লিখেছেন কবীর উদ্দীন
৫৩৬.
নবীজি খেজুর তোলার পরে আলি নবীজির ন'বিধবা বিবির কাছে গিয়ে বললো:
- ভাবী সাবেরা, আমি তোমাদের জামাতা কাম দেবর। তোমাদের স্বামী মহাবদ আমার শ্বশুর কাম ভাই। সে মরেছে। তোমরা তার বিধবা। অতএব আমি তোমাদেরকে এখন বিবাহ করবো।
নবীজির বিধবারা হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বললো:
- দেবর আলি, বিবাহ করার সাধ কি আমাদেরও জাগে না? কিন্তু কী করবো। আমাদের কি সেই কপাল রেখে গেছে মহাবদ শালার পো? সকল মুছলমান বিধবার পুনরায় বিবাহ করার অধিকার আছে। শুধু আমাদের বিবাহ করার অধিকার মহাবদ কেড়ে নিয়েছে। আমাদের বিবাহ হারাম। মহাবদের বিবি হওয়া কতোবড় পাপ, দেখেছ তো।
আলি বললো:
- ভাবীরা, সত্য কইসো। সে আসলেই একটা মহাবদ আছিলো।
৫৩৭.
উন্নত দেশগুলিতে ডগ ট্রেনিং সেন্টার আছে। সেখানে অসভ্য অভদ্র কুকুরদেরকে ভদ্রতা ও সভ্যতা শিক্ষা দেওয়া হয়। তেমনি গডে বিশ্বাসীদের উচিত গড ট্রেনিং সেন্টার খোলা। এবং সেখানে অসভ্য বর্বর মূর্খ গডদেরকে শিক্ষা দিয়ে কিছুটা হলেও সভ্য, ভদ্র ও জ্ঞানী করে তোলার চেষ্টা করা।
৫৩৮.
আপনারা কি জীবনে কোনোদিন শুনেছেন,
- মা-মেয়েতে জা হতে?
- ভাইয়ে ভাইয়ে শ্বশুর-জামাই হতে?
- পিতা-পুত্রে দাদা-নাতজামাই হতে?
- পিতা-কন্যাতে দেওর-ভাবী হতে?
- নানা-নাতিতে জ্যাঠা-ভাতিজা হতে?
শোনেননি, তাই না? তবে শুনুন। অতি ছহী পাক ও হালাল সম্পর্ক এগুলি। এগুলি নবীজির পারিবারিক সম্পর্ক মোবারক:
ফাতেমার সহিত তার আলি কাকার বিবাহ হবার পরে খাদিজা ও ফাতেমা মা-মেয়ে হয়ে গেল জা।
আলি ও মহাবদ ভাইয়ে ভাইয়ে হয়ে গেল শ্বশুর-জামাই।
আবু তালেব ও আলি পিতা-পুত্রে হয়ে গেল দাদা-নাতজামাই।
মহাবদ ও ফাতেমা পিতা-কন্যাতে হয়ে গেল দেওর-ভাবী।
হাছান-হুছাইনের জন্মের পর মহাবদ ও হাছান-হুছাইন নানা-নাতিতে হয়ে গেল জ্যাঠা-ভাতিজা।
৫৩৯.
য়াল্যা আসলো মুছার সাথে দেখা করতে। য়াল্যা দেখতে এমনই কুৎসিত যে, তার জঘন্য রূপ দেখেই মুছা জ্ঞান হারালো।
৫৪০.
হিন্দুরা বিশ্বাস করে, বিবাহিত হিন্দু নারীরা একাদশীতে উপোস করে থাকলে তাদের স্বামীরা দীর্ঘজীবি হয়। স্বামীদের দীর্ঘজীবনের কামনায় তাই বিবাহিত হিন্দু নারীরা উপোস করে থাকে সারাদিন। কোনো হিন্দু পুরুষ কেন একাদশীতে উপোস করে না। তারা কি চায় না তাদের স্ত্রীরা দীর্ঘদিন বেঁচে থাকুক?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন