আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০১৪

ধার্মিকেরা মূলত ধর্মাজ্ঞ

লিখেছেন ধর্মের ছলনা ফাঁস

"আপনার কি ঈশ্বরের ভয় নেই?" আমাকে বললেন জনৈক মহিলা। 

আমি তাঁকে সরাসরি বলতেও পারলাম না যে, "আপনি কি পাগল? যে ঈশ্বরের বিশ্বাসই করে না, সে কী করে ঈশ্বরকে ভয় পাবে?" 

কিন্তু আমি তাঁকে সেটা না বলে বললাম, "ঈশ্বরের ভয় পাব কোন দুঃখে?" 

মহিলা: কেন ভয় পাবেন না? তিনি আপনাকে সৃষ্টি করেছেন আর আপনি তাকে ভয় পাবেন না? 

আমি: ঈশ্বর থাকলে তো আমি ভয় পাবো, তাই না? 

মহিলা: মানে আপনি বলছেন আপনি নাস্তিক এবং আপনি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না, রাইট? 

আমি কনফিউজড হয়ে ভাবলাম, "মানুষের লজিক কত দুর্বল হয়। এরাই ঈশ্বর বিশ্বাস করবে না তো করবে কারা? আবার ভাবখানা দেখ, মনে হয় বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট। এমন ভাব করছে যেন বহু কষ্ট করে বুঝতে হয় যে আমি নাস্তিক।" কেন জানি না তাঁর ওপরে খুব রাগ হয়েছিল।  আমি মুখে বল্লাম: "তাইলে এত সময় পর বুঝতে পারছেন আমি কী? 

মহিলা : প্রথমে মনে করছিলাম, আপনি ভাল, এখন দেখছি আমার ধারণা ভুল! 

যার যেমন লজিক তার তেমন ধারনা শক্তি। 

আমি: নাস্তিক হলেই কি মানুষ খারাপ হয় নাকি? 

মহিলা: হ্যাঁ, যারা ঈশ্বরের বিশ্বাস রাখে না, ওদের খারাপ কাজ করতে বাধে না! 

আমি: এক জন খারাপ কাজ করবে কি না, সেটা নির্ভর করে সেই ব্যক্তির মানবিকতার ওপরে। একজন আস্তিক খারাপ কাজ করতেই পারে, কারণ বিভিন্ন ধর্মে বিভিন্ন নিয়ম আছে পাপমোচনের। সো তার পাপ কাজ করতে বাধবে না। কারণ সে ভাববে, এই পাপ কাজ করেই আমি ঐ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শুদ্ধ হব। যেমন, ডাকাতরা ডাকাতি করে এসেই ডাকাতি কালি পুজো দিত পাপমোচনের জন্য ৷ 

মহিলা: আপনি বলতে চাচ্ছেন, নাস্তিকরা কোনো খারাপ কাজ করে না? 

আমি: সেটা এখনো বলিনি, তবে তুলনামুলকভাবে কম করে বলে মনে করি। কারণ তারা পাপ-পুণ্যে বিশ্বাসি নয়। তবে তারা যুক্তিবাদ বলে এটা বিশ্বাস করে যে, এই খারাপ কাজের জন্য সারা জীবন তাকে অনুশোচনা করতে হবে। সো এটা কিছুটা হলেও তাকে খারাপ কাজ থেকে দূরে রাখতে পারে বলে আমি মনে করি। তারপরও মানুষ মাত্রই ভুলশীল, এটা মানতেই হবে।

মহিলা: তাহলে ডাকাতদের পাপ পূজা করে দূর হয় না ,আপনি বলতে চাচ্ছেন? 

বুঝুন খেলা! যে যেমন চিন্তা-ভাবনা করে, তার মন সেখানেই পড়ে থাকে। 

আমি: হ্যাঁ! 

মহিলা: আপনি যে এত নীচ, এবার বুঝলাম। 

লে বাবা! কী বললাম তাকে যে, এত খেপে গেল! তাকে তো আমি কোনো খারাপ কথা বলিনি, বা খারাপ কোনো ইঙ্গিতও দিইনি, তাহলে খচে যাওয়ার কারণ কী? তিনিও মনে হয় অপরাধ করার পর পূজাটূজা করে মনে করেন, সব অপরাধ ধুয়ে গেছে। যখন আমি বললাম, এসব ধুয়ে যায় না, তখন গেল খেপে। কারণ আমি তাঁর পাপ ধুয়ে যেতে দিচ্ছি না, অতএব আমি নীচ। 

সম্প্রতি ওপরোক্ত কথপোকথন হয় আমার সাথে একটি মেয়ের, নাম এমা ক্রিস্টল। মনে করছেন, নাম এমন কেন? আসলে সে এক জন কানাডিয়ান ধার্মিক! 

অবাক হবেন না, এমন ধার্মিক সব যায়গায় আছে, যারা ধর্ম শুধু পালন করে, ধর্মের কিছু জানে না। এটা আমার নিজের ধারণা। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন