতো তাতে। সে ফেরত দিতো না কিছুতেই। আজ হিন্দু রমণীরা তাদের সম্ভ্রম হরণকারী কৃষ্ণের পূজা করে। আর যাঁর কারণে তারা আজ শত সতীনের জ্বালা থেকে মুক্ত, যাঁর জন্য তারা বিধবা হবার পরেও চাইলে বিয়ে করতে পারছে, পড়ালেখা করতে পারছে, মানুষের মতো জীবনযাপন করতে পারছে; সেই মহান মানুষ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে আজ ক'জন হিন্দু রমণী চেনে?
৫০২.
প্রত্যেক পিতামাতাই তাদের সন্তানকে ভালোবাসে। একেকজনের ভালোবাসা একেক রকমের। যেমন, গৌতম তার ছেলেকে ভালোবাসতো মলমূত্রের মতন। তাই সে নিজের ছেলেকে মলমূত্রের মতন ত্যাগ করেছিল। ইব্রাহিম তার ছেলেকে ভালোবাসতো পাঁঠা বা শূকরের মতন। এজন্য সে তার ছেলেকে পাঁঠা বা শূকরের মতন জবাই করতে নিয়েছিল।
৫০৩.
য়াল্যা যখন মাটি দিয়ে আদমকে বানিয়েছিল তখন আদমের বয়েস যেন কত ছিল? য়াল্যার নিজের বয়েস কত ছিল? তার বর্তমান বয়েস কত?
৫০৪.
খাদিজা বিবি নবীজিকে ডাকলেন, কইরে মুহাম্মদ ভাতিজা? নবীজি জবাব দিলেন, এইতো আইতাছি ফুপুআম্মা খাদিজা।
৫০৫.
সিজিওফ্রেনিয়ার রোগীরা নাকি পশুপাখিদের কথাবার্তা বুঝতে পারে ব'লে দাবী ক'রে থাকে। অনেক পয়গম্বর অবতার দাবি করেছিল, তারা পশুপাখিদের কথাবার্তা বুঝতে পারে এবং তাদের সাথে কথোপকথনও চালিয়ে থাকে। তারা কি এই রোগে আক্রান্ত ছিল? আমার মনে হয়, তারা কেউ সিজিওফ্রেনিয়ার রোগী ছিল না। ছিল প্রচণ্ড রকমের মিথ্যুক ভণ্ড প্রতারক। নিজেদেরকে প্রেরিত পুরুষ প্রমাণিত করার জন্য তারা মানুষকে ওসব রূপকথার গল্প শোনাত। তাদেরকে পশুপাখিদের সাথে কথোপকথনরত অবস্থায় কোনো মানুষ কিন্তু দেখেনি কোনোদিন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন