সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

নবীজির ভাওতাবাজি

লিখেছেন নাঈমূল ইসলাম সজীব

মোহাম্মদের ইসলাম ধর্মের মূল কথা – আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় তার কোনো শরিক নেই। এখন দেখা যাক, মোহাম্মদ আপাতঃ এ কথা বলে সূক্ষ্মভাবে কী প্রচার করে গেছেন। 

কোরানে আছে:
বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।
(সূরা আল-ইমরান, ০৩: ৩১)
বলুন, আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য প্রকাশ কর। বস্তুতঃ যদি তারা বিমুখতা অবলম্বন করে, তাহলে আল্লাহ কাফেরদিগকে ভালবাসেন না।
(সূরা আল – ইমরান, ০৩: ৩২)
আর তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহ ও রসূলের, যাতে তোমাদের উপর রহমত করা হয়।
(সূরা আল – ইমরান, ০৩: ১৩২)
এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যদি কেউ আল্লাহ ও রসূলের আদেশমত চলে, তিনি তাকে জান্নাতসমূহে প্রবেশ করাবেন, যেগুলোর তলদেশ দিয়ে স্রোতস্বিনী প্রবাহিত হবে। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। এ হল বিরাট সাফল্য।
(সূরা নিসা, ০৪: ১৩)
হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের। তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর- যদি তোমরা আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম।
(সূরা নিসা, ০৪: ৫৯)
আর যে কেউ আল্লাহর হুকুম এবং তাঁর রসূলের হুকুম মান্য করবে, তাহলে যাঁদের প্রতি আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন, সে তাঁদের সঙ্গী হবে। তাঁরা হলেন নবী, ছিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্মশীল ব্যক্তিবর্গ। আর তাদের সান্নিধ্যই হল উত্তম।
(সূরা নিসা, ০৪: ৬৯)
এরকম বহু আয়াতে একই কথা বলা হয়েছে। তা হলো – আল্লাহ ও তার রসুলের আনুগত্য কর। কিন্তু বাস্তবে রসুলের হুকুমই পালনই যে আল্লাহর হুকুম পালন, তার চুড়ান্ত বাস্তবায়ন দেখা যায় নিচের আয়াতে:
যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল।
(সূরা নিসা, ০৪: ৮০)
এভাবে কোরানের বাণীর নামে মোহাম্মদ নিজেকে আল্লাহর আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ।আল্লাহর বাণীর নামে নিজের বাণী প্রচার করে গেছেন ২৩ টি বছর। পৌত্তলিক ধর্মের পরিবর্তে একেশ্বরবাদী ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে পৌত্তলিকদের বহু আচার অনুষ্ঠান ইসলামে আমদানী করেছেন। যেমন,  কাবার ভিতরে অবস্থিত কাল পাথরের সামনে মাথা নত করে চুমু খাওয়া, হজ্জ করা, সাফা মারওয়ার পাহাড়ের মধ্যে সাতবার দৌড়াদৌড়ি করা, কাবা শরীফের চারপাশে সাতবার ঘোরা এসব। 

এর সবগুলিই ছিল পৌত্তলিকদের প্রথা ও আচার। প্রথমেই কাল পাথর বা হযরে আসওয়াদ নিয়ে কথা বলা যাক। 
ইবনে আব্বাস বর্ণিত নবী বলেছেন:
“কাল পাথর বেহেস্ত থেকে পতিত হয়েছে।যখন প্রথম দুনিয়াতে এটা পতিত হয় তখন এর রং ছিল দুধের মত সাদা কিন্তু আদম সন্তানদের পাপ গ্রহণ করার ফলে এর রং কাল হয়ে গেছে।”
(তিরমিজি, হাদিস- ৮৭৭)
ইবনে ওমর নবী কে বলতে শুনেছেন, 
“কাল পাথর ও আর রুখ আল ইয়ামানি-কে স্পর্শ করলে পাপ মোচন হয়।
(তিরমিজি, হাদিস-৯৫৯)
অথচ পাপ মোচনের ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর হাতে, কোনো পাথরের হাতে নয়। যা কোরানে পরিষ্কার বলা আছে। যেমন:
বলে দিনঃ তোমরা কি আল্লাহ ব্যতীত এমন বস্তুর এবাদত কর যে, তোমাদের অপকার বা উপকার করার ক্ষমতা রাখে না? অথচ আল্লাহ সব শুনেন ও জানেন।
(সূরা মায়েদা-৫:৭৬)


বুজেন তাইলে!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন