আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

বিকল্পহীন ইসলাম?

লিখেছেন Secular Friday

ইদানীং অনেককেই বলতে শোনা যায়, ইসলামের কোনো বিকল্প নেই। 

তাঁদের বিন্দুমাত্র ধারণা নেই যে, "ইসলামের বিকল্প" কথাটাই আসলে হাস্যকর, ইসলামের জন্যও অবমাননার। 

বিকল্পটা কোন ক্ষেত্রের জন্য খোঁজা হচ্ছে? ইহজাগতিক না পারলৌকিক?

ইহজাগতিক এমন কোনো ক্ষেত্র নেই, যেখানে ইসলামপন্থীরা অদক্ষ হাতে আধখেঁচড়াভাবে নাক গলায়নি। কিন্তু সক্রিয় কোনো সমাধান দিতে সক্ষম হয়নি। খিলাফতের রক্তাক্ত ইতিহাস থেকে শুরু করে আধুনিক বিশ্বে ইসলামের আলোকে রাষ্ট্র চালানোর ধারণাটি ব্যর্থ হয়েছে বলেই আজ ৬৫ টি মুসলিম দেশের কোথাও মানুষ শান্তিতে নেই। শান্তিতে নেই ওআইসি ভুক্ত দেশগুলোও। ১৯টি মুসলিম দেশ পৃথিবীর সবচাইতে দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে পড়ে আছে।

রাষ্ট্রের প্রকৃতি নির্ধারণের চেষ্টায় তার মৌলিক প্রতিষ্ঠানগুলো: যেমন এর আইনী ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও নির্বাহী ব্যবস্থাকে স্বীয় সংকীর্ণ স্বার্থে ব্যবহার করে ইসলামপন্থীরা তৈরি করেছে অমানবিক, বর্বর সব আইন; বৈধতা দিয়েছে সম্পদের অসম বণ্টনকে; ন্যায্যতা দিয়েছে অগণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থাকে। আবার সেই অগণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থাগুলোকে টিকিয়ে রাখার জন্য আশ্রয় নিচ্ছে জিহাদের নামে বিশ্বব্যাপী সহিংসতার।

পারলৌকিক ক্ষেত্রটি চিরকাল ছেলেভুলানো রূপকথার জগৎ হিসেবেই ব্যবহৃত হয়েছে। ইসলামসহ অন্য সকল ধর্মকে ব্যবহার করে ধর্মজীবী ব্যবসায়ীরা জন্ম দিয়েছে ধর্মীয় অন্ধত্বের, জাতিকে আচ্ছন্ন করেছে কুসংস্কারের বৃত্তে। ধর্মাচারকে করে তুলেছে প্রগতির প্রতিবন্ধকতার সমার্থক।

কোনো মতাদর্শ নয়, বরং অসাম্প্রদায়িক চেতনার ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীন ও শক্তিশালীভাবে গড়ে তুলতে পারাটাই মুখ্য। রাষ্ট্রের প্রয়োজন কল্যাণকামী হয়ে ওঠা। তার নাগরিকদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা। প্রয়োজন জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, শারীরিক সক্ষমতা, আর্থ-সামাজিক অবস্থান ও রাজনৈতিক অবস্থান নির্বিশেষে সম্পূর্ণ পক্ষপাতহীনভাবে একজন নাগরিককে কেবলমাত্র একজন নাগরিক হিসেবে দেখতে পারার সক্ষমতা অর্জন করা। প্রত্যেক নাগরিকের জন্য একই আইনী কাঠামো ও অধিকার নিশ্চিত করা।

একই সাথে প্রয়োজন হল সর্বোচ্চ দ্রুততার সাথে শিক্ষাক্রমকে আধুনিক করে তোলার মাধ্যমে একটি বিজ্ঞানমনস্ক জাতিতে পরিণত হওয়া, মানবিক আচরণগুলোর চর্চাকে উৎসাহ দেয়ার মাধ্যমে প্রকৃত অর্থে মানুষ হয়ে গড়ে ওঠা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন