আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০১৪

নিঃসীম নূরানী অন্ধকারে - ৯৯

লিখেছেন কবীর উদ্দীন

৪৯১.
মমিনরা তাদের স্রষ্টা আল্ল্যাকে ডাকে, আল্ল্যা আল্ল্যা আল্ল্যা... দিনরাত ডাকে। ওজু করে ডাকে, ওজু ছাড়া ডাকে, মাথা ঠুকে ঠুকে ডাকে, হাতের অঞ্জলি পেতে ডাকে। কিন্তু আল্ল্যা কভু সাড়া দেয় না। তারপর তারা লাখ লাখ টাকা খরচ করে আল্ল্যার বাসস্থান কাবাঘরের কাছে গিয়ে চারপাশে ঘুরে ঘুরে তাকে ডাকে, এবং বলে, আইছি আইছি, ডাকতাছি ডাকতাছি। তারপরেও আল্ল্যা সাড়া দেয় না। ঝিম মেরে পড়ে থাকে। এতো ডাকাডাকিতে সাড়া দেয় না, এমনকি তার বাড়িতে গেলে অভ্যর্থনা-আপ্যায়ন করা তো দূরের কথা, আওয়াজ পর্যন্ত করে না! আল্যা এতো অভদ্র কেন?

৪৯২.
পৃথিবীর অনেকাংশ জায়গা জুড়ে রেখেছে মানবজাতির জন্য সমূহ ক্ষতিকর উপাসনালয়গুলি। উপাসনা করা মানে শুধু শুধু জীবনের অমূল্য সময় নষ্ট করা। উপাসনালয়গুলির ভেতর ক্যাসিনো, সিনেমা হল ইত্যাদি বানিয়ে নেয়া উচিত। তাহলে মানুষ বিনোদন লাভ করতে পারতো।

৪৯৩.
ন'বিবিভারাক্রান্ত নূব্জ নবীজির কষ্টে নিঃশেষ হয়ে যাবার কথা ভাবলে অপরিসীম কষ্টে মন ভরে যায়।

৪৯৪.
আল্যা আমাকে বললো, কাফেররা আমাকে যেভাবে অপমান বিদ্রূপ করে, তা সহ্য করার মতো না। আমার ইচ্ছে করে বিষ খেয়ে বা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে মরে যাই। আমি বললাম, করো, আল্যা, আত্মহত্যা। অপমানের জীবন অপেক্ষা মরাই তো শ্রেয়। সে বললো, মরি কী প্রকারে? আমি বললাম, কেন, বিষ বা দড়ি কি নাই তোমার কাছে? আমার কাছে দড়ি ও ইঁদুর মারার বিষ আছে। দেবো নাকি? সে কেঁদে বললো, ওসবে কাজ হবে না। মরণও আমার কপালে নাই। আমি বললাম, সমস্যা কি? সে বললো, ক্যামনে মরি? আমি তো জীবনে জন্মিই নাই! যে জন্মে নাই, তার কি সাধ্য আছে মরার? সে কাঁদিয়া বললো, আমার মরণেরও উপায় নাই, যেহেতু জন্মি নাই। তাই বাঁচিয়া থাকিয়া দুঃসহ অপমান সহ্য করে যেতে হইবেক।

৪৯৫.
আমাদের সমাজে কম-বেশি সবাই স্বজনপ্রীতিতে আক্রান্ত। তবে আমি অন্তত দু'জন মহান মানুষের নাম বলতে পারবো, যারা স্বজনপ্রীতির অনেক ঊর্ধ্বে। একজন হচ্ছে ইব্রাহিম আঃ। সে তার ছেলেকে একদম সহ্যই করতে পারতো না। তাই তাকে জবাই করতে নিয়েছিল। আরেকজন হচ্ছে গৌতম বুদ্ধ। সে তার স্ত্রী ও পুত্রকে এতই ঘৃণা করতো যে, তাদেরকে চিরতরে পরিত্যাগ করে চলে যায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন